Better life with steem. The diary game. 18/04/2024. My some easy and some busy day.

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।

আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।তারপর সকালের খাবার খাই। তারপর বাড়ির পাশে একটা গাছের নিচে বাঁশ দিয়ে বানানো একটা মাচা আঞ্চলিক ভাষায় যেটাকে টং বলে সেখানে গিয়ে বসেছিলাম। আমার সাথে আমার এক ভাতিজা ও ছিল। তারা মোঃ সাদ্দাম মিয়া। এখন আমাদের এলাকায় তেমন কোন কাজ নেই। সংসারে ছোট ছোট কাজ ছাড়া তেমন বড় কোন কাজের সময় এখনো আসেনি। এখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ সাদ্দামের এর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলাম। তারপর আমি বাড়ির দিকে চলে আসলাম।

বাড়িতে এসে ঘরের মধ্যে বসে রইলাম। তারপর আমার মা আমাকে পেঁপে কেটে খেতে দিল। এই গরমের দিনে পেঁপে খেতে খুবই ভালো লাগে। এদের পুষ্টি গুণ অনেক ভালো। কাটা পেপে আমি ঘরে বসে খেয়ে নিলাম।

বাড়িতে তেমন কাজ না থাকায় বাড়ির আশেপাশে মাঝেমধ্যে ঘুরাঘুরি করি। কিছুক্ষণ পর মধ্যে বসে থাকার পর আবারো গাছের নিচে গিয়ে বসলাম। আজকে অধীনে প্রচুর পরিমাণ তাপ পড়িতেছে। মানুষজন ঘরের মধ্যে বসে থাকতে পারে না। শরীর থেকে ঘেমে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়। সেজন্য মাঝেমধ্যে কাছে এতে নিচে গিয়ে বসি।

গাছের নিচে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সেখানে আমার এক ছোট ভাতিজা চলে আসে। নাম মোঃ দুরন্ত। মেলা থেকে কিছু খেলনা কিনে নিয়ে এসেছিল। সেগুলো দিয়ে সে খেলাধুলা করে থাকে। কোন সে হাতে করে একটা প্লাস্টিকের পিস্তল নিয়ে এসেছে। তার পিছু কিছুক্ষণ মজা করলাম। তারপর ভাতিজার কিছু ছবি উঠালাম। তারপর ভাতিজা বার সেখান থেকে অন্যত্র চলে গেল।

প্রচুর পরিমাণ গরম থাকায় মানুষের গৃহপালিত পশু গুলো গাছের নিচে বেঁধে রাখে। গোয়াল ঘরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ গরম থাকার কারণে পশু গুলো বাইরে এনে বেঁধে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই গরমের মধ্যেও অনেক পশুপাখি গৃহপালিত পশুর অসুখ দেখা দেয়। সেজন্য মানুষ তার গরু ছাগল কে দিনে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার। গাছের নিচে ছায়ার মধ্যে ঠান্ডা বাতাসে বেঁধে রাখে। যাতে পশুগুলো সুস্থ থাকতে পারে।

বাড়িতে এসে গোসল করে নিলাম। তারপর আবারও আমার বাড়ি আঙ্গিনাই আম গাছের নিচে গিয়ে বসলাম। ঘরে বসেও শরীর ঠান্ডা হচ্ছে না। তাই বাড়ির আঙিনায় বাতাসের খোঁজে এদিকে ওদিকে হাঁটাচলা করছি।

আমাদের বাড়ির উঠোনে বেশ কিছু ফলের গাছ রয়েছে। সেগুলো হেঁটে হেঁটে দেখতে শুরু করলাম। বাড়ির মধ্যে ছোট্ট একটি আম গাছ রয়েছে। সেই গাছটিতে বেশ কয়েকটি আম ধরেছে। অন্যান্য আম গাছের আমগুলো করার জন্য ঝরে যাচ্ছে। আমাদের বাড়ির উঠোনের যে আম গাছটি রয়েছে সেটা থেকে আম ঝরে পড়তেছেনা। আম ঝরে না পড়ার জন্য খুবই ভালো লাগলো। আম গাছটি দিনের অধিকাংশ সময়ে অন্যান্য গাছের ছায়ায় থাকে। সেজন্য গাছটির আশপাশে অনেক ঠান্ডা থাকে। এজন্য গাছ থেকে কোন প্রকার আম পড়ে না। কত দুই বছর আগে আমি একটি পেয়ারার গাছ রোপণ করেছিলাম। সে গাছে এখন পেয়ারা ধরতে শুরু করেছে। এই গাছের পেয়ারা ও গত বছর ধরে ছিল। সুস্বাদু হয়ে থাকে পেয়ারাগুলো।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমাদের বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। প্রতিদিনের মতো আজকে একটি অটো রিক্সার মাধ্যমে বাজারে চলে আসলাম। বাজারে এসে অটোরিকশা থেকে নেমে অটো রিক্সার ভাড়া পরিশোধ করলাম।

বাজারে গিয়ে অনেক দোকানে গেলাম। সেখান থেকে মোবাইলের একটি স্ট্যান্ড কিনে নিলাম। মোবাইল হাত ধরে দেখতে অনেক সময় বিরক্ত লাগে। তাই কম টাকায় দিয়ে মোবাইলের স্ট্যান্ড কিনে নিয়ে আসলাম। দোকান থেকে জিনিসটি ক্রয় করলাম সে আমার সহপাঠী ছিল। অনেকদিন পর তার দোকানে গেলাম।

আমার সহপাঠীর দোকান থেকে ভাতিজার দোকানে এসে বসলাম। ভাতিজা মূলত একজন পান সুপারির ব্যবসায়ী। ভাতিজার নাম মোঃ রিপন মন্ডল ‌। তার বাবা একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। আঞ্চলিক ভাষায় যাকে মেম্বার বলা হয়ে থাকে। তার ব্যবসা ভাতিজাকে নিজেই পরিচালনা করতে হয়।

কিছুক্ষণ সময় দিপন ভাতিজার দোকানে বসে থাকার পর আমি আমাদের বাজারের কাঁচা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কাঁচা বাজারে এসে কিছু কাঁচা বাজার করে নিলাম। তারপর আমাদের বাজারের মাছ বাজারে চলে আসলাম। এখানে এসে বিলের ছোট মাছ ক্রয় করে নিলাম। মাছ গুলো আমার পরিচিত একজন নিয়ে এসেছে। মাছগুলো ক্রয় করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করলাম। বাড়িতে এসে বেশ কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম নিলাম। তারপর রাতের খাবার খেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সকলের প্রতি আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।