SEC-S6W4: '' My Life,My Day - The Diary Game| "বিজয় দিবস" পালনের সাধারণ দিনলিপি।
স্টিমিটের বন্ধুরা,
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায়। আমি আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে স্টিম ফর বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ডাইরি গেম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আসলে এই প্রতিযোগিতায় আমাদের বাংলাদেশের একটি বিশেষ দিনের আমার নিজের বেশ কিছু কার্যক্রম সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। বিশেষ দিন এই কারণেই বললাম গত ১৬ই ডিসেম্বর ছিল আমাদের বিজয় দিবস। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জনের যে আনন্দ যে অনুভূতি সেগুলোই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বিজয় অর্জন করতে কার না ভালো লাগে পৃথিবীতে যত যুদ্ধই সংঘটিত হয়েছে সেখানেও জয় পরাজয় ছিল এবং যেই যুদ্ধে জয়ী হয়েছে সে সেই দিনটিকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে থাকে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ওই যুদ্ধে তারা জয়ী হয়েছিল তাদেরকে স্মরণ করার জন্য। ঠিক আমরাও এরকম একটি দিনকে স্মরণ করে থাকি সেটা হচ্ছে আমাদের এই ১৬ই ডিসেম্বর। আমাদের বাঙ্গালীদের জন্য এই ১৬ ডিসেম্বর ব্যাপারে তেমন কিছু বলার নেই আমার বিশ্বাস আমরা সবাই এর ব্যাপারে অবগত রয়েছি। বিজয় তো বিজয়ী সেই আনন্দে আমরা সবাই আনন্দিত উদ্ভাসিত যা আসলে বাসায় প্রকাশ করার মতো না। নিচের এই ফুলগুলো দিয়ে আমি শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
প্রতিদিনের মতো সকাল খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে আল্লাহতালা দরবারে দু'হাত তুলে মোনাজাত করলাম তাদের জন্য যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি, একটা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ পেয়েছি। সেই সাথে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সবকিছুই বিচার বিশ্লেষণ করে যাতে আমাদের দেশ আরো সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য দোয়া করেছি। এরপর দোয়া করেছি আমার পরিবারের জন্য সেই সাথে আত্মীয়-স্বজন সবার জন্য যা আমি প্রতিদিনই করে থাকি। এভাবেই আমি চেষ্টা করি প্রত্যেকটা দিন শুরু করার জন্য। তারপর আবার কিছুটা রেস্ট নিয়ে একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠলাম কারণ দিনটি যেহেতু একটি ছুটির দিন তাই বাচ্চারা সবাই বাসায় থাকবে। সেটা আর হলো না কারণ ছেলের স্কুলে সকাল আটটার সময় এই বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান হবে সেজন্য ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হবে।
সেদিন সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে সবার জন্য নাস্তা তৈরী করে নিলাম। এদিকে ছেলের স্কুলে যেহেতু অনুষ্ঠান ছিল তাই আগের দিন ছেলের জন্য তার দাদু স্কুল ড্রেস কিনে নিয়ে এসেছিল, একটি সাদা শার্ট ও একটি কালো প্যান্ট। সেটা পেয়ে আমার ছেলে যে কি আনন্দিত তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। সেদিন সেও স্কুলে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে গেল। অন্যান্য দিন ছেলেকে একটু জোর করেই নাস্তা খেয়ে স্কুলে পাঠানো হতো কিন্তু আজকে আর সেই সময় নেই তার সেই স্কুলে যাবে নতুন ড্রেস পরে এজন্য তো সে খুবই আনন্দিত উচ্ছাসিত। তাই নিজে নিজের নাস্তাটা খেয়ে নিল এবং আর দেরি না করে স্কুল ড্রেসটা পরে নিল। আমিও তাকে সব ঠিকঠাক করে রেডি করে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করে নিলাম।
আমি ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় ছেলের বাবা এবং বড় মেয়েকে বললাম সবাই উঠে যাতে নাস্তা করে নেও। তারা ও সময় উঠে গেল এবং সবাই হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে নিল। আমি মনে করেছিলাম ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাব কিন্তু তার ফুফু তাকে নিয়ে গেলো, কারণ তার ছেলেও ওই স্কুলে পড়ে একসাথে দুজনকে নিয়ে চলে গেল, আমার আর যাওয়া হলো না। যাইহোক তারপর হালকা কিছু বাজার করার জন্য বাইরে গেলাম শাকসবজি কিনে নিয়ে আসলাম। কারণ আমি আবার সব সময় সবাইকে শাকসবজি বেশি করে খাওয়াতে চেষ্টা করি।
