স্বপ্নপুরী ভ্রমণ পর্ব - ০৪ "মৎস্য জগৎ"
বুধবার
তারিখ - ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় স্টিমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে স্বপ্নপুরী ভ্রমণ পর্ব - ০৪ নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
বন্ধুরা, আপনারা সকলে জানেন যে, কয়েক মাস আগে আমি স্বপ্ন পূরণ গিয়েছিলাম ঘুরার জন্য। আর সেখানে এত সুন্দর জায়গা এবং অনেকটা বেশি পরিমাণে ছবি তোলা হয়েছিল যার কারণে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করতে নিজেরে কেমন একটা লাগছিল। যার ফলে কিছুদিন বন্ধ রেখে আজকে আবারো স্বপ্নপুরী ভ্রমণ পর্ব - ০৪ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর আজকে মৎস্যজগৎ নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। কেননা স্বপ্নপুরের ভেতরে মৎস্যজগৎ অনেক সুন্দর একটি নিদর্শন তৈরি করা হয়েছে। যেটার মূল ফটকের ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এই গেট টি হচ্ছে মৎস্য জগতে প্রবেশ পথ। সাধারণত সামনের ঘর থেকে টিকেট সংগ্রহ করে এই গেট দিয়ে মৎস্য জগতের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। আর এত সুন্দর ভাবে এই মৎস্যজগৎ টি তৈরি করা হয়েছে যেটা আপনারা না দেখলে বিশ্বাস করবেন না।
এই মৎস্য জগতের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য প্রতিজন মানুষকে ৫০ টাকা করে টিকিটের মূল্য দিতে হবে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জন্য টিকিট এখানে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে আমরা তিনজন গিয়েছিলাম সেই জন্য আমরা তিনটা টিকিট কেটেছিলাম এবং তিনটা টিকিট সংগ্রহ করে আমরা মৎস্য জগতের ভেতরে প্রবেশ করলাম।
মৎস্য জগতের ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে এমন সুন্দর একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে সেটা দেখতে পাবেন এবং এই ভাস্কর্যের নিচের দিকে কিছু উক্তি এখানে লিখে রাখা হয়েছে যেটা মানুষকে অনেকটা আকৃষ্ট করে। তবে স্বপ্নপুরী পার্ক কর্তৃপক্ষ অনেক সুন্দর একটি নিদর্শন এখানে স্থাপন করে রেখেছে।
মৎস্য জগতের ভিতরে একটি বড় পুকুর তৈরি করা আছে। একটি বললে ভুল হবে বেশ কয়েকটি পুকুর এর ভিতরে অবস্থিত এবং একটি পুকুরের মধ্যখানে আমরা সাধারণত জলপরী বলে থাকি। সে জলপরী এখানে নির্মাণ করা হয়েছে এবং ঠিক পুকুরের মাঝখানে এটি নির্মাণ করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। অবশ্য সব দৃষ্টিনন্দন জিনিসপত্র তৈরি করার ফলে স্বপ্নপুরী চাহিদা জনসাধারণের কাছে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই মৎস্য জগৎ এর ভিতরে যেসব পুকুর আছে সব পুকুরে বিভিন্ন ধরনের মাছের চাষ করা হয়। আর এই মাছ সাধারণত পর্যটনদের দেখানোর জন্য। এখানে সব পুকুরে চাষ করা হয়। অবশ্য বিভিন্ন ধরনের মাছ এখানে দেখতে পাওয়া যায়। আর এসব মাছ বিভিন্ন রং বে রঙের হয়ে থাকে।
এই নিদর্শন টি দেখতে অনেকটা শাপলা ফুলের মত। আর এটি মৎস্য জগতের ভিতরে অবস্থিত। তবে এর নিচে মানুষের বিশ্রাম করার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার এর ব্যবস্থা আছে।
ডিভাইস | Samsung A52. |
---|---|
লোকেশন | স্বপ্নপুরী, ফুলবাড়ি, দিনাজপুর। |
ফটোগ্রাফার | @shamimhossain |
আপনি দারুন একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। স্বপ্নপুরী ভ্রমণের প্রত্যেকটি পর্বই আমি পড়েছি। তাই এ পর্বটিও বাদ দিলাম না। মৎস্যজগৎ নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রথমেই আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করছি। ভাস্কর্যের নিচের উক্তিটি খুবই চমৎকার। এটা পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। এখানে বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে। মৎস্যকন্যার ভাস্কর্য গুলোও কিন্তু দারুন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম এখানে নানা ধরনের মাছ চাষ করা হয়। শাপলা ফুলের ভাস্কর্যটি ও কিন্তু দারুন। এখানে বসে অনেকেই বিশ্রাম নেন। আমার মনে হয় ছোট বাচ্চাদের জন্য টিকিটের মূল্য নেওয়া উচিত হচ্ছে না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
