স্বপ্নের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ পর্ব ১
ভাগ্যক্রমে একবার সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছিল। জীবনে আর প্রায় 24 থেকে 25 টা বছর কক্সবাজার জেলায় কাটানোর পরেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। কিন্তু আমার এক বন্ধুর অনেক চাপাচাপির কারণে ২০১৮ সালের দিকে একবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরে এসেছিলাম। এরপর আর সেন্টমার্টিনের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা করেনি।তখন আমরা দুই বন্ধু মিলে অনেক পরিকল্পনা করলাম কিভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাব এবং সেখানে গিয়ে কোন কোন জায়গায় আমরা ঘুরে বেড়াবো। সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য আমরা অনেকজনকে বললাম আমাদের সাথে যেন তারা সফরসঙ্গে হিসেবে যায়। অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিলে ও শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা তারা বাতিল করে।
অবশেষে কারো যেন অপেক্ষা না করে আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে আমরা সেন্টমার্টিন ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিব। যেই পরিকল্পনা সেই কাজ বাস্তবায়ন করে ফেললাম। ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হয় সব সময় নিজের চিন্তা ভাবনার সাথে মিলে এমন একজনের সাথে। আপনার সাথে চিন্তাভাবনা মিলে এমন একজনের সাথে যখন আপনি ভ্রমণের পরিকল্পনা করবেন তখন অবশ্যই সেই ভ্রমণের পরিকল্পনাটা সফল হবে। দুই তিনটা ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কথা বলে আমরা যারা আমাদেরকে সবচাইতে সাশ্রয়ী রেটে সেন্টমার্টিন ট্রিপ টা অফার করেছিল তাদের কাছে গিয়ে বুকিং দিয়ে দিলাম। কারণ আমরা যেহেতু ব্যাচেলার মানুষ কোন রকমে একটা রুমে গিয়ে পড়ে থাকতে পারলেই হলো এত ভিআইপি রুম আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। মোটি ১৪০০ টাকার প্যাকেজের মধ্যে আমাদের সেন্ট মার্টিনের আসা-যাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা হয়ে গেল সেন্ট মার্টিন এর ছোটখাটো রিসোর্টে।যেদিন যাবত আরো দুই দিন আগে থেকে আমরা আমাদের প্যাকেজ বুকিং করে রেখেছিলাম কারণ টুরিস্ট সিজনে টিকেট পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়।
আমরাও পরিকল্পনা করেছিলাম এমন দিনে যাব যখন লোকজন একটু কম থাকে এবং টিকেটের রেট একটু কম দামে পাওয়া যাবে। সাধারণত কক্সবাজারে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার এই সময়টাতে লোকজন কম আসে এবং এই সময়টাতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মানুষ কম যায়। তাই সাপ্তাহের এই দিনগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা একদিন থাকার পরিকল্পনা করে টিকেট করলাম। যথাযত সময়ে একদিন পর ভোর পাঁচটার মধ্যে আমাদের ট্যুর গাইড আমাদের কে গাড়িতে করে টেকনাপে নিয়ে গেল। এবং সেখানে হালকা সকালের নাস্তা দেওয়ার পর আমাদেরকে বড় একটি শিপে তুলে দিল। এম ভি ফারহান নামের একটি তিনতলা বিশিষ্ট জাহাজে আমরা ভ্রমণ করেছেনমাটিনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। জাহাজে করে নাফ নদী ও সাগর পাড়ি দেওয়ার যে অনুভূতিটা হয়েছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। অবশেষে সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২ সাগর এবং নদীর পথে জার্নি করার পর আমরা পৌঁছে গেলাম সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিতে। আমাদের স্বপ্নের ভ্রমণের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। অনুভূতিটা ছিল দারুন যে অনেক বছর পর হলেও আমরা পরিকল্পনা করে অবশেষে স্বপ্নের দ্বীপে পৌঁছাতে পেরেছি। সেন্ট মার্টিনের কাটানো মুহূর্ত সম্পর্কে আপনাদেরকে অন্য একটি লেখার মধ্যে বিস্তারিত জানাবো।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.