পরিকল্পিত ভ্রমণ মানে একটি নিরাপদ ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি।
চেষ্টা করি প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনের কিছু লিখার জন্য ।
আজকে আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে লিখব ।
আপনারাও আপনাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
ভ্রমণ করতে প্রত্যেক মানুষই ভালোবাসে ।
বলতে গেলে মানুষের উল্লেখযোগ্য যে সবগুলো শখ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করা ।
এমন কোন মানুষ হয়তো বা পাওয়া যাবে না যে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে অপছন্দ করে। মানুষের জীবন পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পারবো একটা বিষয় কমন সেটা হচ্ছে ভ্রমণ করা। ভ্রমণ করতে সবাই ভালোবাসে।
কারণ একটা জায়গায় দীর্ঘদিন অতিক্রম করতে করতে যখন আমাদের ক্লান্তি চলে আসে তখন নতুন একটি জায়গায় ছুটি কাটানোর মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করা যায়।
ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে আমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতি। এবং সবচেয়ে বড় হচ্ছে অর্থনৈতিক সাপোর্ট। অর্থনৈতিক সাপোর্ট যদি আমাদের না থাকে তাহলে আমরা নিত্য নতুন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবো না।
তবে আমরা যদি পরিকল্পনা করে বিভিন্ন জায়গায় যাই তাহলে অর্থনৈতিক ব্যাপারটা আমরা একটু কন্ট্রোলে করতে পারব।
অনেক সময় অপরিকল্পিতভাবে ভ্রমণ করার কারণে আমরা যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে অধিক অর্থ খরচ করে ফেলি।
একটু পরিকল্পনা করে যদি আমরা ভ্রমণটা নির্ধারণ করি তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়টাতে চাপ কম পড়বে ।
যেমন আমি আমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদেরকে জানাচ্ছি বাংলাদেশের যতগুলো সৌন্দর্যময় স্থান রয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ অন্যতম।
চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে যতগুলো পর্যটন স্থান রয়েছে বাংলাদেশের অন্য কোন বিভাগের মধ্যে নেই ।
চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যেই কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর সুন্দর পর্যটন এলাকাগুলো রয়েছে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, সাজেক প্রভৃতি এলাকা প্রচুর সুন্দর ।
এলাকাগুলো দেখার জন্য প্রতিবছর প্রচুর মানুষ চট্টগ্রাম বিভাগে আসে।
আমরাও একদিন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা গুলোতে।
কারণ চট্টগ্রাম বিভাগের সবচেয়ে সুন্দর এলাকা গুলো হচ্ছে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকাগুলো। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেছি।
যেমন আমরা যখন ভ্রমণ করতে যাই তখন আমাদের সবচাইতে বেশি খরচ হয় থাকার ব্যবস্থা করা এবং যাতায়াতের জন্য ।
পাহাড়ি এলাকা গুলোতে যেহেতু তেমন কোনো থাকার ব্যবস্থা নেই তাই হোটেল গুলোতে প্রচুর টাকা খরচ হয় এক রাত থাকতে হয় ।
একটা রুমের মধ্যে প্রায় চারজন করে লোক থাকতে পারে ।
সুতরাং আমরা যদি ২০০০ টাকা দামের একটা রুম নি তাহলে সেখানে চারজন ব্যক্তি এক রাত কাটাতে পারব।
যদি আমরা একটা গ্রুপ তৈরি করি তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক টাকা সেভ হয়ে যাবে। কারণ একটা কাপল রুমের দাম যদি পনেরশো টাকা পড়ে তাহলে একটি চারজনের রুমে আসলাম কিন্তু পরে 2000 টাকা।
সেটাকে যদি আমরা চারজনের মধ্যে ভাগ করি তাহলে আপনার রুম ভাড়া পড়ছে মাত্র ৫০০ টাকা।
একইভাবে কিন্তু পাহাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ করার জন্য আপনি লোকাল কোন গাড়ি পাবেন না।
আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন স্পট এর জন্য রিজার্ভ গাড়ি প্রয়োজন পড়বে।
