The diary game,আজকে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে আসলাম।২৩/০৩/২০২৪
কোহিনূর #বাংলাদেশ
আজকে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে আসলাম। তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার আজকে দিন টি ছিলো অত্যন্ত সুন্দর। যেহেতু আমার স্কুল বন্ধ হয়েছে দীর্ঘ দিনের জন্য। পবিত্র মাহে রমজান,২৬শে মার্চ, শ্রী,শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব,লাইলাতুল কদর, জুমাতুলবিদা, ঈদুল ফিতর, চৈত্র সংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ সব মিলিয়ে ৩০ দিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকিবে।
তাই ঈদের কেনাকাটা করার জন্য চাঁদপুর থেকে নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এবং নারায়নগঞ্জে থাকব বেশ কিছু দিন।
সেহারি খেয়ে নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে ছিলাম, সকাল ৮ঃ১০ মিনিট পর্যন্ত। ঘুম থেকে উঠে এবার ফ্রেস হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। ফোন দিয়ে বাড়ির গেটে আটোবাইক আসতে বললাম।
সকাল ৯ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। ৯ঃ২০ মিনিটে ষাটনল লঞ্চঘাটে এসে পৌঁছলাম। মতলব উত্তর উপজেলাটির চারপাশে নদী দ্বারা বেষ্টিত। মেঘনা ধনাগদা ও গোমতী নদী মতলব উত্তর উপজেলার চতুর্দিকে, এই উপজেলায় প্রবেশ ও বাহিরের এক মাত্র মাধ্যম নদী পথ।এবার লঞ্চের জন্য অপেক্ষার পালা। লঞ্চ ঘাটে অপেক্ষা করলাম প্রায় ২৫ মিনিটের মত। এম,এল হাসিব নামের লঞ্চটি ষাটনল ঘাটে এসে পোঁছল। চরদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। চারদিকে নদী আর স্রোতের সাথে ঢেউ, সবুজ গাছগাছালির নিবিড় দৃশ্য।
গজারিয়া ঘাটের পর নদীর ঢেউ আর ঢেউ। কারণ এখানে তিন নদীর মহনা শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, মেঘনা।
গজারিয়ার পর থেকে নদীর দুই পাশে শুধু বড় বড় ফ্যাক্টরী দেখতে অসাধারণ লাগছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত। সাথে মেট্রো সিমেন্ট ফ্যাক্টরী তারপর প্রিমিয়াম সিমেন্ট ফ্যাক্টরী। অপরদিকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ও বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরী।
ষাটনল থেকে নারায়ণগঞ্জে আসলাম । ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে ষাটনল থেকে নারায়ণগঞ্জ ঘাটে এসে লঞ্চ পোঁছতে। গজারিয়া লঞ্চ ঘাটে বিরল। তারপর নারায়ণগঞ্জে আর কোন ঘাট ধরবে না। লঞ্চ থেকে নেমে ঘাটে এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি রিকশার জন্য কালির বাজার এসে কিছু কসমেটিকস ক্রয় করি, আমি সব সময় এই মাকের্টে এসে কেনাকাটা করি।
আমি প্রায় ৫-৭ বছর নারায়ণগঞ্জে ছিলাম। সেখানে আমি লেখাপড়া করি। প্রথমে আমি নারায়ণগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি, তারপর বি, বি,এ কম্পিলিট করি একাউন্টটিং ডিপার্টমেন্ট থেকে। একই কলেজে অধ্যায়ন রত ছিলাম। তাই সেখানকার এলাকা আমার খুব পরিচিত, ও প্রিয়।
রিকশা করে শিমু মার্কেটে আসি। তারপর আবার রিকশায় করে সাইনবোর্ড আসি। সেখান থেকে বাসে করে আবার চিটাগংরোড আসি। হাজী আহসানউল্লাহ মার্কেটে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করি। তারপর রিকশায় চরে বাসায় আসি। বাসায় এসে নামাজ আদায় করি। বিশ্রাম নেই। আপুর বাসায় সবাইকে পেয়ে আনন্দে মনভরে গেল।
সবাই ভালো থাকবেন, আবার দেখা হবে। ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করলাম।
আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সবাইকে।