বাজার করে আনার পর আমি খুব তাড়াতাড়ি দুপুরে রান্নাটা সেরে নিয়েছিলাম এবং বড় মেয়েকে বললাম যে আমরা বাজারে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করব। বিশেষ করে বড় মেয়ের জন্য একটা জ্যাকেট কেনার দরকার। যে ঠান্ডা পড়েছে সকালবেলায় কলেজে বের হয়ে যায় জ্যাকেটটা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তাই আর দেরি না করে বড় মেয়েকে সাথে নিয়ে বাজারে দিকে রওনা হলাম ওই দিকে নাস্তা করে আমার স্বামী তার দোকানে চলে গিয়েছিল এবং তাকে ফোন করে বাজারে আসতে বলে দিলাম। সেও দোকানের ছোট ভাইকে বসিয়ে বাজারে চলে আসলো তা আমরা কিছু কেনাকাটা করে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গেলাম। কারণ শুক্রবার ছিল এদিকে আমার স্বামী জুমার নামাজ পড়তে যাবে তাই আর বাজারে বেশি দেরি করলাম না, কিছু কেনাকাটা করে আর মেয়ের জন্য একটা জ্যাকেট কিনে নিয়ে চলে আসলাম।
বাজার থেকে ফেরার পথে ছেলে এবং মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসলাম কারণ ওই সময় তাদের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার ছেলে সেখানে অঙ্কন প্রতিযোগিতা দিয়েছিল যদিও এখনো ফলাফল জানায়নি। সবাই বাসায় এসে হাত মুখ ধুয়ে গোসল করে নিলো। এদিকে আমি ঘর গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে গোসল করে নিলাম। আমার স্বামী এবং ছেলে ওরা রেডি হয়ে মসজিদে চলে গেল জুমার নামাজ পড়ার জন্য। আমিও এদিকে নামাজ পড়ে আরো কিছু টুকটাক কাজ শেষ করে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম তাদের জন্য। নামাজ শেষ করে তারাও বাসায় ফিরে আসলো, সবাই মিলে দুপুরের খাবারটা সম্পন্ন করলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার স্বামী চলে গেল দোকানে। আমরা এদিকে সবাই মিলে বেশ কিছুটা সময় বিশ্রাম করে নিলাম যেহেতু প্রথম দিকটা অনেক দৌড়ঝাঁপ হয়েছে সকলের। স্টিমিটে সেই দিন আর কাজ করার সুযোগ হয়নি শরীরটাও খুব একটা ভালো লাগছিল না, কারণ অনেক কাজ করা হয়েছিল সেইসাথে অনেক ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয়েছিল যার কারণে দুপুরবেলায় কিছুটা ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম।
এরপর বিকেলে অন্যান্য দিনের মতোই সকলের জন্য বিকালের কিছু নাস্তা তৈরি করে নিলাম যেহেতু কোন স্পেশাল নাস্তা তৈরি করিনি তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম না। ঐদিন আর বাচ্চাদেরকে বাইরে যেতে দেয়নি খেলার জন্য। তাদেরকে বিকালের নাস্তা সারিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম ঘরের মধ্যে খেলাধুলা করার জন্য। ঐ দিন তাদেরকে পড়ালেখার জন্য চাপ দেই নি বা বলিনি পড়ার জন্য। জানেন তো বাচ্চাদেরকে নিয়ে পড়তে না বসলে ওরা পড়তেও চায়না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে টিভি দেখছিলাম বাচ্চারাও দেখছিল তাদের পছন্দের বেশ কিছু কার্টুন। তো আর কি করার এভাবেই রাতের খাবার খেয়ে সবাইকে ঘুমিয়ে যেতে বললাম। তারপর আমি এশার নামাজ আদায় করে বেশ কিছুক্ষণ তসবি তাহলীল করে তারপর আমিও শুয়ে গেলাম। এভাবেই আমার মোটামুটি দিনটি কেটে গেল।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার দিনলিপিটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তে
@sanuu
The diary you wrote is a delight to read. The greens you made for lunch look delicious. I hope you enjoy eating them. All the best
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you for participating.
We support quality posts, and good comments anywhere, with any tags.