Better Life with Steem || THE DIARY GAME || 28/11/2023 🌞

মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে শুরু করছি আরও একটি নতুন ডায়েরি ব্লগ। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকের দিনটি শুরু হয়েছে পাখির কিচির মিসির শব্দে। সকালে ঘুম যদি পাখির ডাকে ভাঙ্গে তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা সুন্দর হতে পারে । আজকে ঘুম থেকে উঠতে যদিও অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছি তারপর ও ঘুম থেকে উঠে আমি জানালার পাশে গেলাম এবং আশেপাশে পাখি দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাকিগুলো আওয়াজ উপভোগ করতেও পারলাম না এবং পাখিগুলোকে দেখতে পারলাম না কেননা আমি যাওয়ার আগেই পাখিগুলো উড়ে গেছে। তবে সকালের সুন্দর রোদের সাথে ঝলমলে একটি পরিবেশে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে উপভোগ করলাম শীতের সময়ের এই রৌদ্র উজ্জ্বল সকাল খুব বেশি ভালো লাগে আমার। এরপর আমি সেখানে দাঁড়িয়ে একটি হাতে ব্রাশ নিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে করতে এই সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে থাকলাম ।

দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে খাবার খাওয়ার জন্য রান্নাঘরে গেলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজকে আমাদের রাঁধুনি আসে নাই। তাই নিজেদের রান্না আজ নিজেদের করেই খেতে হবে। তাই দেরি না করে, আমরা যেহেতু এক রুমে চারজন থাকি সেহেতু আমরা ৪ জন মিলে রান্না করার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রান্নার কাজ শুরু করলাম। যেহেতু আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একজন তরকারি রান্না করতে পারে এবং আরেকজন কোন কিছুই পারে না, তাই যে কোন কিছুই পারে না তাকে দিয়ে আমরা সমস্ত পাতিল ধুয়ে নিলাম। এবং আমি তরকারি রান্নার জন্য যে সমস্ত উপকরণ লাগবে সে সমস্ত উপকরণগুলো যোগাড় করে দিলাম এবং সেইসাথে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি কুচি করে কেটে দিলাম । এবং আমার আরেক বন্ধু ভাত রান্না কাজ শুরু করল। এভাবে আমরা চারজন কাজ ভাগাভাগি করে আজকের সকাল এবং দুপুরের রান্না একসাথে করে নিলাম। যদিও আজকের সকাল এবং দুপুরের জন্য আমরা একটি ফার্মের মুরগি কিনে এনেছিলাম এবং সেই মুরগী রান্না করেছি।

রান্নার কাজ চারজন মিলে করলেও যেহেতু আমাদের তেমন কাজের এক্সপেরিয়েন্স নেই সেহেতু আমাদের অনেক বেশি সময় লেগে গেল। তাই আমাদের পেটে ক্ষুধা অনেক বেশি পরিমাণে লাগছে। তাই রান্না শেষ হওয়া মাত্রই আমরা সকলে সকালের খাওয়া দাওয়া সকাল নয়টার সময় সম্পূর্ণ করলাম। নিজেদের হাতের রান্না খেতে বেশ ভালোই মজা লাগছিল। যেহেতু নিজেদের হাতের রান্না তাই নিজেদের ভিতর একটি ভালো লাগা কাজ করছিল। রান্নাবান্না শেষ করে খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ শেষে আবারো আমি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আমার বেডে এসে বসলাম। কিছুক্ষণ পর আমি আমার ফোন দিয়ে ইউটিউব থেকে নাটক দেখা শুরু করলাম। যেহেতু আমার আজকে কোন ক্লাস নেই শুধু আমার নাম আর কোন বন্ধুরে আজকে কোন ক্লাস নেই সেহেতু আমি আমার সময়টুকু একটি নাটক দেখে কাটানোর চেষ্টা করলাম এবং সেই অনুযায়ী একটি নাটক দেখা শুরু করলাম। আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে লাভ স্টোরি অর্থাৎ রোমান্টিক নাটক।

বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা একটি জুটি হলো ফারহান এবং কেয়া পায়েলের। নাটকের এই নায়ক নায়িকাদের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি এবং অনেক বেশি জনপ্রিয়তা। এবং আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি জুটি এদের অভিনয় আমার মন ছুঁয়ে যায় তাই আমি ফারহান এবং টিয়া পায়েলের নতুন একটি নাটক দেখা শুরু করলাম যে নাটকটি রিলিজ হয়েছে আজকেই। নাটকের মূল কাহিনী ছিল একটি লাভ স্টোরি অর্থাৎ ছাত্র এবং স্যারের প্রেম। অর্থাৎ নায়ক ফারহান ছিল নায়িকা কেয়া পায়েলের টিউশন মাস্টার এবং ধীরে ধীরে নায়িকাকে পায়েল নায়কের প্রেমে পড়ে যায় এক সময়। নাটকটি দেখা সম্পূর্ণ করে আমি গোসল করার জন্য ওয়াশ রুমে গেলাম এবং গোসল সম্পন্ন করলাম। গোসল শেষ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করলাম কেননা আমি এখন সৃষ্টিকর্তার ইবাদতের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হব। এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় শেষ করে আবার রুমে ফিরে আসলাম এবং নিজেদেরই রান্না করা সেই খাবার দুপুরে খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে খুব ভালো একটি ঘুম হয়েছে দুপুর থেকে টানা সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি লম্বা ঘুম দিলাম।

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দুই বন্ধু মিলে সাহেপ্রতাব বাজারে গেলাম। বাজারে ঢুকতেই প্রথমে চোখ পরল জিলাপির দিকে, যেহেতু চোখের সামনে গরম গরম জিলাপি ভাজা হচ্ছে তা দেখে আমি এবং আমার বন্ধুর লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই দুই বন্ধু মিলে জিলাপির দোকানে গিয়ে জিলাপি অর্ডার করলাম এবং দুজন মিলে মন ভরে জিলাপি খেলাম যদিও দুই ধরনের জিলাপি তৈরি করছিলেন কিন্তু আমরা শুধুমাত্র গুড় দিয়ে বানানো জিলাপি খেয়েছি। তার কারণ হলো আমার বন্ধু চিনি খুব একটা পছন্দ করেন না। তার কারণ হলো আমরা সকলেই জানি সেটি হল চিনিকে যেহেতু হোয়াইট পয়জন নামে ডাকা হয় সেহেতু বোঝা যায় যিনি আমাদের দেহের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষতিকারক। তাই আমার বন্ধু সব সময় চেষ্টা করে জেনে কে এভোয়েড করতে। তাই আমরা শুধুমাত্র কুড়ের জিলাপির স্বাদ নিলাম।

এরপর চলে আসলাম আমাদের পরিচিত মামার দোকানে যিনি শীত এবং গ্রীষ্ম উভয় সময়ে এই ডিম এবং দুধ বিক্রি করে থাকেন। আমরা এই মামার কাছে প্রতিনিয়তই দুধ এবং ডিম খেয়ে থাকি তাই এই মামার সাথে আমাদের খুব সুন্দর একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। মামার কাছে গেলেই খুব ভালো করে গ্লাস পরিষ্কার করে আমাদের দুধ খেতে দেয় এবং সেই সাথে ডিমের দাম অন্যান্য কাস্টমারের চেয়ে আমাদের কাছে ৫ টাকা করে কম রাখেন। যেহেতু আমরা স্টুডেন্ট সেহেতু আমাদের দিকটা বিবেচনা করে এই ডিমের দাম 5 টাকা কম রাখেন এবং আমরাও এজন্য মামার প্রতি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। যেহেতু আমরা স্টুডেন্ট আমাদের অনেক বেশি পরিশ্রম হয় এবং আমাদের দেহের পুষ্টি মেটাতে ডিমের প্রয়োজন অনেক বেশি। তাই আমরা চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত একটি ডিম খেয়ে নিচের স্বাস্থ্যের দিকটা ঠিক রাখার জন্য। সব মিলিয়ে এই ছিল আমার আজকের ডায়েরি ব্লগ। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ব্লগ এখানে সমাপ্ত করছি ,আল্লাহ হাফেজ।