Daily life| 24 November, 2023
আসসালামুয়ালাইকুম,
কেমন আছেন সবাই?
আশা করি সবাই আল্লাহ রহমতে ভাল আছেন। আজ শুক্রবার ছিল। গতকাল রাতে একটু দেরিতে ঘুমাতে যায়। তারপরও সকাল ৭ টার দিকে ঘুম ভেংগে যায়। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম ৭ টা বাজে। মোবাইল রেখে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। ১ ঘন্টা এপাশ ও পাশ করে উঠে গেলাম।
গতকাল রাতে আলু ভর্তা, ডাল, ডিম ভাজি করেছিলাম। ভাত একটু বেশি রান্না করেছিলাম যাতে সকালে খেতে পারি। হাত মুখ ধুয়ে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খেলাম। তারপর চলে গেলাম সেলুনে। চুল মোটামুটি লম্বা হয়েছে। চুল কাটা আর দাঁড়ি চাটাতে হবে। সেলুনে সাধারণত শুক্রবার সিলিয়াল দিতে চুল দাঁড়ি কাটাতে হয়। কিন্ত আজকে দেখালাম কেউ ভিড় নাই। আমি গিয়েই সিরিয়াল পেয়ে গেছি। ১ ঘন্টা সময় নিয়ে চুল দাঁড়ি কাটালাম।
আসা পথে অল্প কিছু বাজার করলাম। দুপুরের জন্য রান্না করতে হবে। আমি যেহেতু বাসায় একা তাই বেশি কিছু কিনলাম না।
১. ✅২৫০ গ্রাম বরবটি ✅
২. ✅২৫০গ্রাম আলু✅
৩. ✅২৫০ গ্রাম বেগুন✅
নিলাম। এই ধরনের সবজিতে মোট বিল হল ৯০ টাকা।
এখন বাসায় এসে রান্না করার পালা। ১১:৪০ বাজে। আবার জুমার নামাজ আছে। দ্রুত রান্না করতে হবে। আলু আর বরবটি দিয়ে ভাজি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। পাশাপাশি ডাল রান্না করব।
দ্রুত আলু বরবটি কেটে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। পাশাপাশি রাইস কুকারে ভাত বসালাম। বেগুন গুলো নিয়ে বেগুন ফ্রাই করার চিন্তা করলাম। বেগুন গুলো পিস পিস করে কেটে নিলাম। তবে এখন ফ্রাই করব না। খাওয়ার আগে ফ্রাই করে গরম গরম খেতে মজা লাগবে। তাই এখন শুধু চাক চাক করে বেগুন গুলো কেটে তেল, লবন, হলুদ, গুড়া মরিচ মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলাম।
এর ভিতর ভাত, ভাজি দুটাই রান্না হয়েগেছে।
আযান হচ্ছে। অনেক কাপড়ও ধুয়া লাগবে। দ্রুত চলে গেলাম গোসল করতে। আগে ভিজিয়ে রাখা কাপড় গুলো ধুয়ে ফেললাম। তারপর ফেলাম গোসলে। গোসল শেষ করে বাসায় সুন্নাত নামাজ পড়ে ফেলেছি। তারপর জুমার নামাজে চলে গেলাম। মোটামুটি ভালই ক্ষুধা লাগছে। নামাজ পড়ে এসেই খেতে বসে গেলাম।
খাওয়া শেষে টাইগার-৩ সিনামাটা দেখা শুরু করলাম। মাঝখানে ডেলিভারি ম্যান আসল পার্সেল নিতে। জাওয়ানের সাথে যদি কমপেয়ার করতে বলা হয় আমি জাওয়ানকে এগিয়ে থাকব৷ তবে ভাল ছিল। সিনেমা চলাকালীন আছরের নামাজের সময় হয়। সিনেমা দেখা অফ রেখে আগে নামাজ শেষ করলাম। সিনেমা দেখা শেষ হল সাথে আবার মাগরিবের আজান। নামাজ পড়ে বাহির হব সেই প্রস্তুতি নিতে যাব দেখি কাপড় আইরন করা নাই। রাতে আমার মামাত ভাইয়ের বিয়ে। বৌকে কল দিলাম আইরন কোথায় জানার জন্য। কাপড় আইরন করে বাহির হলাম।
ক্ষিধা লেগেছে। আসার পথে নাস্তা করতে হোটেলে ডুকলাম। চা পরোটা খেয়ে মামার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। পথ বড় মামার সাথে দেখা। সবাই আসতেছে কিনা জানতে চাইল। আমি তো কক্সবাজারের একা বর্তমানে। আমার বৌ বাচ্ছা সবাই গ্রামে। তাই আমি একাই যাছি বিয়েতে।
নাস্তার হোটেলে জানতাম এলাকার একজন যুবক মারা গেছে। প্রথমে চিনতে পারি নাই৷ মামার বাড়ির কাছাকাছি আসতে চিনতে পারলাম কে মারা গেছে।
মেজ খালার বড় ছেলে মানে আমার খালাত ভাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল তার। তার কাছ থেকে জেনেছি কে মারা গেছে এটা। তার সাথে খালার বাসায় আসলাম। আসতে আসতে আত্নীয় স্বজন বিয়েতে আসা শুরু করেছে। বড় খালার মেয়ে, ছেলের বউরা এসেছে।
মোটামুটি রাত ৮ টা থেকে খাওয়া দাওয়া শুরু হয়ে যায়। যেহেতু আমার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে কিছু দ্বায়িত্ব এমনিতেই চলে আসে। ঠিকঠাক মত খাওয়া দাওয়া হচ্ছে কিনা দেখাশুনার কাজে লেগেলাম। ৯:৩০ বাজে তখন মোটামুটি খাওয়া দাওয়া প্রায় শেষের দিকে।
আমি খেয়ে বাসায় চলে যাব চিন্তা করলাম। সবার সাথে খেতে গেলে আরও ঘন্টাখানিক সময় লেগে যাবে তাই যেখানে রান্না হচ্ছে সেখানে প্লেট একটা নিয়ে বসে গেলাম। খাওয়া শেষে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে মনে পড়ল বাবার রির্টান জমা দিতে হবে অনলাইনে। সেটা নিয়ে বসে পড়লাম। সেটা শেষ করে শুয়ে পড়লাম।
শুভ রাত্রি
Hi, @joynalabedin,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @msharif.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
Hi, Greetings, Good to see you Here:)