আমার গ্রামের পাশে সমুদ্র সৈকতের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করে এলাম।
আসসালামু আলাইকুম
নতুন একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
প্রত্যেককেই তাদের গ্রামের বাড়ির এলাকাটা পছন্দ করে কারণ গ্রাম মানেই হচ্ছে সৌন্দর্য এবং শান্তি।শহরের জীবনটা মানুষ বাধ্য হয়ে থাকে অনেকটা চাকরির কারণে। দিনশেষে সবাই মানসিক শান্তি খোঁজার জন্য নিজ গ্রামের বাড়িতেই ফিরে আসে। বর্তমান সময়ে আমি আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছি এবং এখানে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে সময় কাটাচ্ছি।কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আমরা সব আত্মীয়স্বজনরা মিলে একটা পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। সেইদিন দুই একজন কাজ দিন এসেছিল তাদের সঙ্গে অনেকদিন পর্যন্ত দেখা হচ্ছে না এর মধ্যে একজন চাচা ও ছিল যিনি চাকরিটা বাদে শহরের দিকে থাকে কিন্তু গ্রামের দিকে খুবই কম আস হয়। ছোটবেলায় যখন গ্রামে আসতাম তখন আমরা একসাথে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে যেতাম কিন্তু এখন সবাই যার যার চাকরি নিয়ে ব্যস্ত তাই হঠাৎ একবার দেখা হয়। যেহেতু পিকনিক ছিল সেই সুবাদে বেশ কয়েকজন আমাদের সাথে পিকনিকের আয়োজন করার জন্য এসেছে। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা চিন্তা করলাম বিকেলবেলা আমাদের গ্রামের পাশে যে সমুদ্র সৈকট টা আছে সেটার পাশ থেকে একটু হেঁটে আসব। গ্রামেই জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত পারকি সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। আমরা তিনজনে মিলে পরিকল্পনা করলাম সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে আসবো।
বিশেষ করে যেদিন ছুটির সময় থাকে সেই দিন প্রচুর পরিমাণে পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে তাই আমরা মূল পয়েন্টে না নেমে একটু দূরে গিয়ে নামলাম। সমুদ্র সৈকতের ঢেউয়ের কারণ যে রাস্তা রয়েছে সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই এখন ব্লক দিয়ে চারিদিকে ঢেকে রাখা হয়েছে। নতুন নতুন ব্লগ তৈরি করার মাধ্যমে রাস্তার নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হচ্ছে। এই ব্লক তৈরি করার কারণে এই জায়গাটা আরো বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছে তাই প্রচুর পরিমানে মানুষ এখন এই স্থানে ভ্রমণ করতে আসে কারণ এটা এখন দর্শনীয় স্থানের মত হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যারা বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাভেল করে তারাই এখানে চলে আসে। আমরা তিনজন বাইক নিয়ে চলে গেলাম এবং কিছুক্ষণ সে কারণে অপেক্ষা করলাম।
এই জায়গায় ছোট ছোট দুই একটা টং দোকান রয়েছে যেখানে আমরা প্রথমে গিয়ে চা অর্ডার করলাম। চাহাতে নিয়ে আমরা নিচে নেমে পড়লাম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আসরের পর থেকে একদম মাগরিবের আগ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করলাম সমুদ্র সৈকত এলাকায়। হলুদ সূর্যটা ধীরে ধীরে পানির সাথে মিশে যাচ্ছিল লাল হয়ে। এই দৃশ্যটা দেখতে খুবই চমৎকার লাগে। সূর্যটা যখন ডুবে গেল আমরা তারপর আস্তে আস্তে চলে এলাম বাড়ির দিকে। কারণ সন্ধ্যার পর এই জায়গাটা অন্ধকার হয়ে যায় এবং এখানে এক্সট্রা কোন লাইটিং এর ব্যবস্থা নেই। তাই এই সমুদ্র সৈকত এলাকায় সন্ধ্যার পরে না থাকাটাই উত্তম। আপনারা যারা চট্টগ্রামে থাকেন এবং সমুদ্র সৈকত দেখতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই চাইলে এই স্থানে এসে ভ্রমণ করে যেতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।