Better life with steem "the diary game"03/05/2023.simple day.

in Steem For Bangladesh2 years ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।

20230503_105840.jpg

20230503_105820.jpg

20230503_105756.jpg

প্রতিদিনের মতো আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুই। হাত মুখ ধুয়ে সকালে খাবার খাই। খাবার খেয়ে আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে ধানের ক্ষেতে চলে যায়। আজকেও ধান মাড়াই করতে হবে। সেজন্য সকালেই ধানের ক্ষেতে চলে যায়। আজকে ৩ই মে ২০২৩।২০ই বৈশাখ। ১২ই শাওয়াল । যেহেতু এখন বৈশাখ মাস তাই প্রচুর পরিমাণে গরম। আমার এই সময়ে ধান মাড়াই করার কাজ শুরু হয়। এজন্য সকালে ধানের ক্ষেতে যাই ধান মাড়াই করার জন্য। আমি এখন আমার বাড়িতে আছি সে জন্য প্রচুর পরিমাণ কৃষিকাজ করতে হয়। নিজের সংসারের কাজ তাই নিজেকেই করতে হয়। কাজের অনুপাত অনুসারে শ্রমিক নিয়েও কাজ করতে হয়। এই বছর প্রচুর পরিমাণ তাপ থাকার কারণে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। তারপরেও নিজের কাজ নিজেকে করতেই হয়। আজকে ধান মাড়াই করার জন্য দুটো শ্রমিক নিয়েছি। একজনের নাম মোঃ নুর ইসলাম। আরেকজন নুর ইসলাম চাচার নাতি হয়। তারা দুইজনে মিলে আমাদের ধান মাড়াই করিতেছে। তারা দুজন খুবই পরিশ্রম করে। মূলত কৃষিকাজ ই প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রমের কাজ। সারাদিন রোদ বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে হয়। আজকে এত পরিমাণ রোদ ও গরম যার কারণে কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করতে হয়। কাজ করতে করতে দুপুর একটা বেজে গেল। তারপরে আমরা সবাই দুপুরের খাবার খেলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নেওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার কাজে লেগে গেলাম।

20230503_130304.jpg
অনেক রৌদ্রের মধ্যে ধান মাড়াই করতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল। ধানের বাড়ি চোখে লাগলে চোখ খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেজন্য আমি একটা কালো চশমা ব্যবহার করি। যেন মাড়াই মেশিনের সামনে গেলে কোন প্রকার ধানের বাড়ি চোখে না লাগে। প্রচন্ড গরমে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। শরীরও প্রচুর পরিমাণে ঘামতে ছিল। কিছুক্ষণ পর আবার একটু পানি খেয়ে নিলাম। এভাবে কাজ করতে করতে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ধান মাড়া এর কাজ শেষ হয়। পরে ধানগুলোকে বস্তার মধ্যে তুলে ফেলি। এবং একটা মহিষের গাড়িতে উঠিয়ে দিই।
20230503_145351.jpg

20230503_145342.jpg
তারপর গাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে চলে আসি। গাড়িওয়ালার নাম মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। সে সম্পর্কে আমার দাদা লাগে। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের নাম মোঃ পারভেজ হাসান। ছোট ছেলের নাম মোহাম্মদ আলিরাজ হোসেন। বড় ছেলে বাড়িতে সংসার করে ও পড়াশোনা করে। ছোট ছেলে ইন্টার পাশ করে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছে। সে এখন বর্তমানে সিলেটে কর্মরত আছে। আলী রাজ গত রমজান ঈদের বাড়িতে ছিল।

20230503_150522.jpg

20230503_150428.jpg
কাঁচা রাস্তা থেকে উঠে পাকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে চলে আসলাম। পাকা রাস্তায় এসে আমি গাড়ির উপরে উঠে বসে পড়লাম। আসতে আসতে গাড়িওয়ালার সাথে অনেকক্ষণ আলাপ করলাম। তার শরীর কেমন আছে তার ছেলে মেয়ে কেমন আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো সবাই আল্লাহর রহমতে ভালই আছে। এভাবে গল্প করতে করতে বাড়িতে চলে আসলাম।

20230503_154853.jpg

20230503_154844.jpg
বাড়িতে এসে বস্তাগুলো নামিয়ে রাখলাম। আমাদের কিছু ভুট্টা মাড়াই করার বাকি ছিল এসে দেখি মাড়াই করা হয়ে গেছে। ভুট্টা মাড়াই করতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। সেগুলো আমার কাকা এবং কাকাতো ভাই আমার বাবা মিলে করেছে। তারপর কিছুক্ষণ বাড়িতে বিশ্রাম নিলাম।

20230503_172957.jpg
আজকে আবার আমাদের মরিচ তুলতে কিছু শ্রমিক নিয়েছিল। সেজন্য আবার মরিচের ক্ষেতে চলে আসলাম। এখানে কিছু বস্তামরিচ উঠানো হয়েছে। আবার একটা গাড়ির মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে আসতে হবে। সেজন্য ক্ষেতে কিছুক্ষণ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলাম। গাড়ি আসার পর বস্তাগুলো গাড়ির মধ্যে তুলে দিলাম। তারপর বাড়িতে চলে আসলাম। সন্ধ্যা সাতটার দিকে গোসল করলাম। তারপর ৮:৩০ টার দিকে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপরে ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

Sort:  
 2 years ago 

সত্যি কথা বলতে আপনার ডাইরি গেম পরে আমি বেশ আনন্দ পেলাম। আমার জীবনে আমি কখনোই গরুর গাড়ি দেখিনি আপনার পোস্টে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি আমার জীবনে প্রথম গরুর গাড়ি দেখলাম।

আপনি উল্লেখ করেছেন ধান মাড়াই এর কাজ নিয়ে আপনি ব্যস্ত ছিলেন আজকে সারাটা দিন আসলে আপনি চশমা ব্যবহার করেছেন বেশ ভালো করেছেন কারণ হঠাৎ করে যদি চোখে ধান এসে পড়ে তাহলে কিন্তু চোখের সমস্যা হয়ে যায়।

আপনার দিনপঞ্জি কাটা পরে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনার পোস্ট থেকে আমি অজানা অনেকগুলো বিষয় দেখতে পেলাম তারপরে দেখলাম আপনি মরিচ তোলার জন্য শ্রমিক নিয়েছেন শেষে আপনি মরিচ খেতে চলে গেলেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ডায়েরী গেম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করছেন সৃষ্টিকর্তা আপনার শরীর ভালো রাখুক এই কামনাটাই করছি ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

 2 years ago 

আপু এইটা গরুর গাড়ি না। এইটা মহিষের গাড়ি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ভালো রাখুক। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

 2 years ago 
Thank you very much for sharing a beautiful post, definitely stay active and comment, all the best for your post.
DescriptionInformation
Plagiarism Free
#steemexlusive
Bot Free
Verified User
Support #burnsteem25
Voting CSI[ ? ] ( 0.00 % self, 11 upvotes, 8 accounts, last 7d )
Period2023-05-04
Transfer to VestingPowerUp : 0 STEEM
Cash Out
0
ResultNO Club

Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.

 2 years ago 

Thanks for read My post.

 2 years ago 

আপনার ছবি গুলো দেখে খুব ভাল লাগলো। এই দৃশ্য গুলো আমার অচেনা। আমাদের সাথে এমন আরো গ্রামের অসাধারণ ছবি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

যতদিন গ্রামে আছি ততদিন গ্রামের ছবি দিতে হবে চেষ্টা করব ভালো ছবি দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67985.45
ETH 2400.41
USDT 1.00
SBD 2.35