সন অফ সত্যমূর্তি মুভির রিভিউ || "বাংলায় তারার মেলা " || ১০% @btm-school
নমস্কার ,
কি অবস্থা আপনাদের?ভালো আছেন সবাই?
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার খুব প্রিয় একটা মুভির রিভিউ দেব।
আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
মুভির নাম : সন অফ সত্যমূর্তি
মুভির পরিচালক : ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস
প্রোডিউসার :এস রাধা কৃষ্ণা
মিউজিক ডিরেক্টর :ডেভি শ্রী প্রাসাদ
ভাষা : তেলেগু
মুক্তি : 2015 সালের 9 এপ্রিল
দেশ : ইন্ডিয়া
বক্স অফিস কালেকশন : $১৪.১ মিলিয়ন
বাস্তব নাম | চরিত্রে |
---|---|
আল্লু অর্জুন | ভিরাজ আনান্দ |
সামান্থা রুথ প্রভু | সামীরা /সুভালাক্সমি, ভিরাজ এর গার্লফ্রয়েন্ড |
উপেন্দ্র রাও | দেবরাজ নাইডু |
নিত্যিয়া মেনন | দেবজারের বোন |
আডা শর্মা | কোলাসনি পল্লভী |
রাজেন্দ্র প্রাসাদ | পাইদা সম্ভাসিভা রাও/সামীরার বাবা |
স্নেহা | দেবরাজের স্ত্রী /লাক্সমি |
রাও রমেশ | পল্লভীর বাবা |
কোটা শ্রীনিবাস রাও | দেবরাজের বাবা |
পবিত্রা লোকেশ | সারদা, আনান্দের মা |
সিন্ধু তলানি | আনান্দের বৌদি |
ভেনেলা কিশোর | আনান্দের দাদা |
আলী | পরম |
ব্রাহ্মানন্দম | কোডা রামবাবু, দেবরাজের জামাইবাবু |
এম.এস. নারায়ানা | পল্লভীর আঙ্কেল |
প্রকাশ রাজ্ | সত্যমূর্তি |
সাম্পাথ রাজ্ | ভীরাস্বামী নাইডু ,দেবরাজের শত্রু |
এই মুভি তে এমন একজন এর কাহানি দেখানো হয়েছে যার বাবা খুব সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ যিনি কখনো কারোর সাথে কোনো দিন ধোঁকাবাজি করেননি। কিন্তু একবার একটা প্রপার্টি বেচার সময় অনেক বড় ভুল হয়ে যাই। ওই প্রপার্টি উনি একজন কে বেঁচে দেন কিন্তু সেটা একটা গুন্ডা প্রোপার্টিটা দখল করে। পরে সেটাকে ফেরত নিতে তিনি তার কাছে যান। কিন্তু এর মধ্যেই এক দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান। তারপরেও তিনি তার ফ্যামিলি এর জন্য কোটি কোটি মূল্যের সম্পত্তি ফেলে যান। বাবা মারা যাওয়ার আগে আনান্দের সাথে পাল্লভীর এনগেজমেন্ট হয় কিন্তু মিস্টার সত্যমূর্তি মারাগেলে পল্লবীর বাবা তার এনগেজমেন্ট আনান্দের সাথে ভেঙে দেন। আনান্দ এর বাবা মারা গেলে তাদের কোম্পানি একদম ডুবে যাই এবং আনান্দ তার বাবার ফেলে রাখা প্রপার্টি এর লোভ না করে কোম্পানির ইনভেস্টর দের মূল্য পরিশোধ করার জন্য তার সম্পত্তি দান করে কিছু শেয়ার কিনে নেন। এর পর আমরা দেখতে পাই আনান্দ তাদের বাড়ি, গাড়ি ছেড়ে তার মা,দাদা, বৌদি ও তার