Achievement1 : আমার পরিচয় মূলক পোস্ট

আসসালামু আলাইকুম ।

আশা করি সবাই ভাল আছেন আপনাদের মাঝে আমি নতুন।

আমি মোহাম্মদ আশিক ইসলাম গ্রাম লক্ষণ বাড়িয়া ।আমার পিতার নাম মোঃ আব্দুল আলী মাতার নাম চায়না বেগম আমার পোস্ট সালামপুর থানা লালপুর জেলা নাটোর।

আমার মন্তব্য প্রকাশ করছি আমি একজন মধ্য পরিবারের ছেলে আমার বাবা কৃষি কাজ করে এবং জমি দেখাশোনা করে শাক-সবজি চাষ করে কৃষিকাজ করে জীবন চলে আর কি আমি 2015 তে এসএসসি দি ২০১৭ তে আমি ইন্টার ফাইনাল এক্সাম শেষ হয় ।সেখানে আমার এক সাবজেক্টে ফেল আসে তারপরে আমার লেখাপড়া এক বছর হয় না।

আমি ঢাকায় আসি ঢাকায় আসার পর একটা ছোট একটা জব নেই। ৬ মাস চাকরিটা করার পর আবার বাড়ি ফিরে যায়। আবার লেখাপড়া শুরু করি । ২০১৮ তে ইন্টার ফাইনাল এক্সাম দিয়ে। আমি ঢাকায় চলে আসি ।আসার পর গার্মেন্টস একটা চাকরি নেই। আমি এদিকে চাকরি করতে থাকি আর বাড়িতে বাবা কৃষি কাজ করে এভাবেই সংসার চলে। বাড়িতে মায়ের সাথে ছোট বোন সংসারের কাজ করে। আমার মা অসুস্থ তার সাথে সংসারে কাজ ছোট বোন হেল্প করে ।

আর এদিকে চাকরি করি মাসে যা বেতন পায় তার অর্ধেকটা বাড়িতে পাঠায় ওই টাকা দিয়ে মায়ের ঔষধ খেতে হয় ।অনেক কষ্ট হয় মায়ের দিকে তাকালে বাট আমাদের মধ্য পরিবারের অনেক কষ্টের মধ্যে সংসার চালাতে হয়।
যদি আমার কাছে টাকা থাকতো তাহলে মা কে ভালো চিকিৎসা করাইতে পারতাম। আমি যা বেতন পাই আমার খাওয়া বাসা ভাড়া পকেট খরচ এতে বেতনের অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়।

আমার ছোট বোনটা মাঝে মাঝে আবদার করে বসে ভাইয়া আমার জন্য ভালো একটা পোশাক কিনে দেবে ভালো একটা স্কুল ব্যাগ দেবে যদি আমি নাও পারি মুখে তাও বলি, তোর জন্য ব্যাগ পোশাক আমি নিয়ে আসবো এবং ,এই মাস পর যদি বাড়ি যাই শুধু একটা পোশাক নিয়ে বাড়ি যাই ।আমার ছোট বোনটা রাগ করে কথা বলতে পারে না ।তাকে বোঝাতে পারি না,,

যে আমার বেতনে কম আমি কিনতে পারিনি বাড়িতে গিয়ে মায়ের ওষুধ কিনতে হয়। বাবার জন্য ভালো দেখে শার্ট কিনে দিতে হয়। না দিলে নিজের কাছে অনেক ছোট মনে হয় ।
যে আমি তো চাকরি করি,, সবাই জানে এইটুকু যদি না করি ,,তাহলে সবাই ভালো চোখে দেখে না কিন্তু কেউ তো জানে না আমি কত টাকা বেতন পাই আর খরচ আমার কত হয়। ছুটি শেষ হলে আমি ।যখন ঢাকায় আসব তখন আমার কাছে আর টাকা থাকে না। কোন এক বন্ধুর কাছে। না হলে চাচা কাছ থেকে টাকা ধার করে আমি ঢাকায় ফিরে আসি মাস শেষে যখন বেতন পায় ধার করা টাকা ফেরত পাঠায়।

আমার মনের আশা মনে থেকে যায় মাস শেষে ভালো দেখে পোশাক কিনতে পারিনা । আমি যত কম দামে শার্ট প্যান্ট পাই সেগুলো কিনি। এইগুলো পড়ে আমার চাহিদা পূরণ করি আর মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া চাই আমি যেন ভালো কিছু করতে পারি। মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া চাই মা যেন ভালো থাকে। আর আমি একদিন চাকরি করে বড় কিছু হব সেই দিন মা-বাবা মুখে হাসি ফোটাবো সেদিন আর বা
বা-মাকে কষ্ট পেতে দেবো না ভালো চিকিৎসা করাবো। বলতে খুব কষ্ট হয় ।

চোখে পানি ধরে রাখতে পারি না ।এর মাঝে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি আমার অপারেশন করতে হয় এতে আমার সংসারে অনেক চাপ পড়ে যায় আমার বাড়িতে ছাগল ছিল পাঁচটা তিনটা ছাগল বিক্রি করে আমার অপারেশন করায় আমার বাবা অনেক কষ্ট সহ্য করেছিলো।
তাই মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাই যেন আমার বাবা মা কে আল্লাহ পাক সুস্থ রাখে আমার অপারেশন করা হলো ছয় মাস পর আমি এমন একটি চাকরি খুঁজি যেখানে বেশি কষ্ট করা লাগবে না তারপর আমার এক বন্ধু সে গড়ায় হাঁটুভাঙ্গা থাকতো ।

সেখানে সিকিউরিটি চাকরি করতো তার হাত ধরে আমি তার কাছে আসলাম সে আমাকে সিকিউরিটি চাকরি নিয়ে দিল আমি চাকরিটা খুব সম্মান দিয়ে করতাম তখন মনে হয় চাকরিটা আমার জন্য অনেক কিছু। এখন মহান আল্লাহ পাকের অশেষ দয়াতে একটু ভালো আছি।

@fz5