Better life with steem. The diary game. 31/3/2024. My simple busy day.

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।

প্রতিদিনের মতো আজকেও সেহরি খেতে ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে প্রথমে আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুই। হাতমুখ ধুয়ে আমি খাবার খেতে বসে পড়ি। সময় কম থাকায় খুব তাড়াতাড়ি সেহরি খেতে হল। খাওয়া শেষ হওয়ার দু-তিন মিনিট পরেই সেহরি খাওয়ার সময় শেষ হয়ে গেল। তারপর ফজরের আজান হল। ফজরের আজান হলে নামাজ পড়ার জন্য আমি ওযু করে মসজিদে চলে আসলাম। মসজিদে এসে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করলাম। আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমি সকল রোজা এবং নামাজ পড়ার চেষ্টা করি এবং করেও থাকি। ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে আবারো ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠি। আজকে সেহেরী পরপরই আমাদের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সাথে হালকা কিছু শিলা বৃষ্টি হয়ে পড়েছে। শিলা বৃষ্টি হলে আমরা যারা কৃষি কাজ করে থাকি তারা খুব চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ শিলা বৃষ্টিতে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। তারপর আল্লাহর অশেষ রহমতে তেমন বেশি একটা শীল পড়ে নাই। হালকা কিছু শীল পড়ে শীল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সকালে তেমন কোন কাজে ছিল না বাড়িতে। তাই বাড়িতেই বসে রইলাম। বাড়িতে বসে অনেক জায়গায় ফোনে বৃষ্টির খবর নিলাম। ফোন কোন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে কিনা তা জানলাম। এভাবে প্রায় দুপুর হয়ে গেল। তারপর আমি দুপুরের গোসল করলাম। দুপুরের গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করলাম। তারপর বাড়িতে এসে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হলাম।

রিক্সার মাধ্যমে বাজারে গিয়ে পৌঁছালাম। বাজারে গিয়ে প্রতিদিনের মতোই শুরুতেই আমি ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকে চলে আসলাম। এসে দেখি ব্যাংকে টাকা নাই। যার কারণে টাকা উত্তোলন করার জন্য যাওয়ার পর শহরে চলে আসলাম।

জামালপুর শহরের ঢোকার মুখে মির্জা আজম নামের একটি চত্বর পার হয়ে যেতে হয়। মির্জা আজম হচ্ছেন বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। উনি জামালপুর মাদারগঞ্জ আসনের এমপি এবং সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী। উনি খুব দাপটের সাথে রাজনীতি করে আসতেছে। রাজনীতি জীবনে খুব সুনাম রয়েছে ওনার। তাই ওনার নামে একটি চত্বর হলো জামালপুর জেলা শহরের মাঝে। চত্বরটি খুব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। আমি যখন শহরে যাই তখন এখানে কিছু ছবি উঠি।

জামালপুর শহর থেকে এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আমি আবারো আর একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে বাড়িতে আসতে শুরু করলাম। তারপর আমাদের ব্যবসার জায়গায় চলে আসলাম। এসে মরিচ ক্রয় করার কাজে লেগে পড়লাম।

মরিচ ক্রয় করতে করতে ইফতারের সময় হয়ে গেল। তারপর আমরা বেশ কয়েকজন মিলে ইফতার করে নিলাম। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে আসলাম। তারপর শ্রমিক গুলো মরিচ গুলো বস্তা ভরতে শুরু করলো। বস্তা ভরা শেষ হলে বস্তার মুখগুলো সেলাই করা হলো। তারপর ট্রাকের মধ্যে উঠানো হলো।

ট্রাকের মধ্যে সমস্ত বস্তা উঠানো হলে বস্তাগুলোকে রশি দিয়ে বেঁধে নেওয়া হল। তারপর ট্রাকটি তার গন্তব্যে উদ্দেশ্যে আমাদের বাজার থেকে ছেড়ে আসলো। আমরা আমাদের চূড়ান্ত হিসেবে বসে সেই সবগুলো মিলিয়ে নিলাম। তারপর বাড়ির দিকে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে হাত মুখ ধুয়ে রাতের খাবার খেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। সকলকে রমজানুল মোবারক এর শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই শেষ করলাম। সবাইকে আবারো সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।