Great Time with Office Colleagues
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারাও ভালো আছেন। প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছে। এই গরমে হয়তো রোজা রাখতে আমাদের কারো কারো সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ আমরা এখন পর্যন্ত সবগুলো রোজা আশাকরি সকলেই রাখতে পেরেছি। যদি কারো বড় ধরনের কোন অসুবিধা বা শারীরিক সমস্যা না হয়ে থাকে।
যেহেতু রমজান চলছে সবার অফিস টাইমে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। রমজানের আগে অফিস টাইম সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কারো কারো বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। প্রতি বছরের রমজানের সময় এই অফিসের সময়সূচী কিছুটা পরিবর্তন হয়ে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তা আমাদের অফিসও তার ব্যতিক্রম নয়। সেহরি খেয়ে ঘুমালে সকাল সকাল আসলে ঘুম থেকে উঠাটা একটু কষ্টের কিন্তু কিছুতো করার নেই চাকরি যেহেতু করি অফিসে তো যেতে হবে। তাই সকাল আটটা পঞ্চাশের দিকে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম অফিসে যাওয়ার জন্য। আমি যে প্রকল্পে কাজ করি সেটি এই মাসের শেষ হবে। বেশ কিছু কাজ এখনো পেন্ডিং হয়ে আছে। যার কারণে রমজানেও প্রচুর পরিমাণে কাজের চাপ। আমাদের প্রকল্পের প্রতিটা ফিল্ড অফিসার পেন্ডিং কাজগুলো নিয়ে মাঠ পর্যায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে যাতে করে এই মাসের মধ্যেই বাকি কাজগুলো যেকোন ভাবে শেষ করা যায়।
আমাদের যে কাজগুলো বাকি আছে তার মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে বিচারকদের নিয়ে সভা করা। আজকে একটি সভা করার জন্য কক্সবাজার জজ কোর্টে যাই। সম্মানিত বিচারকবৃন্দ এবং সম্মানিত আইনজীবীদের নিয়ে বিকাল তিনটা হতে একটি সভার আয়োজন করি।
আজকে আমাদের অফিসের অ্যাকাউন্টস বিভাগের যেসব কর্মকর্তা রয়েছে তাদের উদ্যোগে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। আমি যখন বিচারকদের নিয়ে সভা করতে যাচ্ছিলাম সে সময় ফাইন্যান্স ম্যানেজার আমাকে ফোন করে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত দেয় অতিথি হিসেবে। গত বছর ওই ধরনের একটা ইফতার পার্টি তারা করেছিল। সেই ইফতার পার্টিতেও আমি ছিলাম। তবে সেবার আমি পার্টিসিপেন্ট ছিলাম কিন্তু এবার হচ্ছে অতিথি। এরকম বিশেষ কোন অনুষ্ঠান হলে সবাই আসলে একসাথে এক জায়গায় আসার সুযোগ হয়।
সাধারণত এ ধরনের প্রোগ্রাম সচারচর হয় না। সবাই যার যার প্রকল্পের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিশেষ কোনদিনে বা কারো জন্মদিনে এরকম সবাইকে এক জায়গায় একত্রিত হতে দেখা যায়। ঠিক তেমনি একটি দিন ছিল আজ। অনেক পুরনো কলিগ যারা আগে আমাদের সাথে কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে অন্য কোন প্রকল্পে কেউ কেউ অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে কিন্তু আজকের এই আয়োজনে সকলেই একসাথে আবার দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছে।
আজকে আবার আমার খালার বাসায়ও ইফতারের দাওয়াত ছিল। যেহেতু আমি অফিসের এই ইফতারে অংশগ্রহণ করেছি তাই খালার বাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি। খালার বাসায় আমার স্ত্রী এবং বাচ্চাকে পাঠিয়েছি আর আমি অফিসের ইফতারে যাই। অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে অনেক বেশি তৃষ্ণার্ত ছিলাম। ফলে ইফতারি টাইমে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার ফলে শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ বোধ করছিলাম। না হয় অফিসের ইফতার শেষ করে আমার খালার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি সেখানে না গিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পর কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর মোটামুটি শরীর ভালো লাগে। সবার উদ্দেশ্যে আমার একটি পরামর্শ থাকবে যেহেতু বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ছে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে সবাই একটু সাবধান হবেন। বাজার ভাজা পুরা একটু কম হওয়ার চেষ্টা করবেন রমজানে। আর বাকি রমজানগুলো সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। যাতে বাকি রমজান গুলো সবাই ভালোভাবে শেষ করতে পারে এবং সামনে যেই ঈদ আসছে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুশি মনে ঈদ উদযাপন করতে পারে ।