অনেক পুরোনো স্মৃতি বয়ে আনলো "নারকেলের তক্তী"
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজ জীবনের কোনো কথা নয়, কোনো ভালোলাগা বা খারাপ লাগার কথা নয়, আজ অনেক দিনের পুরোনো একটা রেসিপি শেয়ার করবো। যার নাম "নারকেলের তক্তী"। যদিও এটা আমি নিজে তৈরী করিনি, আমার শাশুড়ি মা তৈরী করেছেন, শেষে আমিও তার দেখাদেখি কয়েকটা বানিয়েছিলাম।
আগে আমার মা/দিদা ও তৈরী করতো, তবে কোনোদিন সামনে থেকে দেখিনি কিভাবে তৈরী করে।তখন ওতো সময় কোথায় বলুনতো। সকালে উঠে পড়তে বসা, তারপর খেয়ে স্কুল যাওয়া,স্কুল থেকে ফিরেই খেলার জন্য ছুটতাম, সেখান থেকে এসে পড়তে বসা, তারপর রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুম। এই তো ছিলো জীবন। না কোনো চিন্তা, না কোনো ভাবনা।
অনেকদিন ধরেই একটা নারকেল ঘরে পড়েছিল, কাল বাপি সেটা ভাঙলো, দেখা গেলো ভেতরের জল একদম শুকিয়ে গেছে। তবে নারকেলটা ভালোই আছে। সেটা দেখেই মা বললো, রেখে দাও তক্তী বানিয়ে দেবো। সন্ধ্যার সময় মা নারকেল গুলোকে টুকরো টুকরো করে নিয়ে কালো অংশ ছাড়িয়ে একেবারে কুচিকুচি করে কেটে নিলো। এরপর কিছুক্ষন নারকেলগুলোকে ঔ ভাবে রেখে দিলো।
এরপর কড়াইতে অল্প ঘী গরম করে নারকেল গুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়ে তুলে রাখলো।
তারপর অল্প জল দিয়ে তার মধ্যে গুড় দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলো, তারপর ভেঁজে রাখা নারকেল গুলো মিশিয়ে নিলো।
নাড়ু তৈরীর মত পাক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলো, এরপর নামিয়ে নিলো।
মা দুটো সাজ বের করেছিল, সেই সাজেই আমরা তক্তী গুলো করেছি, কিন্তু নারকেল গুলো কুচানো বলে সাজের ডিজাইন গুলো বোঝা যাচ্ছিলো না।
ব্যস রেডি হয়ে গেল নারকেলের তক্তী
রেসিপিটা অনেকটা নাড়ুর মতোই মনে হলো আমার, কিন্তু খেতে একদমই অন্যরকম। বেশ ভালো লাগল। আপনারও নিশ্চয় বানান বাড়িতে, এই একই রকম ভাবে বানান নাকী অন্য ভাবে অবশ্যই জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই। শুভসন্ধ্যা।
when i seen this i feel very much hungry. 😊😋
@shuvo35 thank you.
Amader alakai obosso aitar name alada tobe bananor process same. Jaihok sundor hoyese didi.
@hiramoni thank you.
@sampabiswas Your post curated and resteemed by @helpageindia.
আমি কি পাবো?🙄😋😊