The dairy game। আকর্ষণীয় স্থান কাপ্তাই ভ্রমণের গল্প পর্ব এক 21 January 2024
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
আমি যখনই সময় সুযোগ পাই তখনই ঘোরার জন্য বেরিয়ে পড়ি এবং সব সময় চেষ্টা করি যে এইসব জায়গায় আমি ভ্রমণ করতে চাইনি সেসব জায়গা থেকে ঘুরে আসতে। যেহেতু এখনো পর্যন্ত প্রফেশনালি কোন চাকরি করছি না তাই যথেষ্ট সময় ফ্রি থাকি। কিন্তু তবুও একটি গ্রুপ তৈরি করে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়াটা একটা সময় ব্যাপার। অনেকদিন পর্যন্ত পরিকল্পনা করছিলাম বন্ধুরা মিলে কাপ্তাই বেড়াতে যাব সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলো গত একুশে জানুয়ারিতে। প্রথম দিকে আমরা সীতাকুণ্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও এ পরিকল্পনা পরবর্তীতে কাপ্তাইতে যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হলো। তাহলে আমার সব সময় ভালো লাগে আর শীতকালে পাহাড়ের মধ্যে একটা আলাদা সৌন্দর্য চলে আসে। সেই সাথে পছন্দ করে তাদের জন্য শীতকালটা একটা অন্যতম বিষয় হতে পারে কারণ এই সময় পানি খুবই স্বচ্ছ এবং সুন্দর হয়। তো সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার স্বার্থে আমরা একদিন আগেই চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছে গিয়েছিলাম কাপ্তাই যাওয়ার জন্য। কারণ যেহেতু আমাদের হাতে সময় আছে মাত্র একদিন তাই একদম ভোর বেলা গিয়ে আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসতে হবে তাই প্রত্যেকটা জায়গায় সঠিকভাবে প্রমাণ করার জন্য আমরা একদম সকাল সকাল বের হয়ে যাব এই পরিকল্পনা করেছিলাম। একদম ফজরের নাম আছে পরেই প্রস্তুতি নিয়ে ৬:৩০ মিনিটে বের হয়ে গেলাম ঘর থেকে কাপ্তাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সর্বপ্রথম চলে গেলাম চট্টগ্রাম বদ্দারহাট স্টেশনে সেখান থেকেই আমাদের সরাসরি লেবু বাগানের গাড়ি পাওয়া যাবে।
লেবু বাগানের গাড়ি পাওয়ার জন্য বহদ্দারহাটে সবার প্রথমে আমি গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর আমার বন্ধুরা আসলো আরো ৩০ মিনিট পরে। পরবর্তীতে আমরা দ্বিতীয় গাড়িটাতে করে গেলাম আমাদের পরিকল্পনা ছিল আটটার গাড়িতে আমরা যাব কিন্তু আমার বন্ধুরাও একটু দেরি করার কারণে আমরা ১৫ মিনিট লেট করে দ্বিতীয় গাড়িতে উঠলাম। বদ্দারহাট থেকে লেবু বাগানে করে বাসে চড়ে যেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা দশ মিনিটের মত। যদি রাস্তায় কোন জ্যাম জট না থাকে তাহলে। ৮ টা ১৫ মিনিটের গাড়িতে করে যাওয়ার পর আমরা প্রায় ৯:৩০ মিনিটে লেবু বাগানের মূল স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। যেহেতু সকাল বেলা আমাদের কোন খাবার হয়নি তাই আমরা প্রথমে চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে খাওয়া খাওয়ার জন্য। লেবু বাগানের রেস্টুরেন্ট গুলোতে আপনারা অল্প দামে খাবার পেয়ে যাবেন মাত্র ৬০ টাকার বিনিময়ে আমরা খিচুড়ি খেলাম তাও একদম ফুলপ্লেট। পেট ভরে খাওয়ার পর আমাদের গন্তব্য কাপ্তাই স্টেশন। লেবু বাগান থেকে সিএনজিতে করে 40 টাকা কিংবা ৫০ টাকা লোকাল ভাড়াতে কাপ্তাই এর মূল স্টেশনে চলে যাওয়া যায়। আমরা ৫০ টাকা করে লেবু বাগান থেকে চলে গেলাম কাপ্তাই এর মূল স্টেশনে। কাপ্তাই এর মূল স্টেশনে পৌছার আগেই খুব সুন্দর করে মাঝ বরাবর লেখা আছে আই লাভ কাপ্তাই। এই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আমরা কিছু ছবি তুললাম এবং আমরা বুঝতে পারলাম অনেক উঁচু পাহাড়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে কারণ নিচের দিকে তাকালে খুব সুন্দর একটি নদী বয়ে যাচ্ছে।
কাপ্তাইয়ের মূল স্টেশনটার চারপাশের পরিবেশটাও খুবই সুন্দর এখানে একটা নদী পাহাড়ের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে এবং একটি নদী পাহাড়ের নিচ দিয়ে বয়ে গিয়েছে। পাহাড়ের উপরে এবং নিচে দুইটা আলাদা নদী বা লেখ আর পেছনে কারণ হলো এখানে আলাদা একটি বাত নির্মাণ করা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য। এই বাত নির্মাণ করার কারণ নিয়ে পাহাড়ের উপরের দিকের যে নিচু জায়গাটা আছে সেই জায়গাটা একটা বড় খালে পরিণত হয়েছে। আপনারা চাইলে কাপ্তাই স্টেশন এর একদম শেষ প্রান্তে গিয়ে নৌকা ভাড়া করে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে এক ঘন্টা এইখানে ভ্রমণ করতে পারবেন। ভ্রমণের প্রাথমিক অংশ আপনাদের সঙ্গে এতটুকুই শেয়ার করলাম আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)