❤️❤️❤️
স্বপ্নপুরী আমাদের এই অঞ্চলের একটি বিখ্যাত ভ্রমণ স্থান। এখানে প্রতিবছর অনেক মানুষ ঘুরতে যায়। আমরাও আগে অনেক পরিমাণে এখানে ঘুরতে যেতাম। তবে কয়েক বছর থেকে এখানে আর যাওয়া হয়নি। এখানকার পরিবেশ বেশ চমৎকার এবং এখানে দেখার মত অনেক কিছু রয়েছে। এই মৎস্য জগতে আমি অনেক আগে একবার ঢুকেছিলাম। তবে এখন মনে হচ্ছে আরো উন্নত হয়েছে এটি। আপনি বেশ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। স্বপ্নপুরীর যাবতীয় তথ্য নিয়ে আমাদের কাছে এক এক করে এরকম তুলে ধরছেন যা আমাদের কাছে বেশ ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ দাদা।
স্বপ্নপুরীর মৎস্য জগৎ নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আমি স্বপ্নপুরী গেলে এই মৎস্য জগতে অনেক সময় পার করি। মৎস্য জগতটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং অনেক নিরিবিলি একটি পরিবেশ। বিশেষ করে হাতে মাছের খাদ্য নিয়ে মাছ গুলোকে খাওয়ানোর মজাই আলাদা। আমি অনেক চেষ্টা করছিলাম একটা মাছ ধরার কিন্তু পারিনি। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। স্বপ্নপুরীর পরের পর্ব গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
স্বপ্নপুরী অসাধারণ একটা জায়গা আমি কয়েকবার এই স্বপ্নপুরীতে ঘুরতে গিয়েছে, মৎস্য জগৎ দেখতে অসাধারণ। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক আসে এই স্বপ্নপুরীতে, অনেক দর্শনার্থীর ভীর থাকে প্রতিবছর। আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন ভাই, মুগ্ধ হওয়ার মতো। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। দারুণ লিখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ
অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্কে বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। মৎস্য জগতের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও ভাস্কর্যগুলো অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করেছে। ২০২০ সালে এই মৎস্য জগতের ভেতরে বেশ কিছু ভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। অনেক বড় বড় কিছু মাগুর মাছও ছিল। স্বপ্নপুরীর মধ্যে অবস্থিত এই জায়গাটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছিল। সে সময় আমার ফোন ছিল না তাই ফটোগ্রাফিও করা হয়নি। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। প্রতিটা ফটোগ্রাফি প্রশংসার দাবিদার। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপি।
https://twitter.com/mdshamim1252/status/1704373939773034702?t=GRhVpchm0B8p4x7ttFkJZg&s=19
স্বপ্নপুরী সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে এই স্বপ্নপুরী ঘোরাফেরার জন্য একদম পারফেক্ট এখানে অনেক কিছুই দেখার আছে এবং এখান থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। এবং এই মৎস্য জগৎ সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। আমরা একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন আমরা এই মৎস্য জগৎ এট ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম মৎস্য জগৎ এর মাছগুলো দেখতে অনেক সুন্দর এবং এখানে মাঝে মাঝে বড় বড় মাছও রয়েছে। এবং আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম একজন লোককে উনি বলেছিল এখানে এরা নাকি এই মাছগুলো চাষ করে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বপ্নপুরী নিয়ে এর আগের পোস্ট গুলো আমি পড়েছি অনেক ধরনের জিনিস নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে স্বপ্নপুরী।আমি অনেকবার গিয়েছি।যতবার গিয়েছি ততো বার নতুন জিনিস দেখেছি।আপনি মৎস জগত নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আরো নতুন জিনিস তৈরি হয়েছে।উত্তর অঞ্চলে থাকে কিন্তু স্বপ্নপুরীতে যায়নি এমন মানুষ অনেক কম পাওয়া যাবে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপি।