Better life with steem. The diary game.15/08/2023.simple day..
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
প্রতিদিনের মতো আজকে সকাল ছয়টা ত্রিশে আমি ঘুম থেকে উঠি। আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। সকাল ৮ টায় আমি সকালের খাবার খাই। সকালের খাবার খেয়ে বাড়িতে কিছুক্ষণ বসে থাকি। তারপর একটা কাজের জন্য জামালপুর শহরে চলে যায়।
জামালপুর শহরে গিয়ে হযরত শাহাজামাল ক্লিনিকে চলে যায়। সেখানে ডক্টর এ কে এম মাহবুবুর রহমানের স্যারের একটা সিরিয়াল দেই। আমার হাতে একটা জায়গায় ব্যথা অনুভব হচ্ছিল। সেটা জটিল্য কোন কিছু হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্যই ডাক্তারের পরামর্শের জন্য এসেছি। ডাক্তার সাহেব আমাকে একটা এক্সরে করতে দিল। এক্সপোর্ট দেখে ডাক্তার সাহেব বললেন তেমন কোন কিছু হয়নি। তারপর কিছু ওষুধ পাতি লিখে দিলেন। তারপর আমি ক্লিনিক থেকে বের হয়ে পড়লাম।
ডাক্তারের ওখান থেকে বের হয়ে একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মরে গিয়ে পৌঁছালাম। সেখানে অটো রিক্সা থেকে নেমে কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর সেখানে ঘোরাঘুরি শুরু করলাম। এখানে একটা সরকারি কলেজের জন্য মাটি কেটে আয়তন তৈরি করা হয়েছে। তাই প্রত্যেকদিন বিকেলে অনেক লোক এখানে বেড়াতে আসে।
এখানে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে সেজন্য এখানকার আয়তন ও বেশ বড় করে তোলা হয়েছে। এই জায়গাটা জামালপুর শহরের একদম নিকটেই অবস্থিত। এই জায়গার অশ্রীর পাশেই জামালপুর জেলা সদর হাসপাতাল ও জামালপুর শহর থানা এবং জামালপুর জেলার সুপ্রিম কোর্ট অবস্থিত। আরেকটু পাশেই জামালপুর বর্ডার গার্ড দপ্তর অবস্থিত। শহরের পাশে অবস্থিত হওয়ায় অনেক কর্মব্যস্ত লোক একটু প্রশান্তির জন্য এখানে মুক্ত বাতাসে বেড়াতে আছে। এটার পাশেই কিছু ছেলে ফুটবল খেলতেছিল। একটা জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ফুটবল খেলা উপভোগ করলাম। এই ছেলেগুলো অবশ্যই জামালপুর শহরের মধ্যে বসবাস করে। জামালপুর শহরের মধ্যে তেমন কোন মাছ না থাকায় তারা এই খোলা জায়গায় এসে খেলাধুলা করিতেছে।
বিকেল হলে এখানে অনেকেই তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে আসে। যেহেতু অনেক শিশু পোলাপান এখানে আসে সেজন্য এখানে কিছু খেলনা জিনিস বিক্রি করা হয়ে থাকে। আমি কিছু ছেলে মেয়েদের হাতে খেলনা দেখতে পেলাম। তারা এসব খেলনা পাশে একটা দোকান থেকে ক্রয় করে নিয়ে এসেছে।
বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসে। তারপর আমি আস্তে আস্তে সে মাঠ থেকে বের হয়ে পড়ি। সেদিন সারাদিন আকাশ অনেক পরিষ্কার ছিল। যখন সূর্য ডুবতে যায় তখন কিছুটা মেঘ আকাশে দেখা দিয়েছিল। মাঠের পূর্বপাশ থেকে পশ্চিম পাশে আসতে তাই চার থেকে পাঁচ মিনিট সময় লেগে যায়। এ পাশে এসে পাকা রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ালাম।
আমার সাথে যারা ছিল তাদেরকে কিছু বাদাম কিনে খাওয়ালাম। বাদাম খেতে খেতে আরও কিছুক্ষণ সময় সেখানে অতিবাহিত করলাম। এবং তাদের সাথে অনেক গল্প করলাম। আমার সাথে যারা ছিল তাদেরকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম না কারণ তারা দুজনেই ছিল মেয়ে মানুষ। তারপর আমরা একটা চটপটির দোকানে গিয়ে বসলাম।
চটপটির দোকানে বসে আমরা তিনজনে চটপটি খেলাম। জামালপুর শহরের মধ্যে এই জায়গাতে বেশি চটপটির দোকান পাওয়া যায়। সবাই চটপটি খেয়ে তারপর একটা অটোর মাধ্যমে আমার বাড়ির দিকে রওনা হলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। রাত নয়টার দিকে রাতের খাবার খেলাম। খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। প্রত্যেকবার খাবার খেয়ে দু থেকে পাঁচ মিনিট সময় আমি হাটাহাটি করি। এটা আমার একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সাড়ে দশটার দিকে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|