ভাতিজা কে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বাসকরতে থাকে। আনান্দের দাদা তার বাবার মৃত্যুতে এতটাই গম্ভীর ভাবে প্রভাবিত হয় যে তিনি সব জায়গায় তার মেনেজার কে দেখতে পান যে অনেক আগেই জব ছেড়ে দিয়েছেন। আনান্দ তার ভাতিজার স্কুল ফী এর জন্য চারিদিকে জব এর জন্য ছুটেবেড়াতে থাকে। অবশেষে তার স্কুল লাইফ এর বন্ধুর থেকে একটি বিয়ের ডেকোরেশন এর কাজ পান। সেখানেই প্রথম পরম এর সাথে প্রথম দেখা হয় আনান্দের। প্রথম বার বিয়ের আসরে গিয়ে দেখতে পাই আনান্দ যার বিয়ে হাসছে সে আসলে পাল্লভী। ওটা দেখে সে ঠিক করে সেই এই কাজ করবে না, কিন্তু তার ভাতিজার স্কুল ফী পরিশোধ তাড়াতাড়ি করতে হবে বলে আবার কাজ টি করতে এগ্রি হয়ে যাই। বিয়েতেই তার দেখা হয় সামীরার সাথে। তাকে প্রথম দেখে আনান্দের মনে হয় সে ড্র্যাগ এডিক্টেড কিন্তু সে লো সুগার এর জন্য ট্যাবলেটে খাই। এই সময় আনন্দের সাথে পরিচয় হয় পাল্লভীর আঙ্কেল এর সাথে। সে সব কথা বলে তাকে কি ভাবে পল্লভীর বাবা ঠকিয়েছে। এর মাঝেই দেখা হয়ে যাই পাইদা সম্ভাসিভা রাও এর সাথে যিনি আনন্দের বাবার সম্পত্তি কেনেন এবং সেই জমি দখল হয়। বিয়ে সম্পন্ন হলে পল্লভীর বাবা খুশি হয়ে আনান্দকে এক্সট্রা পেমেন্ট দেয়।
পরে দেখা যাই আনান্দ সামীরার পরিবারে সাথে দেখা করতে যাই এবং পাইদা সম্ভাসিভা রাও কে দেখতে পাই সামীরার বাবা হিসাবে। এখন আনান্দের বাবার সম্মন্ধে তিনি উল্টো পাল্টা বলতে থাকেন, এবং আনান্দ কে সেই জমি ফিরিয়ে আনতে বলেন তাহলেই তার মেয়ের সাথে আনান্দের বিয়ে তিনি দেবেন। এবং বাবার সম্মান এর জন্য আনান্দ সে জমি ফিরিয়ে আনতে পৌঁছে যাই দেবরাজ নাইডু এর বাড়ি। সেখানে গিয়ে আনান্দ তার এক অন্যরকম এর রূপ দেখতে পাই দেবরাজ নাইডু তার বৌ এর সামনে একদম সহজ সরল দেখায় কিন্তু অন্য সময় তার ভয়ঙ্কর রূপে সবাই কে ভয়ভীত করে তোলেন। দেবরাজ নাইডু যখন জানতে পারে আনান্দ পাইদা সম্ভাসিভা রাও এর প্রপার্টির পেপার নিতে তার কাছে এসেছে তখন দেবরাজ পাইদা সম্ভাসিভা রাও কে তুলে তার বাড়িতে আনেন। এমন সময় ভীরাস্বামী নাইডু এর ভাই দেবরাজ এর ওপর হামলা করে বসে কিন্তু সঠিক সময় থাকতে আনান্দ তাকে তার হাত থেকে রক্ষা করে। দেবরাজ এর আনান্দ কে ভালো লেগে যাই এবং দেবরাজ অনান্দকে বলে প্রপার্টির পেঁপের তুমি নিয়ে নাও কিন্তু আমার এক শর্ত আছে আমার বোনের সাথে তোমার বিয়ে করতে হবে। এর পর এন্ট্রি হয় কোডা রামবাবু তার অসামান্য কমেডি সবাইকে মুগ্ধ করে। সে ভাবে যে পরম হলো বিয়ের পাত্র। সে পরম কে মোটেই সহ্য করতে পারে না। কোডা রামবাবু মোটেই চাননা যে তার শালীর পরমের সাথে বিয়ে হোক। তাকে দেখে আনান্দের আশার কিরণ জাগে এবং আনান্দ পাত্রকে মারার প্ল্যান তাকে দেয় । কোডা রামবাবু, ভীরাস্বামী নাইডু সাথে যোগাযোগ করে এবং পাত্রকে মারার জন্য বিয়ের আগের দিন রাতে লোক পাঠাতে বলে।
