সংসার এমন একটি স্থান যার কাজ কখনো ফুরোয় না।
বন্ধুরা,
আজ এই সবে কাজ সেরে উঠলাম, তবুও মনে হচ্ছে কত ঘরের কাজ বাকি রয়ে গেলো।
আপনারা যারা গৃহিণী এবং গৃহবধূ তারা আমার এই লেখার যথার্থতা নিশ্চই উপলব্ধি করতে পারবেন।
আমরা যারা সংসার এবং অফিস দুই সামলাচ্ছি, তারাও নিশ্চই মানবেন; অফিস এর কাজ একটা নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে গেলেও, সংসারের কাজ এর কোনো অন্ত নেই।
শত কাজের শেষেও দেখা যায় কত কি বাকি পড়ে রইলো। অথচ অফিস এর কাজের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট বাধা ধরা সময় এর পর ছুটি পাবার আশা থাকে। সাপ্তাহিক বিরাম ও পাওয়া যায়।
কিন্তু যে সব নারীরা শুধু সংসার সামলাচ্ছেন তাদের কিন্তু কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বলে কিছু থাকে না, এমনকি বার্ষিক ছুটিও তাদের নেই।
সারাটা বছর বিরামহীন পরিশ্রম ( একান্ত যদি অসুস্থ হয়ে না পড়ে)। তাদের জন্য ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো লাল কালি দেওয়া ছুটি নির্দিষ্ট করা নেই।
তাই আজ আমি এই লেখা উৎসর্গ করছি সেই সকল নারীকে যারা নিজের সবটুকু দিয়ে তাদের সংসারকে সুন্দর করে গড়ে তুলেছেন এবং কেবল মাত্র একার প্রচেষ্টায় তাকে আগলে রেখেছেন।
একজন নারী চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারে, কিন্তু একটি পুরুষ চাইলেই একজন নারীর স্থান কখনো নিতে পারে না।
কখনো বিষয়গুলোকে বোধ হয় এভাবে বুঝতেই পারতাম না।
জীবন যদি বিভিন্ন পরিস্থিতি দিয়ে নিয়ে না যেত।
আমি কিন্তু পুরুষ বিরোধী নই; তবে কখনো কখনো যখন শুনতে পাই কিছু পুরুষ দম্ভের সাথে তার সহধর্মিণী কে বলেন, সারাদিন ঘরে থেকে তারা কি এমন কাজ করে!
তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই একটা সপ্তাহের জন্য দায়িত্বটা বহন করে দেখুন, নিজেই বুঝে যাবেন।
বাইরে গিয়ে অর্থ রোজগার যদি পরিশ্রমে সামিল হয় তাহলে সেই পরিশ্রমের যথাযোগ্য মর্যাদা সংসার আগলে একটি নারী দিতে পারে।
প্রথমটি কাজটি কঠিন হলে দ্বিতীয় কাজটি কঠিনতম।
সকল নারীকে কুর্নিশ জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। নিজের খেয়াল রাখবেন কর্তব্যের আড়ালে সেটা কখনো ভুলে যাবেন না।
নিজে খুশি থাকবেন সবসময়।
sundor likhsen. Ami shomot disse.
Thank you
songsar mane sudu dayittho r dayittho.
Sathik
Well written .. but I think now slowly things are changing in society
But still there are much more way to go
Universal truth .
Correct
@sonu98 ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