দেশের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন আরো একটি নতুন দিনের সাথে সবার জীবন সুন্দর কাটুক সেই কামনা করছি।
পৃথিবীর প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছে। পৃথিবীর এই ব্যাপক পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হচ্ছে মানুষের ।পৃথিবীকে উন্নত করার জন্য মানুষ দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
আজ থেকে ১০০ বছর আগের পৃথিবী এবং বর্তমানে পৃথিবী যদি আমরা কল্পনা করি তাহলে এখানে আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা যাবে । এক সময় ১০ তলা ১৫ তলা ২০ তলা ভবন তৈরি হবে এই বিষয়টা নিয়ে কখনো মানুষ কল্পনা করেনি। কিন্তু আজ বিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা ১০০ তলার চেয়ে বেশি ভবন আমাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান। আমেরিকার টুইন টাওয়ার বুর্জ খলিফা হচ্ছে এর জলজ্যান্ত উদাহরণ।
একটির অবস্থান বর্তমানে না থাকলেও অন্যটি এখনো পর্যন্ত দুবাইয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ।
এভাবেই ক্ষুদ্র জিনিস থেকে শুরু করে বৃহৎ পরিমাণে প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যে মানুষের অবদান ।একটা দেশকে উন্নত করতে চাইলে সে দেশের প্রযুক্তিকে উন্নত হতে হয় ।যে দেশের প্রযুক্তি যত বেশি উন্নত সেই দেশ তত বেশি আধুনিক ও উন্নত। একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থার উপর ।
যে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা যত ভালো সে দেশের উন্নয়ন ততো দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায় ।
কারণ পৃথিবীর এক এক স্থানে এক একটি জিনিস উৎপাদিত হয় এবং এটা যদি সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তারিতভাবে সমপরিমাণ ছড়িয়ে দিতে চাই তাহলে অবশ্যই সুন্দর একটি যাতায়াত ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
সুন্দর যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকলে আমরা যথাসময়ে সমপরিমাণ জিনিস সে জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো না যার কারণে উন্নয়নে প্রভাব পড়ে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ তার যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য গত ১০ বছরে প্রচুর পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট দেখেছি।
এর মধ্যে আছে ঢাকা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চার লেইন মহাসড়ক এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর টানেল।
টানেল নিয়ে আজকে কয়েকটা বিষয় আপনাদের সামনে আলাপ করতে চাই।
উদ্বোধন হওয়ার পর এটা যখন উপযুক্ত ভাবে ব্যবহার করা যাবে তখন এর বেশ কিছু সুবিধা মানুষ উপভোগ করতে পারবে ।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহরে সাথে আনোয়ারা থানা বাঁশখালী এই এলাকাগুলোর সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যম হবে টানেল।
টানেল তৈরি করার পেছনে সরকারের পরিকল্পনা ছিল টু টাউন ওয়ান সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে মেগাসিটিতে রূপান্তরিত করা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের একটি শহর এর মূল এলাকা গুলোতে প্রযুক্তি যাতাযত ব্যবস্থা ও উন্নত জীবন জীবন থাকলেও চট্টগ্রামের এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু গ্রাম অঞ্চল রয়েছে যেখানে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। তাই এসব এলাকার উন্নয়ন এবং এখানকার অন্যান্য চাহিদা গুলো পূরণের ক্ষেত্রে টানেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রামে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে ।টানেলের উদ্বোধনের ফলে পথের ব্যবস্থা যেহেতু একটু সহজ হয়ে যাবে ফলে মানুষজন গ্রামীণ এলাকার কাছাকাছি যেসব পর্যটন এলাকার রয়েছে সেখানে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।
এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক গ্রামের লোক রয়েছে যারা প্রতি দিন তাদের কর্মজীবনের জন্য অনেক দূর পর্যন্ত যাতায়াত করে তাদের কর্মজীবন অতিক্রম করছে । টানেলের ফলে তাদের সময়টা বেঁচে যাবে এবং যাতায়াত খরচ কমে আসবে। জীবন যাত্রার মান আর একটু সহজ হয়ে যাবে।
এছাড়াও টানেল উদ্বোধন হয়ে গেলে বেশ কিছু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যাক্টরি আনোয়ারা তৈরি করা সম্ভাবনা রয়েছে ।
বর্তমানে আনোয়ারা মধ্যে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরি রয়েছে। চট্টগ্রামের বৃহৎ ইউরিয়া সার ফ্যাক্টরি রয়েছে আনোয়ারা থানার মধ্যে ।এছাড়াও আরো বেশ কিছু ফ্যাক্টরি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে এই এলাকায়।টানেলের উদ্বোধনের পর এই ফ্যাক্টরিগুলোর কাজ শুরু হবে এবং অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে ।দীর্ঘ কয়েক বছর কার্যক্রম চলার পর আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টানেলের উদ্বোধন করার একটা ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে এসেছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪ ডিসেম্বর চ্যানেলের রোড সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ।টানেলের বাহিরের যে রাস্তা রয়েছে সে রাস্তার কাজগুলো কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। টানেল এর রাস্তা গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে তবে বর্তমানে মানুষজন সেখানে প্রতিদিনই বেড়াত যায়।মানুষ হাটাহাটি করতে পারছে কিন্তু গাড়ি চলাচলের জন্য এটা এখনো পর্যন্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। যেহেতু টানেলের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ তাই আপা তত রক্ষণাবেক্ষণকারী যারা আছে তারা ছাড়া কেউ টানেলের রোডে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না ।
রাস্তার চারিদিকের সব কাজ শেষ শুধুমাত্র টানেল এর অভ্যন্তরীণ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। টানেল এর অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এছাড়া যে বড় কাজগুলো রয়েছে সবগুলো কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। পদ্মা সেতুর পর আরো একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ।বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি আরো একটি বড় অর্জন।
এদেশ আমাদের সবার এদেশের উন্নয়ন এবং দেশটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা সবাই যদি নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলিত হই তাহলে অবশ্যই এই দেশটাতে আমরা সবাই মিলে সুন্দরভাবে জীবন অতিক্রম করতে পারব ।
আসুন আমাদের এই দেশটাকে ভালোবাসি এবং দেশের প্রত্যেকটা সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত ব্লগটি পরার জন্য আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.