ভীরাস্বামী নাইডু এর লোক জন দের দেবরাজ ও আনান্দ এর সাথে সংঘর্ষ বাধে এবং ভীরাস্বামী নাইডু এর লোকেরা বলে যে কোডা রামবাবু তাদের কে বাড়িতে ঢুকতে সাহায্য করেছে। এমন সময় দেবরাজ কোডা রামবাবু কে মারার চেষ্টা করে কিন্তু আনান্দ বলে এই সব তার প্ল্যান ছিল। তার পর আমরা দেখতে পাই দেবরাজের সাথে আনান্দের ফাইট শুরু হয়। এবং সেই সময় আনান্দের মা সেখানে এসে উপস্থিত হয়। আনান্দের মা কে দেখতে পেয়ে দেবরাজ তার অস্ত্র ফেলে দেয়। এখন জানতে পাওয়া যাই যে আনান্দের বাবা মামা গেছিলেন তাদেরকে বাঁচাতে গিয়ে। এবং আনান্দ যে সত্যমূর্তির ছেলে এটা জানতে পেরে দেবরাজ সেই প্রপার্টির পেপার পাইদা সম্ভাসিভা রাও এর হাতে তুলে দেয়।
এবং পাইদা সম্ভাসিভা রাও তার ভালো করতে গিয়ে মরেছে সেটা জেনে সে অনেক দুঃখ পাই।
এখন আনান্দ বাড়ি ফিরতে ফিরতে খবর পাই সে যে শেয়ার কিনেছিলো তার মূল্য ৫০০ কোটির ও বেশি হয়ে গেছে।
এখন আনান্দ আবার তার সমস্ত সম্পত্তি ফায়ার পাই।
আল্লু অর্জুনের প্রায় সব মুভিই আমার দেখা আছে, এটা কিভাবে মিস হলো বুঝতেছিনা। আপনার সুন্দর রিভিউটা পড়ে মুভিটা দেখার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। খুব শীঘ্রই দেখা লাগবে মুভিটা।
অনেক ভালো একটা মুভি এটা।
অবশ্যই দেখবেন।
আশাকরি আপনার ভালো লাগবে।
আমি আল্লুর মুভি দেখি নি কখনো । কেননা আমার ধানুশকে ভালো লাগে ওর মুভি গুলা দেখি।
তবুও রিভিউ টা পরে নিলাম । অনেক সময় নিয়ে মুভি দেখার চেয়ে রিভিউ পরে নেওয়া ভালো। ভাইয়া সামনে ধানুশের কোন সুপারহিট মুভির রিভিউ দিয়েন ...।
আল্লু এর মুভি দেখবেন আশাকরি ভালো লাগবে আপনার।
ওকে ধানুশের একটা ভালো মুভি এর রিভিউ দেব খুব তাড়াতাড়ি।
আল্লু অর্জুনের ছিনেমা আগে দেখতাম না , তবে পুস্পা মুভি বেরোনোর পর আমি আল্লু অর্জুনের ফ্যান হয়ে গিয়েছি , রিভিউটা পড়লাম বেশ ভালো লাগলো ভাবছি সিনেমটা একদিন সময় করে দেখবো।
আল্লু অর্জুনের মুভি আমার সব থেকে বেশি পছন্দ হয় ।
তুমি কি জানো তাকে সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমার স্টাইলিশ স্টার বলা হয় ।
আমার অন্যতম পছন্দের মুভি অনেক বার দেখেছি এই মুভি টা।।
আর আমি সাউথের মুভির বিশাল ভক্ত