Better life with steem.. the diary game. 17/10/2023.. simple day...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সকলের প্রতি সালাম আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। |
---|
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ ১৭ই অক্টোবর ২০২৩ দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
প্রতিদিনের মতো আজকে সকাল সাতটায় আমি ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর আমি গোসল করি। তারপর আমি অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হই। বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।
রাস্তায় যখন হাঁটতে শুরু করলাম তখন রাস্তা একদম ফাঁকা ছিল। এখন রাতে মোটামুটি ভালো কুয়াশা পড়ে। যার কারণে সকালেও অনেক কুয়াশা দেখতে পাওয়া যায়। পাঁচ মিনিটের মত হেঁটে আমি হোটেলে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে সকালের খাবার খেলাম। তারপর অফিসের দিকে রওনা করলাম। অফিসের কার্যক্রম সকাল আটটা থেকে হলেও আমি সাতটা চল্লিশ মিনিটে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করেছি।
আমার কাজের জায়গা অফিসের বিল্ডিং এর চতুর্থ তলায় অবস্থিত। ছবিতে যে সিডিটি দেখতে পারছেন সেটা আমাদের অফিসের ওঠার এবং নামার সিডি। আমাদের অফিসের বিল্ডিংয়ে চারটি সিঁড়ি রয়েছে। আমাদের কারখানা শতভাগ কমপ্লায়েন্স হওয়াই কমপ্লায়েন্সের সকল কার্যক্রম অনুসরণ করা হয়। সেজন্য অফিসের মধ্যে চারটি সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অফিসের মধ্যে সকল লোকজন খুব দ্রুতগতিতে বের হয়ে যেতে পারে। যাই হোক অফিসের
মধ্যে ২০ মিনিট আগে প্রবেশ করায় লোকজন একেবারেই আসে নাই। হাতেগোনা কয়েকজন অফিসের মধ্যে প্রবেশ করেছে।
আমি অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ কাজ করলাম। তারপর আমার পাশের মেশিনের অপারেটর মোঃ আল আমিন ভাই সেও এসে পড়েছে। তার সাথে একটা ছবি উঠিয়ে নিলাম। তার সাথে কিছুক্ষণ কাজের বিষয়ে আলাপ করলাম। তারপর যার যার কাজে মনোযোগী হয়ে পড়লাম।
ছবিতে যাকে দেখতে পারছেন তার নাম মোঃ পলাশ আকন্দ। সে আমাদের লাইনের সুপারভাইজার। সে আমাদের মেশিনের পাশে এসে বসে কিছুক্ষণ দরকারি কথা বলে নিল। সে আমাদের কাজে অনেক সাহায্য করে থাকে। কোন কাজের কি পরিমান মাপ থাকে তা সে আমাদের জানিয়ে দেয়। সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
প্রত্যেকটা মেশিনে প্রত্যেক অপারেটর যেন কোন রকমের ভুল না করে সেজন্য আমাদের অফিসের কর্মকর্তাগণ ফ্লোর কিউ,সি ,রেখেছে। তাদের কাজ হচ্ছে সকল কাজের গুণগতমান ঠিক রাখা জন্য প্রত্যেকটা লাইনে লাইনে ঘুরে কাজের মান দেখা। ছবিতে যে লোককে দেখতে পারছেন সে আমাদের ফ্লোর কিউসির দায়িত্ব রয়েছে। সে আমার পাশের মেশিনের অপারেটরের কাজ মেশিনে বসে দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে করতে হবে।
দুপুর একটা সময় অফিস থেকে বের হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। তারপর আবারও দুপুর দুইটা থেকে কাজ করা শুরু করলাম। কাজের খুব চাপ থাকায় সবাই মনোযোগ দিয়ে কাজ করলাম। সন্ধ্যা সাতটার সময় আমাদের অফিস ছুটি হয়ে গেল। অফিসের বাহিরে বের হয়ে চা র দোকানে গিয়ে আমরা কয়েকজন লোক চা বিস্কুট খেয়ে নিলাম। আমরা বেশ কয়েকজন একসাথে চলাফেরা করে থাকি।
দোকান থেকে আমরা আরেকটা বাসায় চলে আসলাম। এ বাসায় আল আমিন ভাই ভাড়া থাকে। তার বাসার মধ্যে আমরা সবাই মিলে কিছু খাবার তৈরি করলাম। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে মুড়ি ভর্তা বা ঝাল মুড়ি বলা হয়ে থাকে। আমরা পাঁচ ছয় জন মিলে এটা একসাথে খেয়ে নিলাম। তারপর আমি সে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম। রাত নটার দিকে আমি হোটেলে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Thank you for read My post and suggestion..