Better life with steem. The diary game. 03/09/2023. Simple day.

in Steem For Bangladeshlast year

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।

GridArt_20230904_163004354.jpg
আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।
তারপর সকালের খাবার খাই। আজকের তেমন কোন কাজ নেই তাই বাড়িতেই বসে ছিলাম। বাড়িতে বসে একটা গাছের নিচে গল্প করিতেছিলাম। হঠাৎ আমার বাবা এসে বললো শেরপুর যেতে হবে। এক লোকের কাছে কিছু টাকা পাবো সে টাকা আনতে যেতে হবে।

20230805_135953.jpg

20230805_134818.jpg

বাড়িতে গিয়ে গোসল করে শেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। বাড়ি থেকে প্রথমে একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে জামালপুর শহরে গেলাম। জামালপুর শহর থেকে একটা বাসের মাধ্যমে শেরপুর শহরে গেলাম। তারপর সেখান থেকে সিএনজির মাধ্যমে যার কাছে টাকা পাব তাদের বাড়িতে চলে গেলাম। তাদের বাড়িতে গিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেল। খুব দ্রুতই আমাদের পাওনা টাকা আমাদের বুঝিয়ে দিল। টাকা দিয়ে হাতে পেয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করে তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়লাম। তারপর একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে মধুটিলা ইকো পার্কে চলে গেলাম। সেখানে গেটে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম।

20230805_150009.jpg

20230805_150000.jpg
মেন ফটো দিয়ে প্রবেশ করেই মধুটিলা ইকোপার্কের একটা মানচিত্রের ছবি উঠিয়ে নিলাম। কোথায় কোন জিনিস রয়েছে তা দেখে নিলাম। তারপর সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। এরকম একটা পাহাড়ি এলাকায় এসে আমি খুবই আনন্দিত। খুব আগ্রহ ভরা মন নিয়ে সামনে এগোতে থাকলাম।

20230805_140140.jpg

20230805_140047.jpg

মেন গেট থেকে দু মিনিট হাত নেই সেখানে বন কর্মকর্তার উদ্দেশ দেখা যায়। সেখানে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম। এই বন শেরপুর জেলার মধ্যে অবস্থিত হলেও ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধ্যে রয়েছে। রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এক মিনিট হেঁটে এগুলোই সেখানে একটা লেক দেখতে পেলাম। লেকের পারে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম।

20230805_140409.jpg

লেকের পাড় থেকে সামান্য কিছু সামনে গেলে কিছু ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। সেখানে সিংহের ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম। চারিদিকে সবুজের সমারোহ
এর মধ্যে ভাস্কর্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। সেখান থেকে সামনে এগিয়ে গেলাম।

20230805_140625.jpg

সেখানে লেকের উপরে সুন্দর একটি গোল চত্বর তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে দেখলাম। সে সাথে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম। পাহাড়ের পাদদেশে যে লেক রয়েছে সেটা খুবই মনোমুগ্ধকর। এই চত্বরের উপরে দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকালে খুবই ভালো লাগে। এই চত্বরের তিনদিকেই পাহাড় রয়েছে। যারা পাহাড়- ভালবাসেন তাদের অবশ্যই মধুটিলা ইকোপার্কে ঘুরতে আসা উচিত বলে মনে করি আমি।

20230805_140928.jpg
চত্বর থেকে বের হয়ে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে হাটা শুরু করলাম। মধুটিলা ইকোপার্ক এর ওয়াচ টাওয়ারের দিকে রওনা করলাম। সেখানে যাওয়ার জন্য সিঁড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে যেতে অনেক কষ্ট হল যেহেতু স্থানটি অনেক উঁচু।

20230805_142211.jpg

20230805_142154.jpg

20230805_141459.jpg

20230805_141225.jpg
অনেক কষ্ট করে ওয়াচ টাওয়ারের কাছে পৌঁছালাম। সেখানে ২০ টাকা করে টিকিট কেটে ওয়াচ টাওয়ারের উপরে উঠলাম। সেখান থেকে চারিদিকটা খুব ভালো করে দেখলাম। যা দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর। ওয়াচ টাওয়ার থেকে ইন্ডিয়ার পাহাড় গুলো দেখা যায়। বিশাল বড় বড় পাহাড়গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তারপর সেখানে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বাড়িতে এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। এভাবেই কেটে গেল আমার সারা দিন। রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের দিকে রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। রাত ৯ টা ৩০ এর দিকে ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  
Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 59201.08
ETH 2515.32
USDT 1.00
SBD 2.50