ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে কক্সবাজারে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি অতিক্রম করলাম
আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
কক্সবাজার সহ বিভিন্ন উপকূল এলাকায় প্রতিবছর একটা ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক থাকেই। গত বছর এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় মুখা হামুন এর মত বেশ কয়েকটা ঘূর্ণিঝড়ের অবনতা পার করে এসেছি। ঘূর্ণিঝড় হা মনের সময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ক্ষয় হয়েছিল। কত মান সময়ে এসে আরও একটি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায়। তবে বাংলাদেশের চিহ্নিত কয়েকটি জেলাতে ভয়ানকভাবে এটি আক্রমণ করলেও কক্সবাজার জেলায় আল্লাহর ইচ্ছায় এইবারে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। কিন্তু তবুও বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি ক্ষতি দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র তীরবর্তী যাদের বসতি রয়েছে তাদের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় টা একটা আতঙ্কের সময়। নতুনভাবে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রে মালের অভাবে কক্সবাজারের তীরবর্তী তাদের বসতি রয়েছে এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে তারা সবাই একটা আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করছে।
গত পরশু দিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় নয় নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে প্রত্যেকটা দোকানের সদস্য সহ যত রকমের প্রজাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভ্রমন করতে এসেছে তাদের প্রত্যেককেই নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা যারা সমুদ্রে সবচাইতে নিকটে আমাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি আমরা সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যেই থাকে। কারণ ঘূর্ণিঝড় যদি ভয়াবহ ভাবে আক্রমণ করে তাহলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের প্রচুর পরিমাণে লস এর মধ্যে পড়তে হবে। পরশু দিন আমরা আমাদের দোকানের মালগুলো নিরাপদ স্থানে গুছিয়ে নিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়ে চলে গিয়েছিলাম। অন্যান্য সময়ের ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নির্ধারিত যেই দিন চিহ্নিত করা হয় সেদিনের পরেই মোটামুটি পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রে মালের পর থেকে আজকে তৃতীয় দিন চলছে তবুও পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে না।
আজকে সকাল বেলা থেকেই প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত এবং বাতাস হয়েছে কক্সবাজার এলাকায়। প্রায় এগারোটা থেকে যখন মোটামুটি পরিবেশ একটু স্বাভাবিক হয়েছিল তখন চলে এসেছি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কেমন আছে দেখার জন্য। যেহেতু আমরা মালামাল গুলো সব অগোছালোভাবে নিরাপদ ভাবে গুছিয়ে রেখে গিয়েছি তাই এখন এসে মালামাল গুলো পুনরায় শৃঙ্খলিতভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি। এর মাঝে এই প্রচুর পরিমাণে বাতাস পুনরায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং কিছুক্ষণ পরপর বৃষ্টি বিদ্যমান রয়েছে। এরকম একটা ঘূর্ণিঝড় আমাদের জন্য সব সময় একটা আতঙ্ক। মহান আল্লাহ এ ধরনের বিপদজনক বিষয়গুলো থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক সেই কামনা করছি
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।