Steemit Engagement Challenge S13W2 - " What is the most popular employment in your country? "

in Hindwhale Communitylast year (edited)

Assalamu alikum


I am @nasir04 from #bangladesh


প্রিয় বন্ধুরা


কেমন আছেন সবাই?আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমিও অনেক ভালো আছি।আজ আমি হাজির হয়েছি Hindwale Community দ্বারা আয়োজিত Steemit Engagement Challenge /S13W2 -What is the most popular employment in your country? প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।

প্রতিযোগিতার শুরুতেই আমি #hindwale-community এর সম্মানিত সকল এডমিন ও মডারেটরগণদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতা আমাদেরকে উপহার দেবার জন্য। আশা করি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের কর্মসংস্থান সম্পর্কে বিস্তর ধারণা পাবো।

20231024_124058_0000.png

made in canva app


What are the most popular employment in your country?


আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক।আমাদের দেশটা আয়তনের দিক থেকে অনেকটা ছোট হলেও জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে অনান্য সব উন্নত দেশ অপেক্ষা অনেকটা এগিয়ে। তাই আমাদের দেশের জনসংখ্যার এই বিশাল অঙ্কটার ভরনপোষন চালিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য। সেজন্যই হয়তোবা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দাড়িয়েও বর্হিবিশ্বের কাছে আমরা একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আখ্যা পাই।

আমাদের দেশের এই বিপুল সংখ্যক জনগন দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার তাগিদে নানা রকমের কাজ করে থাকে।আর বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা থাকায় অগণিত পরিমানে কর্মসংস্থেরও সৃষ্টি হচ্ছে।তবে জনসংখ্যার তুলনায় সেগুলোর পরিমাণ একেবারেই নগন্য।তাই দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৭০ শতাংশ ব্যক্তিবর্গ তাদের কর্মসংস্থান হিসাবে কৃষিকেই প্রধান্য দিয়েছেন।

wheat-2391348_1280.jpg

copyright free image source

এখানে আপনাদের একটা বিষয় জানিয়ে রাখি যে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশই বাস করে গ্রামে সংখ্যায় যেটার পরিমাণ দাড়ায় প্রায় ১১ কোটির থেকেও বেশি আর বাকি ৩১.৫৬ শতাংশ বাস করে শহরে।তথ্যটি থেকে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন গ্রামের সমস্থ লোকজন যদি শুধুমাত্র কৃষি কাজের সাথেই সম্পৃক্ত থাকে তবুও দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এ পৌচ্ছাতে আরো কয়েক পা এগোতে হবে আমাদের। যার মানে শহরে বসবাসকৃত লোকজনেরাও তাদের জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

তাছাড়া আমাদের দেশের প্রত্যন্ত কিংবা গ্রামাঞ্চলের এমন অনেক জায়গা আছে যেখদনে এখনো শিক্ষার আলো পৌচ্ছায়নি।পুথিগত কোনো বিদ্যা না থাকার জন্য তাদেরকেও জীবিকার জন্য কৃষির দিকে অগ্রসর হওয়া ছাড়া তেমন কোনো কর্মসংস্থানে কাজ করার সুযোগ পাই না।

উপরে উল্লখিত বিষয়গুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে, আমার বলার আগে আপনারাই অনুধাবন করতে পারবেন যে আমার দেশের সবথেকে জনপ্রিয় কর্মক্ষেত্র হলো কৃষি।

এবার চলুন আমার দেশের কৃষি সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক।আমাদের দেশটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এমন এক দারুণ উচ্চতায় অবস্থিত যার ফলসূতিতে আমরা পেয়েছি এক নিদারুণ নাতিশিতোষ্ণ আবহাওয়া। এই সুন্দরতম আবহাওয়ার কারণে আমাদের দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করা যায়। আর বাকি ফসলগুলো ধানের সাথে সামসঞ্জ রেখে আবাদ করা হয়। কেননা আমাদের খাবার তালিকায় শীর্ষে অবস্থিত ভাত।তাই আমরা মূলত ধান উৎপাদনকেই প্রধান্য দিয়ে থাকি।

ধান ছাড়াও এদেশের উর্বর মাটিতে পাট, ভুট্টা,আখ, সরিষা, মসুর, মটর,কলই,খেসারি, গমসহ আরো অনেক ফসল উৎপাদন করা যায়।কোবো একটা সময় পাট উৎপাদনের জন্য পুরো বিশ্বব্যাপী বাংলার নাম-ডাক ছিলো অনন্য পর্যায়ে।বাংলাদেশের পাটকে একটা সময় সোনালি আশ বলেও আখ্যায়িত কর হতো।কিন্তু এদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোকের লোভের কারণে বাংলার পাট হারিয়ে ফেলেছে তার সেই সোনালি অতীত।

Do you believe "AI" will help or create problems in job market?


বর্তমান দশকে বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার হলো "AI". যেহেতু এটি মনুষ্য নির্মিত একটি পোগ্রাম, তাই নির্দিদ্বায় বলা যায় যে," AI" সৃষ্টি করা হয়েছে মানব কল্যানের স্বার্থে।তবে মানব কল্যাণে "AI" কতটুকু ভূমিকা রেখেছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ai-generated-8311089_1280.webp

copyright free image source

"AI" তৈরি করূ হয়েছে আমাদের দৈন্দদিন কাজকে কম সময়ে, সহজে সম্পন্ন করার জন্য। "AI" আসার পরে অনলাইনভিত্তিক অগণিত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে কাজ করার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে অজস্র মানুষ তাদের বেকারত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্তিলাভ করেছে।এখন চাকরির জন্য পথে পথে না ঘুড়ে নিজের দক্ষতার ওপর আশাতীত কাজ করছে অসংখ্য মানুষ।

