Diary Game || Friday tour (10th March) || by @hasina78
আসসালামূয়ালাইকুম
এই শুক্রবারে আমরা আবার একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা ঘাটাইল থেকে গাজীপুর যাবার প্লান করি। গাজীপুর আমার দেবরের বাসা আমার শাশুড়ি সেখানে ছিলেন মূলত তাকে আমারদের বাসায় নিয়ে আসতেই গিয়েছিলাম।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি
সকাল ৭:৩০ মিনিটে আমরা রওনা হই। আমি , আমার হাসবেন্ড ও আমার ছোট ছেলে। ২/৩ কিলো যাবার পর মনে পরলো যে আগের রাতে মিষ্টি কিনে রেখেছিলাম আজ নিয়ে যাব বলে তা নেয়া হয়নি। আবার গাড়ি ব্যাক করে বাসায় এসে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে নেই।
ছেলে বাবাকে লোডিং এ সাহায্য করছে
ঘাটাইল থেকে ২১ কিলো দূরে সাগরদিঘী নামক স্থানে আমরা নাস্তা করি। খুব ছোট একটি গ্রাম্য হোটেল। আমরা পরোটা আর ডাল-সবজি দিতে বললাম। আমাদের বিল এসেছিল ১৪৫ টাকা আমি ১৬০ টাকা দেই যে ছেলেটি আমাদের নাস্তা দিয়েছিল তাকে বলি বাকী টাকা রেখে দিতে। সে খুব অবাক হয়। আমি ইচ্ছে করেই বেশী টাকা দিয়েছি। কারন আমরা যখন কোন নামি-দামী রেস্টুরেন্টে খেতে যাই তখন অবশ্যই টিপস দেই কিন্তু যখন কোন ছোট রাস্তার পাশের হোটেলে খাই তখন তাদের এক্সট্রা কিছুই দেইনা। অথচ খেয়াল করলে দেখা যায় যে আমরা যখন এমন ছোট হোটেলে যাই হোটেলের লোক গুলো খুবি ব্যস্ত হয়ে পরে কিভাবে আমাদের ভাল ভাবে খাবার পরিবেশন করবে। তাই আমি চেষ্টা করি এদেরও কিছু টপস দিতে।
সাগরদিঘীতে নাস্তা করি
গাজীপুর যাবার পথে ভালুকার ভোরাডোবা নামক একটা স্থান আছে যেখানে আমাদের কিছু জমি আছে। সেই জমি সমান করার কাজ চলছিল আমরা যাবার পথে কাজের অগ্রগতি দেখে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। জমি দেখে আশার পথে আমরা একটি ছোট চায়ের দোকানে গরুর দুধের চা খেলাম। খুব সুস্বাদু ছিল চা টি। কন্ডেন্স মিল্কের চা আমার ভাল লাগেনা। আমাদের জমির পাশে নয়নাভিরাম ধানের ক্ষেত যেন সবুজের সমারোহ।
ভালুকার ভোরাডোবায় জমিতে কাজ চলছে
ভোরাডোবায় সবুজের সমাহার
মাওনা ফ্লাইওভার পার হয়ে আমরা একটি স্বপ্নের আউটলেট দেখে আমার দেবরের ছেলের জন্য চকোলেট ও চিপস কিনে নেই।
মাওনা স্বপ্ন আউটলেট
আমার দেবর গাজীপুর গ্রেট ওয়াল সিরামিকে এ চাকুরী করে । ওদের কোয়ার্টারে যাবার পথে ফ্যাক্টরির কিছু ছবি তুলে নিলাম।
গ্রেট ওয়াল সিরামিকের কিছু ছবি
ওদের বিল্ডিং এর সামনে নামার পর একটা জিনিস খুব ভাল লাগলো বিল্ডিঙের নীচ তলায় দেয়ালে বিল্ডিং এর বাচ্চারা বিভিন্ন অকেশানে ছবি এঁকে নিচে লাগিয়ে দিয়েছে অনেকটা স্কুলের দেয়াল পত্রিকার মতো। আমার এই ব্যাপারটি খুবি ভালো লেগেছে।
বাচ্চাদের আঁকা ছবি
আমরা বিকেলে আমার শাশুরিকে নিয়ে রওনা হই। উথুরা নামক স্থানে প্রায় ১ ঘন্টার মতো জ্যামে পরে ছিলাম, আমার হাসবেন্ড খুব ভাল গাড়ি ড্রাইভ করে তাই অনেক ঝামেলা করে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাই। পথে আমরা একটি পেট্রোল পাম্পে থেমে মাগরীবের নামাজ পরে নেই।
উথুরার জ্যাম ও নামাজের স্থান
রাত প্রায় ৮ টার দিকে আমরা বাসায় পৌছি। রাতে তাড়াতাড়ি ডিনার করে আমরা ১০ টার দিকে ঘুমিয়ে যাই। এই ছিল আমার শুক্রবারের ডাইরি গেইম। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
@hasina78
From @bangladesh
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Review |