খুলনা বিভাগ ভ্রমণ পর্ব ১ প্রথমে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম
বগুড়া থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা
হ্যালো
আমি রাব্বী বগুড়া থেকে
Inshort দিয়ে এডিট করা
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের মাঝে আমি বিগত কয়েক মাস যাবত উপস্থিত হতে পারিনি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের মাঝে বলেছিলাম আমি একটি জবে এপ্লাই করেছি এবং আমার জব সম্পন্ন হয়েছে। যার কারণে আমি আপনাদের মাঝে নিয়মিত উপস্থিত হতে পারিনি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাকে ১৭/১৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। যে কারণে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে ব্যর্থ ছিলাম।
যাই হোক আমি বর্তমানে খুলনা বিভাগে ভ্রমণ করতে যাব এবং খুলনা বিভাগে যতগুলো জেলা আছে প্রত্যেকটা জেলায় ভ্রমণ করব। এর মধ্যে থাকছে খুলনা যশোর বাগেরহাট সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ। প্রত্যেকটা ভ্রমণ গল্প আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আমি তৈরি।
রাস্তায় একজন বয়স্ক মহিলা ফুল বিক্রয় করছে
সকালবেলা ৬.৩০ মিনিটে আমার বিআরটিসি বাস মিস হওয়ার কারণে আমাকে খুব কষ্ট করে যশোরে পৌঁছাতে হল। রাস্তার মধ্যে নাটোরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখলাম এখন বয়স্ক মহিলা ফুল বিক্রয় করছে। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম সে কাঁপছে। সে আমার কাছে আসলো এবং আমাকে ফুলগুলো কিনতে বলল তার ফুলের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাকে আমি কিছু টাকা দিলাম এবং তার কাছ থেকে সমস্ত ফুল নিয়ে নিলাম। তিনি অবাক হয়ে তার কাছে টাকা ভাংতি করার চেষ্টা করল। কিন্তু তার কাছে ভাংতি টাকা ছিল না। আমি বললাম আমাকে ফেরত দিতে হবে না। আমি ফুলগুলো অনেকক্ষণ আমার কাছে রেখেছিলাম কিন্তু বাস থেকে নামতে নামতে ফুল গুলোর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেল যদিও ফুলগুলো আগেও অনেক খারাপই ছিল। কেউ টাকা দিয়ে ফুল গুলো কিনত না।
দীর্ঘ সময় বাসের মধ্যে অতিবাহিত করা
যখন কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে আমাদের গাড়ি পার হচ্ছিল তখন আমি খুব বিরক্ত বোধ করছিলাম। সেখানে একটি হোটেলে বাস দাঁড়িয়ে ছিল এবং আমি সেখান থেকে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করলাম। তারপর পুনরায় যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যশোর শহরে যাওয়ার পথে যতটুকু সম্ভব হয়েছে বাস থেকেও ফোনে ছবি সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট গেট
যশোর শহরে ঢুকতেই আমার চোখে পড়ল যশোর শহরের ক্যান্টনমেন্ট। খুব সুন্দর ক্যান্টনমেন্ট এবং অনেক বড় যশোরের এই ক্যান্টনমেন্ট। এখানে একটি চমৎকার দৃশ্য রয়েছে ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে দিয়ে খুলনা টু সৈয়দপুর গামী রেল স্টেশন এদিক দিয়ে দেখা যায়। এর মানে আমি বোঝাতে চাচ্ছি ক্যান্টনমেন্ট এর মধ্য দিয়ে রেল লাইন রয়েছে যেদিক দিয়ে সচরাচর ট্রেন চলাচল করে।
যশোরের গ্রাম্য পরিবেশে আমি
যশোর শহরের মধ্যে গ্রাম্য পরিবেশ রয়েছে। আমি বাস থেকে নেমে গ্রাম্য পরিবেশের কয়েকটি ছবি তুলেছি এবং নিজের একটি সেলফি তুললাম। কিছু ছবি আমি নিচে উপস্থাপন করলাম পরবর্তীতে আবার উপস্থাপন করব।
রাস্তার দুপাশে ধান সহ আরো অনেক আবাদি জমে রয়েছে
রাস্তায় চলার পথে দেখলাম অনেক গম ও ধান সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির জমি রয়েছে। সবজির জন্য আমাদের বগুড়া শহর বিখ্যাত তবে এখানেও অনেক সবজি আবাদ হয় দেখছি।
ছবিগুলো দেখে কিছুক্ষণের জন্য মনে হচ্ছিল আমি আমার বগুড়া শহরেই আছি
ধানের জমি গুলো দেখে আমার মনে হচ্ছিল আমাদের বগুড়া শহরের পাশের থানা গুলোতে গ্রাম অঞ্চলে আবাদি জমে রয়েছে এবং সেখানে প্রচুর ধান উৎপন্ন করা হয়। কিছুক্ষণের জন্য মনে হচ্ছিল আমি আমার বগুড়া শহরের পাশের থানার ধানের জমিগুলো দেখছি।
যশোর শহরের মেইন্ট পয়েন্ট দড়াটানা
সন্ধ্যাবেলা যশোর শহরের মধ্যে ঢুকলাম। অনেক যানজট ও ব্যস্ততম শহরের মাঝে এই দড়াটানা মোড়ে আমি কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করলাম। আমাদের বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র যেমন বগুড়া সাতমাথার মোড়। ঠিক তেমনি যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রের নাম হচ্ছে দড়াটানা। এই নামকরণে একটি নদী রয়েছে যা খুলনা এবং বাঘেরহাটের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। আমি বাগেরহাটে এসে এই তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
যশোরের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল মনিহার
যশোর শহরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল রয়েছে। এই সিনেমা হলের নাম হচ্ছে মনিহার। আমি বর্তমানে মনিহার হলের সিনেমার সামনে ছিলাম তখন এই ছবিটি ধারণ করেছি। এবং সেখানে আবাসিক হোটেলে রাত্রে যাপন করেছি। আজকে এই পর্যন্তই পরবর্তীতে যশোর ভ্রমণ পর্ব ২ নিয়ে আমি উপস্থিত থাকবো।
Device Name | Galaxy F23 |
---|---|
Camera | 50 mp |
Image type | travel Photography |
Photographer | @rabibulhasan71 |
Editing | lightroom |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Hi, Greetings, Good to see you Here:)