The dairy game। ফুপির বাসায় ভ্রমণে একদিন 24 April 2024
আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
ভ্রমণ করার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগ সবচাইতে সুন্দর এই বিষয়টা নিয়ে অনেকগুলো ব্লগে আলোচনা করেছে। চট্টগ্রামের গ্রামগুলো কিন্তু দেখতে খুবই চমৎকার এবং চারিদিকে কিন্তু সবুজের সমরহ। শুধু চট্টগ্রাম বলে কথা না আমাদের বাংলাদেশে মোটামুটি যতগুলো গ্রামে আমি ভ্রমন করেছি সবগুলোই খুবই সুন্দর কারণ এখানে প্রকৃতির ছোঁয়াটা রয়েছে। আমি যে কয়দিন গ্রামের বাড়িতে থাকি চেষ্টা করি আশেপাশে যত কাছের মানুষ আছে আত্মীয় স্বজন আছে সবার বাসাতে গিয়ে ঘুরে আসতে সবার খোঁজ খবর নিতে। তো কিছুদিন আগে চলে গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম পটিয়া এলাকাতে। এইখানে আমার ফুপির শশুর বাড়ি এবং প্রতিবছর এই আমি একদিনের জন্য হলেও এখানে গিয়ে ভ্রমণ করে আসি। আর ফুপির বাসায় যাওয়ার চন্দন নাইস যায় যেখানে আমার মুরুব্বী থাকে অর্থাৎ দাদি।প্রতিবছর ঈদের পরেই আমরা চেষ্টা করি আমাদের আত্মীয় মধ্যে যারা বিভিন্ন স্থানে আছে সবার সাথে দেখা করে আসার। চন্দনাই উপজেলা থেকে পটিয়া আমার ফুপির বাড়ির যেতে গাড়ি ভাড়া খরচ হয় মাত্র 30 থেকে 40 টাকার মত।
বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লাম প্রথমে চাচুর সাথে। চাচার সাথে যাওয়ার কারণে একটা সুবিধা হয়েছে চাচী যেহেতু অফিসে যাবে আমাকে মাঝে পথে তিনি নামিয়ে দিবেন অনেকটা পথ আমার জন্য সহজ হয়ে গেল এবং দূরত্ব অনেকটা কমে গেল। সাথে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হলো না চাচুর সাথে বাইকে করে চলে গেলাম একদম অর্ধেকের চেয়েও বেশি পথ। পরবর্তীতে চাচার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেখান থেকে কিছুক্ষণ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার পর চলে গেলাম পরিয়া স্টেশন পর্যন্ত। পটিয়া স্টেশন থেকে চাইলে ১০ মিনিট একটু কষ্ট করে হাঁটলেও ফুফির বাসার গন্তব্যের কাছাকাছি পর্যন্ত যাওয়া যায়। উড়িয়া স্টেশন থেকে সিএনজিতে করে চলে গেলাম কাগজি পাড়া রাস্তার মাথায় এলাকায়। সেখান থেকে চলে যেতে হবে অটো একসাথে করে নাইখাইন নামক এলাকা। যেহেতু এখানে একসময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল এবং এখানে বেশ কয়েকটি বুদ্ধ মন্দিরও রয়েছে তাই এই এলাকাটার নাম এইরকম ভাবে রাখা হয়েছে।
কাগজী পাড়া রাস্তার মাথা থেকে নাইখাইন পর্যন্ত যাওয়ার যে রাস্তাটা রয়েছে সে রাস্তাটার মধ্যেই আলাদা একটা সৌন্দর্য রয়েছে রাস্তার দুপাশে প্রচুর পরিমাণে গাছ রয়েছে এবং অনেকদূর পর্যন্ত ধানের সবুজ জমি দেখা যায়। এই ছাড়া ফকির বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বড় বড় পুকুর রয়েছে যেখানে এই গরমের মধ্যে দেখেই ঝাঁপ দিতে মনে চাচ্ছিল। কিন্তু যেহেতু সাময়িক সময়ের জন্য বেড়াতে গিয়েছি তাই এই সুযোগটা আর হয়ে উঠল না। প্রায় এক বছর পর ফুপির বাসায় যাওয়ার পরে ফুফি অনেক খুশি হয়েছে এবং মোটামুটি খুব ভালোভাবে আপ্যায়ন করলো। আমাদের এই ব্যস্ততম জীবনে আমাদের কাছের মানুষগুলোর সাথে আমাদের যে সুন্দর সম্পর্কটা বজায় থাকে এটাই আমাদের সম্পদ যেটা আমাদের সব সময় ধরে রাখা উচিত।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)