বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী ভ্রমণ পর্ব ১
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। বাংলাদেশের যতগুলো সুন্দরতম জায়গা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো কক্সবাজার। কক্সবাজার জেলার মধ্যে অনেকগুলো থানার রয়েছে এই থানাগুলোর মধ্যে মহেশখালী অন্যতম। মহেশখালী থানা অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত তার মধ্যে একটি হলো আদনাত মন্দির মহেশখালীর মিষ্টি পান এবং মহেশ কালির শুটকি। সমগ্র বাংলাদেশের যত মানুষ কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসে তারা মহেশখালের মিষ্টি পান খেতে খুবই পছন্দ করে। মহেশখালী এলাকায় যে পানগুলো হয় সেই পানগুলো কিন্তু আবার কক্সবাজারের অন্য কোন এলাকায় উৎপাদিত হয় না। কক্সবাজারের হিমছড়ি রামোসহ বিভিন্ন এলাকায় পানের চাষ করা হয় কিন্তু মিষ্টি পান একমাত্র মহেশখালীতেই উৎপাদিত হয়। প্রতি বছর কক্সবাজারে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে এবং এই পর্যটকরা বেশি মহেশখালীতে অবশ্যই পালন করার উদ্দেশ্যে যায়। মহেশখালী দ্বীপের ভ্রমণ এবং সৌন্দর্য সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানার চেষ্টা করব।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করার জন্য যদি কেউ দুই থেকে তিন দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আসে তাহলে তারা অবশ্যই একদিন মহেশখালী ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। মহেশখালী হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। মহেশখালীতে আরো পাশেই সমুদ্র মাঝখানে এই দ্বীপে প্রবেশ করার জন্য কোন ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। তাই একমাত্র নদী পথে মহেশখালীতে যাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে যারা কক্সবাজার থেকে যেতে চাই তাদের জন্য ছোট ছোট কিছু এস্টিমার এন্ড স্পিডবোর্ড রয়েছে যেগুলোতে করে মহেশখালী যাওয়া যায়। মহেশখালী যাওয়ার জন্য কক্সবাজারের যে কোন বীজ থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়া খরচ করে চলে আসতে হবে কক্সবাজারের একটি স্থান যেটার নাম ছয় নাম্বার রাস্তার মাথা বলা হয়। অথবা পূবালী ব্যাংক চত্বর বলা যেতে পারে। এই জায়গায় হাত থেকে মহেশখালী যাওয়ার যেটা ঘাট সেই ঘাটের নাম হচ্ছে ৬ নম্বর ঘাট। ১০ টাকা খরচ করে ছয় নাম্বার ঘাটে যাওয়া যায়। ৬ নাম্বারের ঘাট থেকে সকাল আটটা থেকে একদম সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত স্পিডবোর্ড পাওয়া যায় মহেশখালী যাওয়ার জন্য। এছাড়া প্রতি এক ঘণ্টা পরপর ছোট ছোট স্টিমার ছাড়ে যেগুলাতে করে অনেকগুলো যাত্রী একসাথে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। 6 নাম্বার ঘাট থেকে স্পিডবোটে করে মহেশখালী যেতে লাগবে ১১০ টাকা প্রতিজন। এবং ছোট কালার গুলোতে করে মহেশখালীতে যেতে একজন ৪০ টাকা করে লাগবে।
আপনারা যে যেভাবে মন চায় সেভাবে মহেশখালীতে যেতে পারেন চাইলে ট্রলারে যেতে পারেন অথবা স্পিডবোটে করেও যেতে পারেন। তবে যারা স্পিডবোটে করে যাবেন তারা একটু দ্রুত মহেশখালী পৌঁছে যেতে পারবেন ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে। আর ছোট ছোট ট্রলার ৬ নাম্বার ঘাট থেকে মহেশখালী ঘাট পর্যন্ত পৌছাইতে সময় নিবে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট। যারা সাধারণত স্পিডবোটে চড়তে ভয় পান তাদের জন্য ডলারে করে যাওয়াটাই সুবিধা বলে মনে করছি। কারণ বিশেষ করে যখন নদীতে জোয়ার আসে তখন স্পিডবোট অনেক লাফিয়ে লাফিয়ে চলে যার কারণে যারা দুর্বল তারা খুব ভয় পাই।
আর পাড়ার গুলো যেহেতু একটু মোটামুটি বড় মাপের রয়েছে তাই নদীর এবং সাগরের ছোট যেই ঢেউগুলো আছে সেগুলোর কারণে খুব একটা নড়াচড়া করে না। তারারে করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে মহেশখালী ঘাটে নেমে আপনারা ছোট ছোট কিছু অটো রিক্সা পাবেন আবার কিছু প্যাডেল রিকশা পাবেন মহেশখালী বিভিন্ন স্পটে যাওয়ার জন্য। মহেশখালীতে এগিয়ে যখন কোন স্থানে ভ্রমণ করার চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই ভালো করে প্রত্যেকটা অটোওয়ালা এবং রিক্সাওয়ালার সাথে আগে থেকে দাম ঠিক করে নিবেন। কারণ অনেক সময় পর্যটকদের কাছ থেকে তারা সীমার বাইরে ভাড়া দাবি করে যেটা আমারামি করে যদি ঠিক করা না হয় তাহলে পরে বিপাকে পড়তে পারেন।
মহেশখালীতে পৌঁছানোর পর থেকে মহেশখালী ঘাট মূলত একটা সুন্দর ভ্রমণ করার মত স্থান।মহেশখালী ঘাটে আপনারা সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন অনেকটা সুন্দরবনের ব্যাকগ্রাউন্ড এর মত দেখতে। ২ এর পাশে কেওড়া গাছের সারি রয়েছে মহেশখালী ঘাটে।মহেশখালী ঘাট পার হয়ে আপনারা চাইলে ছোট ছোট অটো রিক্সা কিংবা পেডেল ঘাটা বাজারে যেতে পারেন যেখানে সুন্দর সুন্দর কিছু বুদ্ধমন্দির রয়েছে।সৌন্দর্য সম্পর্কে আপনাদেরকে পরবর্তী আরো একটা ব্লগে বিস্তারিত জানাবো আজকে কিভাবে মহেশখালী যাবেন এবং কত খরচ পরতেপারে সেটা সম্পর্কে একটা ধারণা দিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.