Better life with steem. The diary game. 26/06/2024.my some working day.

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল ও সুস্থ আছি। অনেকদিন পর আপনাদের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বিশেষ কারণবশত আমি তাই এক মাস যাবৎ কাজ করতে পারিনি। আজকে থেকে আমারও পুনরায় কাজ নিয়মিত করব ইনশাআল্লাহ।

আমি সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে জেগে উঠি। তারপর শুরুতেই আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত-মুখ ধুয়ে নিলাম। সকাল হওয়ায় বাড়ির আশপাশ দিয়ে হাঁটাচলা করলাম। সকালের ঠান্ডা বাতাসে হাঁটাচলা করতে কবি ভালো লাগলো। আমি আজকে ঢাকায় যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান করেছি। সকালে সেখানে বেশ কিছু কাজকর্ম শেষ করলাম। তারপর যাত্রাবাড়ী থেকে মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করলাম।

যাত্রাবাড়ী থেকে একটা বাসের মাধ্যমে ফার্মগেট পর্যন্ত আসলাম। ফার্মগেট থেকে আরেকটা বাসের মাধ্যমে মহাখালীতে এসে পৌঁছালাম। এখানে এসে প্রথমে একটা হোটেলে ঢুকে কিছু খাবার খেলাম। তারপর সেখানে নাক কান গলা বিষয়ক হাসপাতাল সাহিক হাসপাতালে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। বেশ কয়েক বছর আগে যখন এখানে এসেছিলাম তখন খুব সকালে আসতে হতো। খুব সকালে এসে এখানে লাইনে দাঁড়াইয়ে থাকতে হতো। রোগীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল। সময়ের পরিবর্তনের ফলে এখন এত রোগী এখানে আসে না। সকাল সাড়ে সাতটায় গেট খুলে দেওয়া হল। তখন গেটের সামনে আমরা মাত্র ১৫ থেকে ২০ জনের মত লোক দাঁড়িয়েছিলাম। তার মধ্যে মহিলা রোগির সংখ্যা বেশি। হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে লাইনে দাঁড়িয়ে গেল। তারপর সেখানে ১০০ টাকা ফি জমা দিয়ে টিকিট কেটে নিলাম।

টিকিট কেটে ভিতরে বসা জায়গায় রইলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর মাইকের মাধ্যমে প্রত্যেক রোগির নাম ধরে শুরু করলো। একটা সময় আমার নাম ধরেও ডাকলো। তারপর আমিও ডাক্তার দেখাবার জন্য ডাক্তার সাহেবের কাছে চলে আসলাম। ডাক্তার সাহেবের সাথে পরামর্শ নিয়ে আমি সেখান থেকে চলে আসলাম।

মহাখালী থেকে আর একটা বাসের মাধ্যমে ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌছালাম। এখানে এসে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে একটা টিকিট কেটে নিলাম। তারপর ট্রেন আসার জন্য স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করলাম। ট্রেন আসার পর ট্রেনে উঠে আমার নির্দিষ্ট আসনে গিয়ে বসলাম। তারপর ঢাকা থেকে যাওয়ার কোন উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে দিল। বেশ কিছুক্ষণ সময় ট্রেনের মধ্যে বসে থাকতে থাকতে একটা সময় আমি ট্রেনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম। প্রায় পাঁচ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর আমি জামালপুর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালাম। ট্রেন থেকে নেমে আমি জামালপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গেলাম।

সেখানে একটা এজেন্সির কাছে আমার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ ও পাসপোর্ট রয়েছে। পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে চার থেকে পাঁচ মিনিট হেঁটে আমি সেই এজেন্সির কাছে চলে আসলাম। তাই এক বছর আগে তার কাছে পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমি বিদেশে চাকরি করতে যেতে পারিনি। তাই তার কাছ থেকে পাসপোর্ট আনতে আমি আসলাম।

এজেন্সির অফিসে এসে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। বসে সেখানে কিছু ছবি উঠালাম। আমার সাথে টুপি পাঞ্জাবি পরা যে লোকটিকে দেখতে পারছেন সে হচ্ছে এখানকার মূল এজেন্সি। তার নাম মোঃ রিপন রায়হান। তার বাড়ি জামালপুর জেলার তিতপল্লা গ্রামে। তার সাথে প্রয়োজনীয় কাজ গুলো ছেড়ে আমি আমার বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম। অটো রিক্সার মাধ্যমে বাড়িতে আসতে শুরু করলাম।

অটোর মাধ্যমে বাড়িতে এসে প্রথমে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। প্রায় সারা দিনে গাড়ির মধ্যে থাকতে হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন রকমের জীবাণু লেগে রয়েছে। তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আমি গোসল করে নিলাম। গোসল শেষে আমি খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর আমি আমার কম্পিউটারের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে আমার কিছু পরিচিত লোকজনের সাথে কথা বললাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এখানে শেষ করলাম। সকলকে আবারো সালাম আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।