SEC13 WK6: Joyful times are here!
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি "Steem For Ladies " কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের শেষ সপ্তাহের কনটেস্টে যার বিষয়বস্তু আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আমরা প্রত্যেকেই জানি আমাদের সকলের জীবনে খুশি কখনোই চিরস্থায়ী হয় না। জীবন মানেই সেখানে সুখ দুঃখের লুকোচুরি খেলা চলে। একই সঙ্গে জীবনে দুঃখ এবং সুখ কখনোই স্থায়ী হতে পারে না। এই কারণেই সকলে বলে থাকেন, যখন দুঃখের সময় থাকবে, তখন সুখের সময়ের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করা উচিত। কারণ একটা না একটা পর্যায়ে এসে দুঃখ আমাদের জীবন থেকে বিদায় নেবে এবং সুখ আমাদের জীবনে ধরা দেবে। এটাই নিয়ম।
আজ এই কনটেস্টের অংশগ্রহণ করতে আমার খুব ভালো লাগছে, কারণ এখানে আজকের বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে আমাদের জীবনের আনন্দকে।
Is it important to be joyful? Why? |
---|
আনন্দে থাকা সত্যিই অনেক বেশি প্রয়োজন। সত্যি কথা বলতে যদি হিসেব করা হয়, তাহলে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই আনন্দের মুহূর্ত খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। যা স্থায়ী হয়ে থাকে সেটি আমাদের কষ্টের মুহূর্ত।
তাই আনন্দের মুহূর্ত গুলো নিয়ে কথা বললে, আমাদের মনে একটা অন্য রকমের ভালোলাগা তৈরি হয়। আর ঠিক এই কারণেই আমাদের প্রত্যেকেরই খুশি থাকা খুবই প্রয়োজন।সেই খুশির মুহূর্ত গুলোকে মনে রাখা এবং অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা জরুরী, যাতে সেই মুহূর্তগুলোকে মনে করে কষ্টের সময়ও আমরা নিজেদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
Share 3 events that made you joyful this year. |
---|
হিসাব করলে দেখা যায় আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই প্রতিটা বছরেই কিছু ভালোলাগা, কিছু খারাপ লাগা থাকে। তবে সত্যি কথা বলতে এই বছরের শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত আমার সময় খুব খারাপ কেটেছে।
এত খারাপ সময় বোধহয় এর আগে কোনো বছরই কাটেনি। কিন্তু আজ যেহেতু শুধুমাত্র আনন্দের সময় ভাগ করে নিতে হবে, তাই আমি আপনাদের সাথে এই বছর আমার জীবনের তিনটি সেরা খুশির মুহূর্ত ভাগ করতে চলেছি।
প্রথম সেরা মুহূর্তটি যেদিন বাবাকে হসপিটাল থেকে বাড়িতে আনা হলো। যেমনটা প্রথমেই আপনাদের জানালাম বছরের শুরুটাই আমাদের অনেক খারাপ দিয়ে হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে বাবা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৭ তারিখে তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
জীবন যুদ্ধে বাবাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। তবে সবথেকে আনন্দের বিষয় যে, সেই লড়াইয়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। মাথার উপর থেকে মায়ের ছায়া আরো ১৩ বছর আগেই সরে গিয়েছিল, তাই বাবা যেন আমাদের মাথার উপরের একমাত্র আশ্রয় ছিলেন।
বাবা যখন হসপিটালের আইসিইউতে জীবন মরণের লড়াই লড়ছিল, তখন হসপিটালের বাইরে লড়ছিলাম ছিলাম আমরা। প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের সমাপ্তি যেদিন হল, সেদিনই আমার জন্য অনেক খুশির একটি মুহূর্ত ছিল।
বাবাকে আবার ফিরে পাওয়ার আনন্দ বোধহয় ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়।যদিও বাবাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ ঠাকুমাকে সারা জীবনের মতন হারিয়ে ফেলার কষ্টের কারণে ততটাও উপলব্ধি করতে পারেনি। কিন্তু দিন শেষে যখন বাবাকে হারিয়ে ফেলার কথা মনে আসে, তখন তাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ উপলব্ধি করতে পারি।
বাবার অসুস্থতা, ঠাকুমায়ের মৃত্যু, সব কিছু কাটিয়ে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় হঠাৎ করেই শুভ আমার জেঠুর বাড়ি মালদাতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই খবরটি আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছিল। কারণ আমার নিজেরও বাড়িতে দম বন্ধ লাগছিল। একটু বাইরে ঘুরতে যেতে মন চাইছিল। আর সেটা আমার জেঠুর বাড়ি হবে এটা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।
ছোটবেলা থেকেই জেঠু, জেঠিমা, দাদারা আমাদের বাড়িতে আসত, ওদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। কিন্তু কোনো না কোনো ভাবেই কখনো মালদায় ঘুরতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এইবার হঠাৎ করেই শুভ এমন সারপ্রাইজ দেবে ভাবিনি।
প্ল্যান করে আমি শুভ এবং আমার বোন মালদায় চলে যাই তিন চার দিনের জন্য। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছে সেখানে। গ্রামের ভিতরে টিনের বাড়ি, পাশে পুকুর, সবকিছু মিলিয়ে শহর থেকে অনেকটা দূরে, শান্ত পরিবেশে, নিজের মানুষের সাথে অনেক আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করেছি। যেটা এই বছরে আমার জন্য সেরা আনন্দের মুহূর্ত ছিল।
যাতায়াতের পথে ট্রেনের মধ্যে আমরা তিনজনে অনেক আনন্দ করেছি। এমনকি দাদার বাড়িতে পৌঁছে আনন্দের কমতি হয়নি এতোটুকুও। সবকিছু মিলিয়ে তিন-চারটে দিন খুবই আনন্দের ছিল।
ওই যে বললাম আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না আমাদের জীবনে। এই কারণেই যখন মালদায় আনন্দের সময় কাটাচ্ছিলাম তখন হয়তো মানসিক প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল যে, জীবনে আবার খারাপ কিছু হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন যেহেতু শুরুর দিক থেকে বাবা, ঠাকুমার সাথে এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। তাই আশা করিনি আরো এমন কোনো খারাপ কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করবে।
মালদা যাওয়ার সময়ে খবর পেয়েছিলাম দিদির হাজব্যান্ড পড়ে গিয়ে মাথা কেটে গিয়েছে। আমি সামান্য ব্যাপার ভেবেছি। কিন্তু বুঝতে পারিনি সেটার থেকে এত বড় বিপদ আমাদের হতে পারে। মালদা থেকে যেদিন ফিরলাম সেদিন রাতেই হঠাৎ করে দিদির হাজব্যান্ডের ব্রেন হেমারেজ শুরু হয়েছিল এবং রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এমারজেন্সিতে তার ব্রেন অপারেশন করতে হয়েছে। সেই মুহূর্তগুলো ভাবতে গেলে এখনো ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে।
আবারও একটা মাসের লড়াই শুরু হলো। এইবার লড়াইটা ছিল আরও কঠিন। একমাস দিদি হসপিটালে। আমি দিদির বাড়িতে দিদির বাচ্চাদের সাথে। যখন বাবা হসপিটালে ভর্তি হয়েছিল, নিজের বাবাকে হারিয়ে ফেলার ভয় যতটা ঘিরে ধরেছিল, তার থেকে অধিক ঘিরে ধরল তাতান ও তিতলির ওদের বাবাকে হারিয়ে ফেলার ভয়। কারণ ওরা এখনো অনেক ছোট। ওদের মাথার উপরের ছাদ আমার মাথার উপরে ছাদের থেকেও অনেক বেশি জরুরী।
আর যে বাচ্চাদের বাবা এত ছোট বয়সে হারিয়ে যায়, তাদের জীবনের অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ থাকে। দিনরাত প্রার্থনা করতাম দাদার সুস্থতার। অবশেষে ৩৭ দিন বাদে স্বস্তির খবর পাওয়া যায় দাদা বিপদ মুক্ত। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো ৬-৭ মাস প্রয়োজন।
এখনো পর্যন্ত তিনি অসুস্থ। লড়াই চলছে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য। যেহেতু ওপেন ব্রেইন সার্জারি হয়েছে, তাই মাথার বাম পাশের স্কালটা এখনো লাগানো হয়নি। আরো তিন থেকে চার মাস বাদে লাগাতে হবে। তাই অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
কিন্তু তারপরও এইটুকুই খুশি যে, তিনি তার সন্তানদের সাথে রয়েছেন, পাশে রয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলছেন, তাদেরকে চিনতে পারছেন। এইটুকুই চেয়েছিলাম আমরা। কারণ বাবার উপস্থিতিই বাচ্চাদের ভালো থাকার জন্য যথেষ্ট।
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে তিনি তিতলি ও তাতানকে এত ছোট বয়সে পিতৃহারা করেননি। আর এই ঘটনাটা আমার জন্য সত্যিই অনেক আনন্দদায়ক। কারণ আমার দিদির জন্য ও ওর সন্তানের জন্য, আমার জামাইবাবুর সুস্থতার থেকে বড় আনন্দ বোধহয় আর কিছু হতে পারে না। ঈশ্বর সর্বদাই ওদের সবাইকে সুস্থ রাখুক।
What are your joyful plans for the last month of the year? |
---|
সত্যি কথা বলতে এই পুরো বছরটাতে আমি যে যে ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি, তাতে নতুন করে আর কিছু প্ল্যান করতে ভয় হয়। কারণ এই বছরের মতন মানসিক লড়াই আমাকে এর আগে এতটা বিধ্বস্ত করেনি কখনো। আর এই সব কিছু থেকে দূরে গিয়ে নিজের সাথে কিছুটা সময় আমিও উপভোগ করতে চাই এবং সেই মতোই আমার বান্ধবীর সাথে কথা বলে প্ল্যান করেছি।
আমরা ডিসেম্বর মাসে কোথাও দুদিনের জন্য ঘুরতে যাবো। যেখানে গিয়ে আমি নিজের মতন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পারব। যেখানে বান্ধবীদের সাথে মন খুলে গল্প করতে পারব, আনন্দ করতে পারব। প্ল্যান করেছি ঠিকই, কিন্তু সেটা আদেও কতটা সফল হবে জানিনা। তবে যদি সেটা হয় তাহলে বোধহয়, বছরের শেষটা ততটাই আনন্দের সহিত হবে যতটা কষ্টের সহিত এই বছরটা আমি শুরু করেছিলাম।
Conclusions |
---|
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের উপস্থাপন। যেখানে আমি প্রতিযোগিতায় জিজ্ঞাস্য তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের পড়তে ভালো লাগবে। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @crismenia, @jakaria121 ও @moyeon কে আমন্ত্রণ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Thank you for participating in the Steemit Engagement Challenge Season 13 in the Steem For Ladies Community.
Such an amazing story you have shared of your family. The battles you have fought as a family are numerous but am so glad that father is still alive after been ill. And for Didi husband's recovery wow. Joyful times are here! Cheers
Thank you for participating in the Steemit Engagement Challenge Season 13 in the Steem For Ladies Community.
Your family has fought many battles this year but am so glad that father is back alive and doing well so also is Didi's husband.
Thank you🙏