The dairy game। ঘূর্ণিঝড়ের পরে একটি চিন্তা মুক্ত দিন। 15 may 2023
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করার জন্য চলে গেলাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশের এলাকা গুলো দেখার জন্য। আর তাছাড়া আমার প্রতিষ্ঠান তো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাবনী পয়েন্টের কাছে আছে তাই প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। সকালে দশটার দিকে বের হয়ে দেখলাম বাহিরে একদম ঝলমলের রোদ এবং আকাশ মোটামুটি মেঘ কেটে গিয়ে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। এরকম একটা পরিস্থিতি দেখে কেউ বলতে পারবে না যে গতকালকে এই জেলার উপর দিয়ে একটা ভয়ংকর ঘূর্ণি ঝড়ের আশঙ্কা ছিল। লাবনীর পয়েন্টে যাওয়ার পর থেকে রাস্তার আশেপাশে অনেকগুলো গাছ রয়েছে কিন্তু কোন গাছে ভেঙ্গে পড়েনি কিংবা হেলে পড়েনি। চারপাশের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় আসলে কক্সবাজারের ওপর তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি এটা অবশ্যই আল্লাহর বিশ্বাস রহমত।
প্রথমেই গিয়ে আমি আমার দোকানের মালামাল গুলো ভালোভাবে গুছিয়ে নেওয়ার কাজে লেগে পড়লাম। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কথা শুনে আমরা আমাদের দোকানের মালামাল গুছিয়ে নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। মালামাল গোছানোর এক ফাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাড়ে নেমে গেলাম। পানির অবস্থা কেমন সেটা বোঝার জন্য এবং বর্তমানে সেই জায়গাটা দেখতে কেমন লাগছে সেই বিষয়টা উপলব্ধি করার জন্য।আজকের দিনে গিয়েও বেশ কিছু পর্যটক দেখা গিয়েছে যারা কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এসেছে। পানির অবস্থা মোটামুটি গতকালকের তুলনায় স্বাভাবিক ছিল এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীরে প্রচুর পরিমাণে সাদা বড় মাপের ঝিনুক ভেসে উঠেছিল। অনেককেই দেখলাম সাগরে নেমে ছোটাছুটি লাফালাফি এবং গোসল করছে। কিন্তু লাইভ গার্ডের পক্ষ থেকে লাল পতাকা কিন্তু এখনো সরানো হয়নি কারণ ঢেউয়ের অবস্থা এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। তবে এটা একটা খুশির ব্যাপার যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব টা কেটে গিয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আপাতত কক্সবাজারের ওপরে আর নেই। কিছুক্ষণ সমুদ্র সৈকত এলাকাতে ঘুরে দোকানের দিকে ফিরে এলাম।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে মহান আল্লাহ প্রায় সময় আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকে। এটা মহান আল্লাহর একটা বিশেষ অনুগ্রহ যে ঘূর্ণিঝড় আমাদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কথা ছিল সেটা শেষ মোমেন্টে এসে আমাদের পাশ থেকে ঘুরে চলে গেল।আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করা উচিত যে তিনি আমাদেরকে এত বড় একটা বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। আল্লাহ অবসর রহমানুর রহিম এবং তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি করার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।