নিজের লাগানো গাজর গাছ থেকে গাজর সংগ্রহ।
made by poster maker apps.
আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আমার একটা ছোট জমি আছে সেখানে নানা সময় নানা সবজি চাষ করি। সেই ধারাবাহিকতায় আমি গাজর চাষ করি এবং আজ সেখান থেকে গাজর উত্তলন করেছি সেটাই আজ শেয়ার করবো। আপনাদের সাথে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তাই কিছু ছবি তুলেছি। এটা আমার ফটোগ্রাফি। আমি চেষ্টা করছি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার।
এটা আমার লাগানো গাজর গাছ যারা আগে কখনো দেখেন নাই তাদের জন্য এটা শিক্ষামুলক হতে চলেছে। একটা আশ্চর্য বিষয় হলো যখন আমি ছবি তুলছিলাম হঠাৎ একটা ফড়িং গাছের উপর এসে বসেছে আমি তাকে সহ আমার গাছ একই ফ্রেমে বন্দি করেছে।আপনাদের কেমন লাগলো?
আমি খুবই খুশি হয়েছি ছবিটা তুলতে পেরে।এতো সুন্দর সময় বলে বোঝানো যাবে না।একটু ভালো করে গাছ গুলা দেখায়,,,,
কি গাছের মত মনে হচ্ছে?
আমি আগে এই গাছকে মনে করতাম ধনে পাতার গাছ ভাবতাম কিন্তু কোনো ঘ্রাণ পেতাম না।এখন বুঝতে পারি এটা গাজর গাছ। এই গাছ গুলা আরো বড় হত কিন্তু পানির অভাবে হচ্ছে না।আকাশের সুর্য এতটাই বেপরোয়া ভাভে কিরন দিচ্ছে যে মাটি পর্যন্ত পুড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলো লাস্ট ভরসা।বৃষ্টি হলে গাছ ভালো হবে আর গাছ ভালো হলে গাজর ভালো হবে ইন্সাল্লাহ।
অনেক গাছতো তাই তাদের মধ্যে মোটা দেখে উঠানোর চেষ্টা করলাম মানে গাছের গোড়া যত মোটা হবে গাছের গাজর তত মোটা হবে।আমি যদি উপরের পাতা ধরে টান দেয় তাহলে কিন্তু গাজর ঊঠবে না। এমনকি গাজরের মাঝ বরাবরো ভেংজ্ঞে যেতে পারে তাই একটু সাবধানতা কাজে লাগিয়ে টান দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু এতোটাই মাটি শুকুয়ে গেছে যে ঊঠতে চাই ছিলো না। অবশেষে উঠলো।
কি ব্যাপার কিছু কি দেখেছে? আমি নিজেই অবাক এতো সুন্দর হয়েছে। আমি এই প্রথম গাজর লাগিয়েছি এতো সুন্দর হবে ভাবতে পারি নাই।ক্যামেরায় যতটা দেখাচ্ছে তার থেকেও সুন্দর লাগছিল।আমি অনেক খুশি নিজের গাছের গাজর আমি নিজের হাতে তুলতে পেরেছি।আপনারা এক দিন আসুন আমার ঘেরে দেখে যান কি কি লাগিয়েছি।
আমার হাতে গাজর। অনেক ভালো লাগছে এতো বড় গাজর আমার গাছে হবে কখনো ভাবি নাই। নিজের হাতে মাটি প্রস্তুত করে নিজেই সেখানে বিজ বপন করে সময় মত পানি দিয়ে।ধিরে ধিরে গাছ ওঠে।গাছ ওঠার পরে সেখানে প্রতি নিয়ত পানি দেওয়া পরিচর্যা করা, কীটনাশক দেওয়া ঘিরে রাখা সে অনেক কাজ।এতো পরিশ্রমের পর হাতে যখন কষ্টের ফসল তখন এমনিতেই ভালো লাগে আমি অনেক খুশি।
অনেক উত্তেজিত হোয়ার জন্য একসাথে অনেক গুলা ধরে টান দিয়েছি এতে করে বড় গুলার পাশা পাশি ছোট গুলাও এক সাথে চলে এসেছে।তবুও ভালো লাগছে নিজের গাছের জিনিস।আচ্ছা আপনারা কখনো নিজেরা কিছু লাগিয়েছেন? আমাকে জানাবেন কিন্তু আমি অপেক্ষায় আছি। ছোট গুলা এক সাথে উঠে যাওয়াতে সামান্য খারাপ লাগছিলো।এসস একটু বৃষ্টি যদি হত সব গাজর গুলা অনেক সুন্দর হত।কোনো ছোট বড় হত না।সব গুলাই সমান হতো। তারপর ও ভালো লাগছে নিজের হাতে তুলেছি তাই।
আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি কি ভাবে গাজরের চাষ করবেন,,
প্রথমে মাটি প্রস্তুত করতে হবে।বার বার মাটি কুপিয়ে ঝর ঝরে করতে হবে তারপর সেখানে জৈব সার দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে আবার মাটি উলটা পালটা করতে হবে। তারপর ভালো বীজ সংগ্রহ করতে হবে। বীজ ২ ঘন্টা রোদে দিতে হবে তার পর ২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে দিতে হবে। পরে একটু মাটি মিশিয়ে তৈরিকৃত বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে। পরে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। ৩-৪ দিনের মধ্যে গাছ উঠে যাবে।গাছে পানি সর্বদা ছিটিয়ে দিতে হবে তবেই গাছ গুলা সুন্দর হবে।গাছ বড় হোয়ার পর ৩ মাসের মধ্যেই গাজর হয়ে যাবে।এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা।
সবাই এতো কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে জানায়,,,
আমার প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা।
This post has been upvoted through Steemcurator09.
Team Newcomer- Curation Guidelines for May 2023
Curated by - @ripon0630
Thank you so much sir. Your support always help me.
এতো গরম ও তাপের পরও আপনার গাজর গাছ গুলো অনেক সতেজ দেখাচ্ছে। বৃষ্টি হলে খুব ভালো ফলন হবে বোঝা যাচ্ছে। আমাদের সাথে গাজর চাষ পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আর এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নিজ হাতে বপন করার পর যখন এর সুফল পাওয়া যায় তখন ভালোই লাগে। মনে হচ্ছে গাজরের ফলন ভালোই হয়েছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ। অতি নিপুনভাবে পর্যাবেক্ষনের আর এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।