Better life with steem. The diary game. 21/08/2024. The simple and busy day.
আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।তারপর সকালের খাবার খাই।
তারপর আমি আজকেও আমাদের আবাদি জমিতে বড় ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করার জন্য জমির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম। জমিতে অনেক আগাছা রয়েছে তাই বড় ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করলে আগাছা গুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ট্রাক্টর ওয়ালার কাছে ফোন দিয়ে শুনি যে তারা এখন কোথায় হাল চাষ করছে। সে বলল আমাদের জমির কাছে হাল চাষ করছে আমি যেন তাড়াতাড়ি তাদের কাছে চলে আসি। আমার বাড়ি থেকে আমার জমিতে যেতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৫ মিনিট সময়। আমি যখন জমিতে যাই তখন ট্রাক্টর কি আমাদের জমি থেকে বেশ কিছু দূরে অন্য এক লোকের জমিতে হাল চাষ করতে চলে গিয়েছে। আমি তখন আবারো ট্রাক্টর ওয়ালারে বললাম যে আমার জমিতে কখন হাল চাষ করে দিবেন। সে বলল কিছুক্ষণ দেরি হবে ওখানে একটা লোক খুব তাড়াতাড়ি করতেছে তার জমিতে হাল চাষ করে যাওয়ার জন্য। সেজন্য আমিও আমার এখানে বসে রইলাম।
এখানে বসে থাকতে থাকতে আমার যে জমিগুলো মরিচের আবাদ করার জন্য খালি পড়ে রয়েছে সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলাম। কয়েকদিন যাবত একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে জমিগুলোতে হালকা পানি রয়েছে। কিছুদিন আগে জমিতে আগাছা নিতন করার জন্য বেশ করে গিয়েছিলাম। বিষ প্রয়োগ করার কার্যে অনেক আগাছা নিধন হয়েছে। তুমি ফাঁকা থাকার কারণে এলাকার লোকে তাদের গরু মহিষ এখানে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে আসে। আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন ছবির মধ্যে অনেক গরু দেখা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আমি এভাবে সময় অতিবাহিত করলাম। তারপর আমি আবারও ডাক্তার ওয়ালার কাছে ফোন দিলাম। তিনি বললেন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে এখানে চলে আসবে।
হাল চাষ করার জন্য আমার জমিতে ট্রাক্টর চলে এসেছে। এসে আমার জমিতে হাল চাষ করা শুরু করল। যেহেতু জমির মধ্যে হাঁটু পর্যন্ত পানি রয়েছে সেজন্য আমি আমার জমির আয়তন টা ভালো করে ট্রাক্টরের ড্রাইভার কে বুঝিয়ে দিলাম। তারপর সে হাল চাষ শুরু করল। এই ট্রাক্টরের অনেকটি ফাল থাকার কারণে আগাছা গুলো কেটে টুকরো হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ৩-৪ দিন থাকলে এগুলো পানির মধ্যে পচে যাবে। হাল চাষ শেষ করে আমি বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম। আজকেও হাল চাষ করতে করতে দিন প্রায় শেষ হয়ে গেল।
আমি বাড়ির কাছে এসে আমাদের এলাকার স্থানীয় একটা দোকানে চলে আসলাম। ছবিতে যে লোককে দেখতে পারছেন সে হচ্ছে দোকানদার। তার নাম মোঃ হোসেন মিয়া। আমাদের এই গ্রামের মধ্যে তার দোকান সবচাইতে বেশি বেচাকেনা হয়ে থাকে। আমি কিছু ডিজেল কেনার জন্য এখানে এসেছি। আমাদের বাড়ির উঠোনে মরিচের বীজ রোপন করার জন্য হাল চাষ করতে হবে সেজন্য ডিজেলের প্রয়োজন হয়েছে। দোকান থেকে আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে আমি গোসল করি। তারপর হাত মুখ ভালো করে মুছে আমি মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে চলে যায়। নামাজ পড়ে এসে বাড়িতেই ছিলাম। রাত ৮:৩০ এর দিকে আমি রাতের খাবার খেলাম। তারপর দু চার মিনিট ধীরে ধীরে হাঁটাচলা করলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সকলের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করে এখানে শেষ করলাম সকলকে আবারো সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)