Better life with steem. The diary game. 05/04/2024. The jumma day and another busy day.
প্রতিদিনের মতো আজকেও সেহরি খেতে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে আমি আমার দাঁত ব্রাশ করে নিলাম। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। হাত মুখ ধুয়ে সেহরির খাবার খেতে বসে পড়লাম। পরিবারের সবাই মিলে সেহরির খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য বাড়ি থেকে ওযু করে বের হয়ে পড়লাম। মসজিদে গিয়ে শুরুতেই তোরাঘাট সুন্নত নামাজ আদায় করলাম। তারপর জামাতের সাথে দু'রাকাত ফজরের ফরজ নামাজ আদায় করলাম। তারপর পুনরায় বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল সাড়ে আটটার দিকে আবারো ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। তারপর বাড়িতে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। আজকে জুম্মা বার হওয়ায় তেমন কোন বাড়তি কাজ করতে গেলাম না। এই বছরের এ রমজানের শেষ জমা এটি। যার কারণে জুমার দিনে খুব আগে মসজিদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি আল্লাহতালার কাছে। সকাল ১১ টার সময় আমি গোসল করলাম। তারপর ১১:৩০ এর দিকে মসজিদে গিয়ে পৌঁছালাম।
মসজিদে গিয়ে দেখি আমার এক চাচা মসজিদে গিয়ে মসজিদের দরজাগুলো খুলে দিচ্ছে। আমি আজকে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে মসজিদে প্রবেশ করলাম। তারপর তোরা কাত সুন্নত নামাজ আদায় করলাম। আদায় করার পর আমাদের মসজিদের খতিব সাহেব মসজিদে এসে পৌঁছালেন। তারপর খতিব সাহেবের সাথে সালাম বিনিময় করলাম। তিনি এবং তার পরিবার কেমন আছে তা জিজ্ঞেস করলাম। মসজিদের ভিতর তখনও আমরা তিনজন ছাড়া অন্য কোন পুরুষ মানুষ ছিল না। আমাদের মসজিদের বাম পাশে মহিলাদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে মাঝখানে তিন দিয়ে দেয়াল তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তারা সেই দেওয়াল বা বেড়ার ওইপাশে নামাজ আদায় করে থাকে। এভাবে সময় যেতে যেতে প্রাই সাড়ে বারোটা বেজে গেল। তখন আমাদের মসজিদের খুতবার আজান দেওয়া হল। খোঁড়াজান শেষ হলে খতিব সাহেব ওনার মূল্যবান বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন। সর্ব সাকুল্যে একটা ৩০ মিনিটের দিকে নামাজ শেষ হলো। তারপর বাড়িতে চলে আসলাম। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
বাড়িতে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আমি আমার ব্যবসার কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়লাম। বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। আজকে প্রচন্ড পরিমাণ রোদ। যার কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে শরীর ঘেমে ঘেমে যাচ্ছে। বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর একটা অটো রিকশা চলে আসলো।
অটোর মধ্যে উঠে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করলাম। বাজারে গিয়ে নেমে অটো রিক্সার ভাড়াটি পরিশোধ করলাম। তারপর আমাদের ব্যবসার জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালাম।
ব্যবসার জায়গাই গিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপাতিগুলো নিয়ে আসলাম। তারপর ধীরে ধীরে লোকজন মরিচ নিয়ে আসতে শুরু করল। আমরাও কেনাকাটায় ব্যস্ত হতে শুরু করলাম। এভাবে ইফতারের টাইম হয়ে আসলো।
ইফতারের টাইমের ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে আমি আমার এক চাচার বাড়িতে চলে আসলাম। আবার এক চাচা আজকে আমাদের সমাজের সকলকে ইফতারের দাওয়াত দিয়েছে। গ্রামের বাড়িতে হওয়ায় সকলকে বাড়ির আঙিনায় বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজ এবং গ্রামের অন্য সমাজের এবং বেশ কিছু হতদরিদ্রদের কেউ দাওয়াত করা হয়েছে। সকলে এখানে এসে পজিশনে বসে পড়েছে। আমিও এসে এখানে শরিক হলাম। তারপর এখান থেকে খাবার খেয়ে আবারো একটা অটোরিকসার মাধ্যমে বাজারে চলে আসলাম।
বাজারে গিয়ে মরিচগুলো বস্তার মধ্যে ভরতে পারলাম। তারপর মরিচগুলো বা তার মধ্যে ভরা শুরু করা হলো। কিছুক্ষণ পরে ট্রাকটি আমাদের বাজারে চলে আসলো। তারপর মরিচের বস্তা গুলো ওজন করে বসার গায়ে ওজন দাগ লিখে দেওয়া হল। সর্বশেষে মরিচগুলো টাকের মধ্যে উঠিয়ে দেয়া হলো। আমাদের বাজার থেকে তার গন্তব্যে ছেড়ে চলে গেল। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। সকলের প্রতি আবারো সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। |
---|
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Thank you for read My post and suggestion.