"Lifestyle Diary Game [Date: 29.02.2024] Bhabani Bala Children Park"
I would like to thank @stef1 Ma'am for her recent post from which I came to know about this new community. Ofcourse I also came across @solaymann in the dynamics.
I will share my yesterday's diary in my native language Bengali as theme is on a local event.
I would like to invite three fellow Steemians to participate in the contest. @crismenia @joymm @eveetim
আমাদের পাড়ায় একটা শিশু উদ্যান ছিল। ভবানীবালা শিশু উদ্যানে শিশুদের অনেক ঘরের বাইরে খেলার ব্যবস্থা ছিল যেমন স্লিপ, সুইং, মেরি-গো-রাউন্ড , ক্লাইম্বিং। আমার মেয়েরা ছোটবেলায় প্রায় প্রতিদিনই সবাই খেলাধুলা করত।
কিন্তু গত দুই দশকে অনেক কিছু পাল্টে গেছে। প্রথমেই শুরু হল স্পনসর থিম পূজা। মাঠের থেকে খেলা ধুলার সরঞ্জাম সরানো হলো। আস্তে আস্তে অনেক কিছু অদৃশ্য হয়ে গেল কারণ থিম পূজার জন্য বড় মাঠ প্রয়োজন।
আর্য সমিতি (দাতব্য সংস্থা) এই মাঠের তত্ত্বাবধায়ক। পূজা কমিটি একটা স্থানীয় ক্লাবের দ্বারা পরিচালিত। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় নানা পূজা ও অনুষ্ঠানের জন্য পার্ক বন্ধ থাকে। বাকি সময় বড় ছেলেরা ফুটবল, ক্রিকেট খেলে। শিশুরা সম্পুর্ন ভাবে বঞ্চিত হয়ে গেছে।
কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে মাঠের মধ্যে একটা বড় অস্থায়ী মন্ডপ তৈরি হচ্ছে। হটাৎ দুই দিন আগে দেখা গেল একটা বড় দূর্গা প্রতিমা আনা হয়েছে। আশেপাশের বাড়ীতে মিনিয়েচার লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। এটা বোঝা গেল কোন সিনেমার শুটিং সেট তৈরি করা হয়েছে।
গতকাল ছিল ঐ শুটিংয়ের দিন। আমি সকল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আমার প্রাতঃক্রিয়া সম্পন্ন করি। আমি আমার এনগেজমেন্ট চেলেঞ্জে পোস্ট লিখে পোস্ট করি। প্রাতরাশ করে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। এমন সময় মাইকের আওয়াজ পেয়ে আমার কৌতূহল হল বাইরের ঘটনায়। আমি খুব ঘরোয়া পোশাকে বেড়িয়ে পরলাম। বাইরে রাস্তায় রয়েছে অনেক জেনারেটর ভেন। অন্য দিনের থেকে আলাদা পরিবেশ।
আমার চোখে পড়ল দুইজন অল্পবয়সী শিল্পী। দু'জন এখন টিভি সিরিয়ালে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। আমার ইচ্ছা হল ওদের সঙ্গে একটা ছবি তোলার। ওদের সঙ্গে কিছু কথা বার্তা হল।
আমি এগিয়ে গেলাম পার্কের দিকে। এই সেই পার্ক যেখানে শুটিং শুরু হবে আর কিছু ক্ষনের মধ্যে। পার্কের গেটের উপর লেখা রয়েছে ভবানীবালা শিশু উদ্যানে। সামনে একটা সনি পাওয়ার ভেন দাড়িয়ে আছে।
আমি পার্কের ভিতরে ঢুকে ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম বাংলা সিনেমার নাম শাস্ত্রী। মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় ও সোহম চক্রবর্তী অভিনীত। এখানে সিনেমার দূর্গা পূজা সংক্রান্ত শুটিং হবে।
আমি বাড়ি ফিরে এলাম। আমাদের প্রতিবেশী তাদের গাছের পাকা কলা নিয়ে হাজির। কিছুক্ষণ কথাবার্তা হলো।
আমাকে দুটো বিস্কুট, কলা ও খেজুর দেওয়া হল। আমি আবার পার্কের দিকে গেলাম। এখন আর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমনকি বাইরে থেকেও ছবি তোলা নিষেধ। আমি একঝলক মিঠুন চক্রবর্তী কে দেখে বাজারের দিকে চলে গেলাম।
আজ সপ্তাহিক দোকান বন্ধের দিন তাই লোকজন অনেক কম। কিছু দোকানদার স্টক ক্লিয়ারিং সেল দিয়েছে। ফেরার পথে চোখে পড়ল সারী দিয়ে শুটিংয়ের ভেনিটি ভেন। দেবশ্রী রায়কে দেখা গেল ভেনিটি ভেনের দিকে আসতে। আমি বাড়ি ফিরে এলাম।
প্রায় একটা বাজে। আমি লাঞ্চ করে একটু বিশ্রাম করলাম। মোবাইল চার্জ করার জন্য কোন কাজ করতে পারছিলাম না। টিভিতে সার্ক টেংক সিজিন৩ দেখলাম।
সারাদিন পরিচালক বলেই চলেছে রেডি রেভি সাউন্ড মিউজিক ওয়ান টু থ্রি ফোর কাট । বিকেলে এক কাপ চা মধু দিয়ে খেলাম।
সন্ধ্যা বেলায় আমার পাড়া মিনিয়েচার আলোতে ঝলমল করছিল। মনে হচ্ছিল আজ দূর্গা পূজার সপ্তমীর রাত।
আমি আবার বাড়ি ফিরে শুনতে পাচ্ছিলাম মাইকে ডিরেক্টরের গলা বজনা আর গান। আমি আবার একটু বিশ্রাম করে ডিনার করে শুয়ে পরলাম। প্রায় সারে দশটায় প্যাক আপ হলো।
একদিনের জন্য হৈচৈ খারাপ লাগে নি। কিন্তু শিশুদের কথা কেউ ভাবছে না। শিশুদের মানসিক বিকাশে জন্য এই সব পার্কের বিকল্প হয় না।
আমরা পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
Thank you so much for sharing your valuable post in the Steem For Lifestyle community. Stay with us by creating original content regularly. your post's review results below.
Thank for reviewing my post.