The dairy game। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ঘাট হতে আনোয়ারা রাঙ্গাদিয়া ঘাট পর্যন্ত ভ্রমণ |29 March 2024
আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গ্রামের বাড়িতে কয়েকদিন সময় কাটানোর পর পরিকল্পনা করেছিলাম শহরে গিয়ে কিছুদিন থাকবো। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য ২৫ তারিখের দিকে চট্টগ্রাম শহরে চলে গিয়েছিলাম পতেঙ্গা। পতেঙ্গা পর্যন্ত যাওয়ার সময় যে সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানগুলো রয়েছে এবং আপনারা কোথায় গেলে সুন্দর স্থান দেখতে পারবেন সেটা সম্পর্কে এর আগে একটি বিষয় লিখেছিলাম। পতেঙ্গা থেকে চাইলেই গো খুব সহজে কিন্তু চট্টগ্রামের আরো একটি বিখ্যাত স্থান আনোয়ারা পার্কে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করায় আসার সুযোগ হয়। পতেঙ্গা থেকে আমার খেলা মনের বাসায় দুই তিন দিন ভ্রমণ করার পরে গতকালকে চলে এসেছিলাম নদীর পথে আমার গ্রামের বাড়িতে। প্রথম মেয়ে পতেঙ্গা মাইজপাড়া থেকে অটো একসাথে করে চলে এসেছি নয় নাম্বার ঘাট। কর্ণফুলী নদীতে অনেকগুলো ঘাট রয়েছে যেখানে এসে বিভিন্ন লঞ্চ স্টিমার কিংবা কার্গোশিপ গুলো এসে দাঁড়ায়। এরমধ্যে সবার শেষে যে গাট্টার রয়েছে সেটা হল ১৫ নম্বর ঘাট কিংবা এয়ারপোর্ট ঘাট। আমার বাড়িতে আসার জন্য ১৫ নম্বর ঘাটতি ব্যবহার করতে হয়। সকাল 11 টার দিকে ১৫ নম্বর ঘাটে পৌঁছে গিয়ে যখন দাঁড়ালাম তখন আমি এবং আরো একজন মানুষ ছাড়া ওখানে আর কেউই ছিল না।
অনেকক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে কিছু মানুষ চলে এলো। একটি ছোট বোর্ডে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন কমপ্লিট হওয়ার পরে ঘাট থেকে এই বোট গুলো ছাড়ে। যেহেতু রমজান মাস তাছাড়া আমরা যে সময়টাতে ঘাটে গিয়েছি সেই সময়টাতে খুব একটা যাতায়াত হয় না। তাই ২০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি রওনা দিল।নদীপথে চলাচল করার সময় অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। কারণ এখানে মাঝেমধ্যেই বড় বড় জাহাজ গুলো আসে যেগুলোর ঢেউয়ের কারণে ছোট নৌকাগুলোর জন্য একটু বিপদজনক। নৌপথে যাতায়াতের আরো একটি ভয়ের কারণ হচ্ছে যখন সমুদ্র উত্তল থাকে সেই সময়টা। গতকালকে অবশ্যই সমুদ্র উত্তাল না থাকলেও যথেষ্ট পরিমাণ মেঘলা আকাশ ছিল তাই নদীতে ঢেউয়ের পরিমাণটা একটু বেশি ছিল। কিন্তু তবুও স্বাভাবিকভাবে আমরা ১৫ নম্বর ঘাট থেকে রাঙ্গা দিয়া ঘাট পর্যন্ত পৌছাতে পারলাম।
রাঙ্গা দিয়া ঘাট থেকে আমার গ্রামের বাড়িতে আসা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সুন্দর রাস্তা অতিক্রম করে আসতে হয়। প্রথমেই ইউরিয়া সার ফেক্টরির রাস্তা অতিক্রম করার পরে আমরা চলে আসি আমাদের গ্রামের মূল রাস্তা। বর্তমানে এখানে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। রাস্তার দুইপাশের ঝাউ গাছ সহ অন্যান্য গাছ থাকার কারণে পরিবেশটা খুবই সুন্দর লাগে।মেঘলা আকাশের যখন এই রাস্তাটা দিয়ে যাওয়া হয় তখন বৃষ্টি জুড়িয়ে যায়। আপনাদের কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই ভ্রমণ করতে চলে আসুন আমাদের গ্রাম পারকি
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)