তবে,,একটা জিনিসের যে শুধু ভালো দিকই থাকবে এমনটা কখনোই সম্ভব নয়।তাই আমরা কেউই জোর গলায় এইটা বলতে পারবে না যে "AI" এর কোনো খারাপ দিক নেই।তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক "AI" আমাদের কর্মক্ষেত্র কতটুকু খারাপ প্রভাব ফেলছে।

"AI" এর ভালো ও খারাপ দিকগুলো জানার জন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম এটার ব্যবহারের পদ্ধতি, কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে হবে।আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরি হয়েছে মানুষের পরিবর্তে কাজ করানোর জন্য।এই কথাটুকু থেকেই আমরা বুঝতে পারছি "AI" মানুষের কর্মক্ষেত্র কতটুকু বিরুপ পরিবেশ সৃষ্টি করছে।এবার চলুন একটু বিস্তর আলোচনা করা যাক।

সময়টা ২০১৯, পুরো পৃথিবীজুড়ে যখন ভয়াভয় কোভিডের আক্রমনে অতিষ্ট।তখন এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষের মাঝে একটি ডিস্টেন্স ক্রিয়েট করে দেওয়া হয়।হোটেল রেস্তোরাগুলোতে কাস্টমারের সংখ্যা কমতে থাকে তাই রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকেরা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছিলো,মানুষজন বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেয় সেজন্য ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম থেকেও শুরু হয় কর্মীছাটাই,গার্মেন্টসহ সকল প্রকার কর্মসংস্থান থেকেই শুরু হয়ে যায় কর্মীছাটাই।

termination-2473879_1280.jpg

copyright free image source

আর এসব কর্মীদের পরিবর্তে কাজ করতে থাকে রোবট যেগুলো এক প্রকার "AI"। এরপর যখন করোনা বিদায় নিলো তখন মানুষের পরিবর্তে কোম্পানিগুলো রোবটকেই কাজে নিয়োজিত রাখলো,তাই লক্ষ লক্ষ মানুষ বঞ্চিত হলো তাদের কর্ম থেকে।এর জন্য একমাত্র " AI" দায়ী।

"AI" হয়তো অগনিত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, তবে সেই কর্মক্ষত্রে কি সবাইকে কাজ করার সুযোগ দিতে পারছে?যেসব মানুষ আইটি এক্সপার্ট কিংবা লেখাপড়ায় ভালো তারা হয়তো "AI" এর মাধ্যমে অনলাইনে নিজেদের কর্মসংস্থন সৃষ্টি করতে পেরেছে।তবে যেসব মানুষের কোনো আইটি স্কিল নেই,পড়ালেখা জানেনা তাদের জন্য কি "AI" কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে পেরেছে??

করোনাকালীন সময়ে যেসব মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্র হতে বিতারিত হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই নিরক্ষর। এমন অনেক মানুষ আমাদের দেশে আছে যারা এখনো মোবাইল ফোনে কল রিসিভও করতে পারে না।"AI" হয়তো শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে,তবে যাদের কর্মসংস্থান সে কেড়ে নিয়েছে তাদের কি "AI" কোনো পুনরায় কাজ দিতে পারবে??

তাই আমার মতে,"AI" বর্তমান পৃথিবীতে চাকরির বাজারে সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

How to reduce rising unemployment


বর্তমান পৃথিবীতে সবথেকে বড় সমস্যাগুলোর মাঝে অন্যতম হলো বেকারত্ব, যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা কখনোই সম্ভব নয় তাই প্রতিনিয়ত বেকারত্বের পরিমাণ বাড়বে এটা স্বাভাবিক কারণ । কিন্তু, এই স্বাভাবিক ঘটনাটিকে আমরা আরো জটিল করে ফেলছি চাকরির পিছে দৌড়ে।সবাই যদি চাকরির পিছে দৌড়ায় তাহলে বেকারত্বের সমস্যা দিনদিন বাড়বে, কারণ সবাইকে চাকরি দেবার মতো সাধ্য পৃথিবীর কোনো দেশেই হয়তো নেই।

no-money-2070384_1280.jpg

copyright free image source

তাই অযথা চাকরির আশায় বসে থেকে বেকারত্বের সংখ্যা না বাড়িয়ে আমরা নিজেরাই কিন্তু বেকারত্বের পরিমাণ কমাতে পারি।বেকারত্ব নিরসনে সবথেকে বড় গুরুত্ব রাখতে পারে যেটি তা হলো উদ্দোক্তা। আমরা নিজেরা যদি উদ্দোক্তা হই তাহলে শুধু আমাদের বেকারত্বের অবসান হবে তা কিন্তু নয়, এর সাথে সমাজের আরো দশজন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।

people-1979261_1280.jpg

copyright free image source

তাছাড়া আইটি সাইডে কোনো একটা বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে আমরা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমেও বেকারত্বের অবসান ঘটাতে পারি।

technology-791029_1280.jpg

copyright free image source

তাই আমার মতে, আইটি সাইডে দক্ষতা অর্জন করে এবং উদ্দোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়াী মাধ্যমে নিজে সহ সমাজের আরো অনেককে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহের আওতায় আনা সম্ভব।

আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার জন্য @memamun @rubina203 @baizid123 কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।আশা করি আপনারাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আপনাদের মূল্যবান পোষ্ট শেয়ার করবেন।

আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদেরকে ।

ধন্যবাদান্তে,
@nasir04

20230702_235356_0000.png

Sort:  

Wonderful piece from you..stating the area your country source revenue from

Dear @davidmarkgeorge,,,
Thanks for your valuable comment.

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 98085.38
ETH 3350.61
USDT 1.00
SBD 3.03