বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত একটা দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে।
দুর্নীতির করার কিছু উদাহরণ:
ঋণখেলাপি: বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ঋণখেলাপি। এই ঋণখেলাপির পরিমান দিন দিন বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২3 সালের ডিসেম্বরে মোট ঋণখেলাপির পরিমাণ ছাড়িয়েছে 1 লাখ 56 হাজার কোটি টাকা।
জালিয়াতি: সম্প্রতি আমার পত্রিকাতে দেখেছি যে, ব্যাংকিং খাতে বড় বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর একটিও সুষ্ঠু তদন্ত এখোনো পর্যন্ত হয় নাই।
লুটপাটের একটা স্বর্গরাজ্য: বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকে কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে ব্যাংক থেকে লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। যার ফলে এখন অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হবার পথে।
অনিয়মিত ঋণ বিতরণ: রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে , সুবিধা, এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ বিতরণের অভিযোগ রয়েছে। যে ঋণগুলো আদায় করা ব্যাংকের পক্ষে খুবই অসম্ভব।
দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল বলে মনে করেন অনেকে। কারন যখন কোনো অনিয়মের বিরুদ্দে ব্যাংকের কর্মকর্তাগন কোন ব্যবস্থা নিতে যায় তখন রাজনৈতিক চাপ এসে হাজির হয়। ফলে ব্যাংক খাত দিন দিন ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছে।
এই দুর্নীতির ফলাফল আমাদের কিকি ক্ষতি হচ্ছে:
অর্থনীতির মারাত্নক ক্ষতি: ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতিকর। যার ফলে আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ঋণগ্রহীতাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে: ঋণখেলাপির কারণে ভালো ঋণগ্রহীতাদের উপর চাপ বেড়ে যায়। যার ফলে এখন সাধারণ মানুষ ঋণ পেতে অনেক বেগ পেতে হয়।
ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস: বর্তমানে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখা অনিরাপদ মনে করে। তারা দিন দিন ব্যাংকের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
এই দূর্নিতী রোধের কি সমাধান আছে:
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা। বিশেষ করে সরকার যদি নজরদারি আরো যোরদার না করে তাহলে সামনে আরো মহা বিপদে পাড়বে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ: দুর্নীতি আজ বাংলাদেশে মহামারির আকার ধারন করেছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত জরুরী।
আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা: ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ করা। সব রাজনৈতিক বাধা উপেক্ষা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইন সঠিক ভাবে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে।
জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি: ব্যাংকিং খাতের সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত জরুরী।।
উল্লেখ্য: সরকার ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি দূর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হয়তো ধীরে ধীরে এই দুর্নীতি আস্তে আস্তে কমে আনা সম্ভব হবে।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই মন্তব্যের জন্য। আশাকরছি এখন থেকে নিয়মিত কাজ করতে পারবো।