কক্সবাজারের পর্যটকদের আগমনে ব্যস্ততম সময় পুনরাই শুরু হয়ে গিয়েছে
আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
কক্সবাজার এলাকায় এখন ভরপুর সৃজন চলছে। ডিসেম্বর মাস এবং জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত নির্বাচনী ঝামেলার কারণে অনেকেই কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসার সাহস পায়নি। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক এর ভিড় ধমেতে ফেব্রুয়ারি মাসে। অনেকদিন পর চট্টগ্রাম শহরে সময় অতিক্রম করার পর কক্সবাজারে যখন এসেছিলাম তখন দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের দুপুর বেলা হাটতে বের হয়ে দেখি রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে জ্যাম লেগে আছে। কক্সবাজারে পর্যটকরা আসলে জ্যাম লাগা এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার তবে এটা সব সময় সন্ধ্যার পরেই বেশি দেখা যায়। কারণ সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্থান থেকে ভ্রমণ করে আসার পর সবাই সুগন্ধা পয়েন্ট লাবণের পয়েন্ট এবং কলাতলী পয়েন্টে কেনাকাটার জন্য ভিড় জমায়। এই সময়ে অনেকগুলো গাড়ি চলাচল করার কারণে ভিড় সবসময় লেগেই থাকে। বিশেষ করে শুক্রবার শনিবার এবং রবিবার এই তিন দিন প্রচুর পরিমাণে পর্যটক দেখা যায় কক্সবাজারে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে বললেই চলে।
গত শুক্রবার দুপুর বেলা আমার ব্যক্তিগত কিছু কাজ থাকার কারণে দোকানে সময় না দিয়ে সেই কাজগুলো শেষ করার জন্য গিয়েছিলাম কলাতলী পয়েন্টের দিকে। কক্সবাজারের বাজার কাঁটা এলাকার থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত কোন রকমের ভিড় ছাড়া পৌঁছাতে পেরেছিলাম। এরপর সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে শুরু করে একদম কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত এত লম্বা এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে জ্যাম ছিল যেটা কত বছর দেখা যায় না। বৃহস্পতিবারে প্রচুর পরিমানে পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে এবং অনেকগুলো পর্যটক শুক্রবারেও আসার কারণে এই লম্বা জ্যাম বেঁধেছিল কক্সবাজার। সাধারণত কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশ যারা ছিল তাদেরকে খুব একটা কষ্টে পড়তে হয় না কারণ এখানে জ্যাম লাগে না। কিন্তু এই দের অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক গাড়ি। অনেকক্ষণ পর্যন্ত গাড়িতে বসে থাকার পর গাড়ি যখন ঠিকমত যেতে পারছিল না পরে বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম। অল্প কিছুক্ষণের জন্য ঢাকার মতো একটা ফিলিং চলে এসেছিল। কারণ ঢাকাতে একবার জানলে তিরিশ মিনিট থেকে এক দুই ঘন্টা পর্যন্ত জ্যামে বসে থাকতে হয়। কক্সবাজারে এই ধরনের জ্যাম আমাদের কখনোই ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। শুধুমাত্র টুরিস্ট সৃজন নিয়ে রাতের বেলা মাঝেমধ্যে একটু কষ্ট হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেহেতু খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি স্থান এবং এখানে একই সাথে পাহাড় এবং সমুদ্রের মিলন দেখতে পাওয়া যায়। তাই প্রচুর পরিমাণে পর্যটক প্রতি বছর নিজেদের মানসিক শান্তির জন্য কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসে। আমরাও চেষ্টা করে কক্সবাজারকে ভালো দেখে যারা প্রতিবছর এখানে ভ্রমণ করতে আসে তাদেরকে প্রতিনিয়ত সেবা দেওয়া। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করুন এবং এই সম্প্রচার ঐতিহ্যবাহী স্থান সম্পর্কে জানো। স্থানীয় মানুষদেরকে সম্মান করুন এবং প্রত্যেকটা পর্যটন স্থানের নীতিমালা মেনে চলুন। এর মাধ্যমেই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকবে
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Cox's Bazar is a very beautiful place. Most people visit Cox's Bazar during this time. Thank you for sharing the beauty of Cox's Bazar with us. I wish you all the best so that you can serve more people in the future