দুই দিন বেশি পানি বাড়াতে যমুনা নদীতে বন্যার পরিস্থিতি।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

হ্যালো স্টিম প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি সুস্থ আছি।

আপনারা হয়তো আমার লেখার ক্যাপশন দেখেই বুঝতে পেরেছেন যে, আমি কোন বিষয় সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি, যমুনা নদীর পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র দুইদিন পানি বেড়ে পুরো বন্যা হয়ে গিয়েছে। তবে হা গত কিছুদিন ধরে পানি বাড়তেছিল, কিন্তু নদীর পানি নদীতেই ছিল। গতকালকে আর আজকে এত পরিমান পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, রাস্তাঘাটে চলা খুবই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

আপনারা জানেন যে, বাংলায় এটি আষাঢ় মাস চলতেছে। সাধারণত আষাঢ় মাসে বৃষ্টি ও বন্যা হয়ে থাকে। তাই বন্যার এই পরিস্থিতির কারণে আমরা খুব বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে বন্যা। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে যমুনা নদীর তীরে যাদের ঘরবাড়ি তাদের। আমাদের বাড়িও কিন্তু যমুনা নদীর তীরে তাই আমরাও এই কষ্টের মধ্যে আছি।

আজকে বন্যার পরিস্থিতি দেখার জন্য বের হয়েছিলাম, তবে আমাদের কিন্তু ঘরের মধ্যে থেকেই বন্যা দেখা যায়, কারণ বাড়ির চতুর পাশ দিয়ে অনেক পানি। তবুও অন্যদের পরিস্থিতি দেখার জন্য গিয়েছিলাম। দেখলাম কয়েকটা ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে। তাদের কতই না কষ্ট হচ্ছে। আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন যদি ঘরের মধ্যেই পানি উঠে যায় তাহলে কিভাবে সে ঘরের মধ্যে বসবাস করতে পারে? অবশ্যই এটি অনেক কঠিন ও কষ্টকর একটি বিষয়।

বন্যার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে আমরা রাস্তায় বের হতে পারছি না। যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে তাকে সময় মতো ডাক্তারের কাছে নিতে পারছি না। আমি আজকে ঔষধ কেনার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লেগেছে।

যাইহোক আমাদের বাড়ির চতুরপাশ দিয়ে পর্যাপ্ত পানি হলেও আমাদের ঘরে পানি উঠবে না ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে বিনীতভাবে এ কথাটি বলতে পারি যে, বাংলাদেশের যে এলাকাগুলো বন্যায় কবলিত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াবেন। সাধ্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করবেন। তাদের পাশে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে শত কষ্টের মাঝেও তারা আনন্দ পাবে।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আবারো আমি বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ।