বিয়ায়ের এক অদ্ভুত বিয়ে,,,,,,,,,,
আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন।আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি।আপনাদের সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পথ চলা তবে অনেক দিন আমি পোস্ট থেকে বিরত আছি।আমি আবারো শুরু করেছি আর আশা করি এটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। এবং আপনাদের সহযোগীতা পাবো।
কয়েকদিন আগে আমার বিয়ায়ের বিয়েতে গেছিলাম সেই বিয়ের কিছু মজার তথ্য আমি শেয়ার করতে চাই।বিয়ে হচ্ছে মোড়লগঞ্জে এখানে কিছু অদ্ভুত নিয়ম বললেই বুঝতে পারবেন। এখানে বিয়েতে বরের বাড়ির দাওয়াতের লোকরা টাকা দিবে বরের বাড়ি কিন্তু খাবে কন্যাদের বাসায়। মানে টাকা নিয়ে গাড়িতে ঊঠাবে আর যেয়ে খাবে কন্যাদের বাসায়।এখানে বরের বাসায় কোনো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয় না। কন্যাদের বাসার কেউ বরের বাসায় খেতে পারবে না। এমন সব অদ্ভুত নিয়ম আপনাদের জানাবো।আগে চলুন আমাদের পোস্টার পেপার দেখে নেওয়া যাক।
poster make by canva apps.
আমার বোন বিয়ে দেওয়া এই মোড়লগঞ্জে এটা বাগেরহাট জেলার মধ্যে। এখানো বোন কে তুলে দেওয়া হয় নাই। বোনের দেবরের বিয়ে তাই আমাদের দাওয়াত। এই গরমে আর কেউ যাবে না আমাকে একা যেতে হবে দাওয়াতে আর বোনতো ওদের বাসার বউ তারতো যেতেই হবে তাই সাথে আমার বন্ধু শফিকে নিয়ে রউনা করলাম।
আমরা গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি অটোতে করে যেনো আমার বোনের বমি না হয়।সকাল সকাল ঘুম থেকে ঊঠে রউনা দিলাম শিরোমনি থেকে এখানে আমার বন্ধু শফিক এসেছে।আমরা এক সাথে রউনা করলাম।নদী পার হয়ে গ্রামের মধ্য দিয়ে ওটোতে যেতে হবে হবে।
আমরা মিষ্টি নিলাম সাথে আরো ফল নিলাম। ফল আর মিষ্টি বিয়ায়ের বাড়ি দিলাম কিন্তু তারা নাস্তাও করালো না।কি অবস্থা বুজছে। এখানে খেতে হবে কন্যার বাসায় গিয়ে। কি আর করা এখানে ছবি তোলা ছাড়া কাজ নাই তাই নিজের একটা ছবি তুলালাম শফি কে দিয়ে।
আমার পেছনে একটি সুন্দর প্রাইমারি স্কুল এখানে নাকি এই স্কুল ১ নাম্বারে।তার কারন আপনারা নিজেরাই বিবেচনা করতে পারবেন।এখানে দেখেছেন কত সুন্দর গাছ।এই ফুল গাছের ফুল বাচ্চাদের মন কে আরো বেশি সুন্দর আর পাঠকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।
এখানে অনেক গুলা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন তারা টেবিল নিয়ে বসে আছেন।কি ভাবছেন তারা বিয়ে বাড়িতে গল্প করছেন? আরে না তারা টাকা নিচ্ছেন আর টাকা নিয়ে গাড়িতে তুলছেন। বিয়ের উপহার নিবেন বর পক্ষ আর কনে পক্ষের বাসায় খাওয়াবেন।আমি হিসাব করে দেখলাম প্রাই ২০০ লোক আমরা বরযাত্রী যাচ্ছি।একটু ভাবেন মেয়েদের অবস্থা।এতো লোক মেয়ের বাবা খাওয়াবে আর মেয়ের বাবা তার আত্মার আত্মীয় দের পর্যন্ত ছেলেদের বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন না।এটা কি অদ্ভুত নিয়ম।
এই বিয়ের আরো খুটি নাটি আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
এই পর্যন্ত যতটুকু জানাতে সক্ষম হয়েছি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন।
ধন্যবাদ।
My Twitter entry,,,
https://twitter.com/aatik707691/status/1794447515493999058?t=E0hLNc5dkalRD4dQoGINaA&s=19