بسم الله الرحمن الرحيم
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন✊✊
- আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আমার বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখতে যাচ্ছি। তাহলে বন্ধুরা চলুন দেরি না করে আমার আজকের বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা রাখা যাক।
|
১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস |
|
Freepik
বাংলাদেশে ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বত্র বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের পর এই সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার সেনাদের কাছে পাকিস্তান সেনারা আত্মসমর্পণ করে। তাই এই দিনটিকে ঘিরে রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। এই বিজয় দিবস ঘিরে বাংলাদেশে উল্লাসের ঝড় বয়ে আসে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই বাংলার বুক থেকে ৩০ লক্ষ মা বোনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এক বাংলাদেশ।
এই দিনটিকে ঘিরে আমাদের বাংলাদেশে বিশেষভাবে অনুষ্ঠান পালিত করা হয়। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়। আমাদের গ্রামে একজন মুক্তিযোদ্ধা আমার সম্পর্কে দাদা হয় আমি তার কাছে শুনেছি যখন বিজয় দিবস ভূষিত করা হয় তখন তারা দেশি মুরগি দিয়ে পিকনিক খেয়েছিল। আজ সারা বাংলাদেশ জুড়ে গণমাধ্যম খবর পত্রিকা ইত্যাদিতে ১৬ ডিসেম্বর এর উদযাপিত কার্যকলাপ গুলো সবার সামনে উপস্থাপন করা হয়।
Source
এছাড়াও আমাদের গ্রাম অঞ্চলের জমি বাড়ি গুলো ফাঁকা হওয়ার কারণে সেখানে আমরা খেলাধুলার আয়োজন করি ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি স্কুলগুলোতে কুচকাওয়াজ এবং প্যাডের মাধ্যমে এই দিনটিকে ফুটিয়ে তোলে। আবার এই দিনটিতে জাতীয় ন্যাশনাল পার্টির লোকেরা মতবিনিময় এবং আলোচনা সভা করে থাকেন যেখানে তারা মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় দিবস নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
আমি এবং আমার সহপাঠীরা এক কথায় আমাদের স্কুল হতে আমরা আমাদের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার স্টেডিয়ামে মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে ডিসপ্লেতে মুক্তিযুদ্ধের গানের নৃত্য পরিবেশন করেছিলাম। সেখানে এই মন্ত্রী মহোদয় অনেক হৃদয় আবেগী বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বই পুস্তক কারো উপদেশ কিংবা খবর পত্রিকা থেকে আমাদেরকে গল্প শুনাননি।
তিনি শুনিয়েছিলেন নিজের বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ক্রিয়াকাপ থেকে। এই দিনটি ঘিরে আমাদের বাংলাদেশের জুয়ান ছেলেমেয়েরা অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলার ব্যবস্থা করে থাকে। এই খেলাধুলা পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের টিকাকালাপ পড়ে থাকে যেমন পুরোটা শরীর জুড়ে কাদা মেখে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে তারা টাকা কিংবা চাল উঠাতো। এইসব দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতো।
তেমনি আবার রয়েছিল সেই সব খেলাধুলায় যেমন খুশি তেমন সাজ। এই যেমন খুশি তেমন সাজ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র যেমন ছেলে হারা মা, বিধবা নারী আহত, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি। এইসব খেলাধুলার পালা শেষ হওয়ার পর নাচ গানের পালা হওয়া শুরু। এইখানে প্রথমত তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছুক্ষণ আলোচনা করবে।
তারপর আলোচনা চলে যাবে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনার দিনে। বেশ কিছুক্ষণ বক্তব্য দেওয়ার পর শুরু হয়ে যায় অনুষ্ঠানগুলোতে দেশাত্মবোধক গান তারপরে দেশাত্মবোধক গানে নাচ। আমরা গ্রাম অঞ্চলের ছেলেপেলেরা আমাদের আশপাশে যেখানে বড় বড় অনুষ্ঠান হয় ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে আমরা সেখানেই যাই অনুষ্ঠান দেখার উদ্দেশ্যে।
তো বন্ধুরা আবারও সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে শেষ করছি। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে সকলে সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করছি সকলেই ভালো থাকবেন।
ডিভাইস | Realme c15 |
ফটোগ্রাফার | @mdparvaj |
বিষয় | বিজয় দিবস |
আমার নাম মোঃ পারভেজ আখতার, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি
@mdparvaj। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে কাজ করি। আমি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার জমিরহাট তকেয়াপাড়ায় থাকি। আমি খেলাধুলা এবং ভ্রমণ অনেক ভালোবাসি।
https://twitter.com/ParvejAkter1/status/1735996845380259941?t=lt9LqV-w7gdsgehBrYhtyg&s=19
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.