আমি এবং আমার দুইটা কাজিন মিলে একটি সেমিভাইনাল ফুটবল ম্যাস উপোভোগ করেছি। 🥰

আজকের দিনটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আমারা গত কাল থাকে এই সেমি ফাইনাল ম্যাস টি দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এই ফুটবল মাঠে হাজার হাজার দর্শক ভীড় করে এই খেলা দেখার জন্য। আমারাও এই খেলা টি দেখার জন্য সেখানে গেছিলাম। বাংলাদেশ এর মানুষ এর কাছে ফুটবল অতি প্রিয় একটি খেলা। বাংলাদেশ এর মানুষ ফুটবল খেলা পছন্দ করে না এমন মানুষ বিরল ।

আমরা ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার এক ঘন্টা আগেই মাঠে গিয়ে উপস্থিত হই। কারণ এখানে দর্শকের এত পরিমাণে ভিড় হয় যে আগে থেকে না গেলে খেলা দেখার জন্য জায়গায় পাওয়া যায় না। আমরা খেলা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই গিয়ে উপস্থিত হই।আজ যে দুটি টিমের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেটি টিমের নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

এই খেলাটির জন্য আমাদের টিকিট কাটতে হয়।এবং আমাদের গাড়ি রাখার জন্যও টিকিট কাটতে হয়। আমাদের প্রত্যেকের এক একজনের টিকিটের মূল্য নিয়েছিল 10 টাকা। গাড়ি রাখার জন্য যে টিকিট তার মূল্য 15 টাকা।

আমরা যাওয়ার পর যেহেতু এক ঘন্টা সময় ছিল তাই আমি আমার চাচাতো ভাইয়েরা মেলে কিছু ফাস্টফুড খাওয়া দাওয়া জন্য গেলাম । এই খেলাধুলা কে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন রকমের খাবারের ছোট দোকান তৈরি হয়েছে। এই ব্যবসায়ীরা এই খেলাকে কেন্দ্র করে এখানে ব্যবসা করে থাকেন। এখানে বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি করা হয়।তারমধ্যে রয়েছে শরবত, বাদাম ছোলা। বিভিন্ন রকম এর চপ সহ অনেক কিছুই।

আজকের দিনটি ছিল অত্যন্ত গরমের একটি দিন। এই গরমে শরবত দেখে আমাদের সকলেরই শরবত খেতে ইচ্ছা করেছিল। গরমের দিনে ঠান্ডা শরবত সবারই প্রিয়। শরবত খাওয়া শেষ করে আমরা আমাদের জায়গায় খেলা দেখার জন্য বসে পড়ি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মাঠের চারপাশে দর্শক কানায়-কানায় ভর্তি হয়ে গেল। যেন পা ফেলার ও একটু জায়গা নেই এমন অবস্থা।

প্রচন্ড গরম এর কারণে মাথায় ছাতা ধরে দর্শকরা খেলা উপভোগ করছিলো। এই খেলার প্লেয়ারদের মধ্যে একজন খেলোয়াড় ছিলেন নাইজেরিয়া থেকে আগত। নাইজেরিয়ান প্লেয়ার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খেলা খেলছিল। তিনি খেলা 30 মিনিট পর প্রথম গোলটি করেছিলেন হোগোলবাড়িয়াএ পক্ষ হয়ে।গোল হওয়ার কিছু খন পর হাফ টামিম এর বাশী দিলেন রেফারী। হাফটাইমের পরে আরও দুটি গোল করেন এই টীম। 3/0 গোলে পরাজিত হয় সামপুর একাদশ। খেলা শেষ হওয়ার 5 মিনিট আগেই আমরা বেরিয়ে পড়ি কারন বের হওয়ার সময় অনেক দর্শক একসাথে বের হতে গেলে একটি বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি হবে। বের হওয়ার সময় আমি আমার চাচাতো ভাইদের সাথে একটি দুকানে দাড়ীয়ে ডিমের চপ এবং চটপটি খেয়েছিলাম।

সব শেষে বলতে চাই আমারা মাত্র 10 টাকার টিকিট দিয়ে সুন্দর একটি ম্যাস উপভোগ করি। 3 জন রেফারি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খেলাটি সম্পূর্ণ করেন। এবং প্লায়ারা ও খুব সুন্দর ভাবে তাদের খালা আমাদের উপহার দেন। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। এই খেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কিছু ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের এই কার্যক্রম।আমি এই ফুটবল ম্যাচ পরিচালিত কমিটি কে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে এই খালা যেমন হাজার ও মানুষের বিনদন দিচ্ছে। আরো দিচ্ছে শত মানুষের জীবিকার অবলম্বন । সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন এই কামনা করে শেষ করছি আজকের ডাইরি গেমস পোস্ট।

🌹🌹Steem For Bangladesh🌹🌹