কারণ বান্দরবানের ভিতরে পাহাড়ি এলাকাগুলো লোকাল কোন গাড়ি যায় না ।
স্টেশন পর্যন্ত আপনি গাড়ি পাবেন এরপর কিন্তু আর কোন গাড়ি আপনি পর্যটন স্থানগুলোতে যাওয়ার জন্য পাবেন না।
তাই একটি বড় গ্রুপ যদি থাকে একটি গাড়িতে প্রায় ১২ জন পর্যন্ত লোক ধারণ করতে পারে।
সুতরাং আপনারা যদি তিন চারজনের একটা টিম যান সে ক্ষেত্রে পুরো গাড়িটার ভাড়ায় আপনাদের বহন করতে হবে ।
অথবা আপনাদেরকে আপনাদের মত খন্ড খন্ড ভাবে গিয়েছে তেমন একটা টিমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না 12 জন কমপ্লিট হয়।
অনেক সময় ধৈর্য থাকে না তাই চার পাঁচ জন বা ৬ থেকে ৭ জন মিলে গাড়ি ভাড়া নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। আর যেহেতু আমরা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাই তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করার মত সুযোগ থাকে না।
এভাবেই যদি আমরা পরিকল্পনা করে যাই তাহলে কিন্তু ভ্রমণটা আমাদের জন্য যেমন উপভোগ্য হবে ঠিক তেমনি আমরা অল্প বাজেটের মধ্যে সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো ভ্রমণ করে আসতে পারবো।ভিত্তিক ট্যুর দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এখানে আপনারা কোন বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কারণ নির্জন পাহাড়ে যখন বড় একটি টিম চলাফেরা করে তখন তাদের ওপর কেউ আক্রমণ করার ব্যাপারে সাহসিকতা দেখায় না।
আর আপনারা যদি ছোট টিম কিংবা কাপল হন তাহলে কিন্তু একাকী ভাবে আপনাদেরকে পেলেই আক্রমণ করার সুযোগ রয়েছে ।
সুতরাং আপনারা যারা একত্রিত হয়ে যেতে চান তাদেরাও যদি কোন ট্যুর গ্রুপের মাধ্যমে এই পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করলে আপনাদের জন্য উপকার হবে।
এছাড়াও পাহাড়ে বিভিন্ন রকমের ছোটখাটো বিপদ হতে পারে।
কোন কারনে যদি পা পিছলে আপনি পড়ে যাচ্ছেন বা আঘাত পেয়েছেন সেক্ষেত্রে বড় টিম থাকলে আপনাকে তারা সহযোগিতা করে ধরে নিয়ে আসতে পারবে ।
তাই পাহাড়ি এলাকা গুলোতে সবসময় গ্রুপ করে যাওয়াটাই উত্তম মনে করি এবং এটাই নিরাপদ।
তাছাড়া পাহাড়ে এলাকায় রাত যাপন করার ক্ষেত্রে যখন আপনি ক্যামফায়ার করবেন তখন এক আলাদা মজা কাজ করে।
আশা করি এই বিষয়গুলো আপনাদের উপকারে আসবে আপনাদের ভ্রমণের কোন কাহিনী আমাদেরকে শেয়ার করুন ।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে শেষ পর্যন্ত ব্লগটি করার জন্য আরো একটি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ।
ইনশাল্লাহ
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Determination of Club75 Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @patjewell
Thank you so much
Each of your photography is eye-catching. Many have had the beautiful experience of traveling to Bandarban, but again have not traveled there until now. InshAllah I will try to visit there very soon. I learned a lot of information through your post, thank you very much 🙂
Welcome brother
Your post is good. you have presented it very beautifully. Bandarban is a beautiful place in Bangladesh. I know a lot of things reading from your post about Bandarbon. Thank you for sharing your post.
Most welcome
আপনি ঠিক বলছেন ভাই দূরে কোথাও ভ্রমণ করতে গেলে অর্থের দরকার হয় । এবং পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণ করতে গেলে গ্রুপ ভাবে গেলে সবচেয়ে নিরাপদ ।
Yes brother
It is necessary to travel from time to time to keep the mindset good. Thank you so much brother for sharing your travel time with us
Welcome brother
Amk Nia jaouar Kotha chilo tmr. Best wishes
এটা আগের গুলো শেয়ার করেছি