Contest : Love For Animal
মুখোশ পরিহিত ছবিতে আমি @mrnazrul
আচ্ছালামুয়ালাইকুম সবাইকে রাতের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্ট লেখা শুরু করছি। আমার আজকের লেখাটি @badsha1 আনিত @ Love for Animal প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তৈরি করার চেষ্টা করছি। এমন সুন্দর ও সর্বজন পরিচিত এমন একটি পোস্ট আনার জন্য আমি বন্ধু @বাদশাকে ধন্যবাদ জানাইয়া দোয়া করছি। তার আনিত প্রতিযোগিতার নিয়মকানুন ও বাচনভঙ্গির জন্য গুলো খুবই সাধারন ও সাবলীল।
এরা ডাকবাংলোয় বসবাস কারী লোকজন।
বন্ধু স্টিমিয়ান, আমি @mrnazrul #Bangladesh থেকে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করি। আমি ইদানিং @NaturalTaker নামে একটি নিজস্ব
কমিউনিটি করিচালনা করি।আমার কমিউনিটির লিংক নিচে দেওয়া আছে। সবাইকে ফলো ও পোস্ট করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কিউরেটর বন্ধু দের নজরে আনার জন্য এখানে এসব উল্লেখ করা হলো। আশা রাখছি সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষিত করবে।
জ্বী বন্ধুগন বলছিলাম প্রতিযোগিতা পোস্টের কথা। দীর্ঘ দিনের জীবন বিরতির পর গত বছরের এই রকম সময় থেকে আমি নিজ এলাকায় বসবাস শুরু করছি। গ্রামে বাস করার সুবাদে ও পরিবারের সবার চাহিদা ও শখ মেটাতে ৩টি মুরগী, ৩টি হাঁস ও একটি বকরির বাচ্চা কিনি পালন শুরু করি। ছাগলটি গাভিন হলে, কয়দিন পরে আরও একটি ছোট্ট বকরির বাচ্চা কিনি। হাঁস,মুরগী ও বকরি কেনার পর এবার, পুরোনো লালন করা শখটি পুরোদমে জেগে। বাড়ির কাউকে কিছু না বলে, এবার হাট থেকে একটা গাভিন ভেড়া কিনে নিয়ে আসি।সবাই চমকে উঠে। চমকে উঠার কারন পরিবারের সবাই হাঁস, মুরগী ও বকরি পছন্দ করলেও ভেড়া একে বারেই না। কারন তাদের মতে ভেড়া পালনে ঝামেলা বেশি। এখন এনেই ফেলেছি, কি আর করার। সবাই বলছে, গাভিন তো ভালই হয়েছে।
অন্য পোষা প্রানির মত এটকেও আমরা সবাই মিলে লালন পালন করা শুরু করলাম। মাষ তিনেক পরে ভেড়াটি ২টি ফুটফুটে বাচ্চা প্রসব করল। বাড়ির সবাই খুশি হলো। আরো বেশি বেশি করে যত্নআত্তি করতে লাগল। এবার নতুন করে আবারও আলোচনায় আসল এই ভেড়াটি।
সবাই বলতে লাগল একটা পাঠা ভেড়া লাগবে। কারন ভেড়া প্রসবের ৪০ দিন পর গরম হবে। এসময় পাঠার সান্নিধ্যে না পেলে, ভেড়াটি নষ্ট হয়ে যাবে। যা পরবর্তী প্রজননের বাধা হয়ে দাড়াতে পারে। কি আর করার আবার একটা পাঠা ভেড়া কিনলাম। আবার ভেড়াটি গাভিন হলো। ৬/৭ মাস পরে আবার ভেড়াটি ২টি বাচ্চা প্রসব করল। এখন আমার পালে ৬টি ভেড়া আছে। মা ভেড়াটি আবার গাভিন হয়েছে। আগের ঝাকের একটি বাচ্চা পাঠা ও একটি পাঠি। যার পাঠিটি খুব শিগগির গরম হওয়ার লক্ষন দেখা যাচ্ছে।
খুব সাধারণ ও পারিবারিক ভাবে আদর যত্ন করে এদের পালন পদ্ধতি চলছ। বিশেষ কোন অসুবিধা ছাড়া এদেরকে খাবার দেওয়ার কোন প্রয়োজন পড়ে না। নিজেই রাস্তার ধারে চলে ফিরে খেতে অভ্যস্ত।বর্তমানে ইরি ধান পাকা ও কাটা মৌসুম চলছে।ধান খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই কয়েক দিন থেকে এই ডাকবাংলোর ভিতরে এগুলোকে ঢুকে দেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দিলে, বাড়িতে চলে আসে।এর ফাঁকে দুপুরে একবার পানির ব্যবস্থা করা হয়।
প্রিয় বন্ধুগন, আজ এই ছিল আমার Love For Animal প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারি লেখনি,কাহিনি ও ছবি। দেখুন ভাল লাগলেও লাগতে পারে। উপভোগ করুন।
আমার পোষ্টটি আনন্দ সহকারে উপভোগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং পরবর্তী পোষ্ট দেখার জন্য আপনাকে স্বাগতম।
Camera | Cheap mobile handset |
---|---|
Edit | Original Photo |
Category | Love For Animal |
Light | Natural Light |
Location | Bhendabari, Rangpur. |
Country | Bangladesh |
Photo Teker | mrnazrul |
Follow my community-
https://steemit.com/trending/hive-130117
My Blog-
https://safemedi.blogspot.com/
My Facebook -
https://www.facebook.com/profile.php?id=100014711262590