চিংড়ি মাছের বড়ার রেসিপি||
আসসালামু আলাইকুম,
আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো খেতে খুব পছন্দ করি। মুখরোচক এইসব খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বড়া। বিভিন্ন ধরনের বড়া গুলো আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। গরম গরম বড়া গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়। বাজারের হোটেল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের বড়া গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের বাড়িতেও মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের বড়া বানানো হয়। দুই একদিন আগে আমাদের বাড়িতে চিংড়ি মাছের বড়া বানানো হয়েছিল।আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই রেসিপিটি শেয়ার করতে চলেছি।
চিংড়ি মাছ | ৩০০ গ্রাম |
---|---|
তেল | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
মরিচ কুচি | পরিমাণ মতো |
মসুর ডাল | ১৫০ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
জিরা মসলা | সামান্য পরিমাণ |
প্রথমেই রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সবগুলো উপাদান একত্রিত করে নেয়া হয়েছিল। চিংড়ি মাছগুলো বেছে নেয়ার পর ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া হয়েছিল।
এরপর বড়ার স্বাদ বৃদ্ধির জন্য অল্প পরিমাণে মসুর ডাল ব্যবহার করা হয়েছিল। মসুর ডালগুলো হালকা করে বেটে নেয়া হয়েছিল। মসুর ডাল গুলো বাটার ৩০ মিনিট আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল যেন বাটতে সুবিধা হয়।
এই ধাপে মরিচ পেঁয়াজ কুচি করে নেয়া হয়েছিল। রসুন গুলো বেটে রেডি করে রাখা হয়েছিল। তারপর প্রয়োজনীয় মসলার সব উপাদান গুলো এবং মসুর ডাল বাটা ও চিংড়ি মাছ গুলো একটি বাটিতে নিয়ে নিয়েছিলাম।
পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে সবগুলো উপাদান খুব সুন্দর ভাবে একত্রিত করে নেয়া হয়েছিল। উপাদান গুলো একত্রিত করার পর বড়া তৈরির জন্য একটি সুন্দর মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেছিল।
এই ধাপে চুলায় একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দেয়া হয়েছিল। তেল গুলো হালকা গরম হওয়ার পর সেখানে আন্দাজ মতো একটি করে বড়া ভাজার জন্য তৈরি করা মিশ্রনের কিছু পরিমাণ নিয়ে সেই গরম তেলে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
বড়া গুলো তেলে ছেড়ে দেওয়ার একটু পরে একটু উল্টিয়ে দিয়ে উভয় পাশে ভাজা হয়েছিল। কিছুক্ষণ ভাজার পর হালকা লালচে বর্ণ ধারণ করার সাথে সাথেই অন্য একটি বাটিতে বড়া গুলো নামিয়ে নেয়া হয়েছিল।
তৈরি করা এই বড়া গুলো গরম গরম খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। মসুর ডাল যোগ করার ফলে বড়াটির মুচমুচে ভাবটি বৃদ্ধি পেয়েছিল । আমার কাছে বড়া তৈরির এই রেসিপিটি অনেক সহজ মনে হয়। তবে আপনারা চাইলে মসুর ডাল ব্যবহার না করে চিংড়ি মাছের সাথে সামান্য পরিমাণ আটা বা ময়দা যোগ করে বড়া গুলো তৈরি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বড়ার কুড়মুড়ে ভাব নাও থাকতে পারে। মুখরোচক খাবার হিসেবে আমার কাছে চিংড়ি মাছের বড়াটি অনেক পছন্দের একটি খাবার। চিংড়ি মাছের বড়া আপনাদের কেমন লাগে ??
আশা করি, আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা সম্পূর্ণ আলোচনা কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদান্তে,
@rumana12
ডিভাইস Redmi Note 11 ফটোগ্রাফার @rumana12 লোকেশন দিনাজপুর
You can also vote for @bangla.witness witnesses
বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া খাবার মজা লাগে খেতে। চিংড়ি মাছের চপ বেশ মজা লাগে খেতে। আপনি বেশ চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি প্রতিটি ধাপ বেশ চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনার তৈরি বড়াগুলো বেশ চমৎকার হয়েছে খেতে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। চিংড়ি মাছের বর আমার খুবই প্রিয়। হাট বাজারে গেলে আমি প্রায় চিংড়ি মাছের বড়া খেয়ে থাকি। তবে আপনার মত কখনো বাসায় চিংড়ি মাছের বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছের বড়া রেসিপিটি আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার পোস্টটা দেখেই ভিজে জল চলে আসলো। চিংড়ি মাছ ও চিংড়ি মাছের বড়া উভয়ই আমি পছন্দ করি। তবে বাইরে যে চিংড়ি মাছের বড়াগুলো আমরা খাই সেগুলোতে সাধারণত চিংড়ি মাছের শুটকি থাকে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে চিংড়ি মাছের বড়ার রেসিপিটি দেখিয়েছেন। আপনার বাড়ির কাছে আমার বাড়ি হলে অবশ্যই খেতে যেতাম।😁
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিকই বলেছেন মুখরোচক খাবার সবারই খুব পছন্দ।বাজারে বা হোটেল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের বড়া গুলোর চাহিদা আসলেই অনেক বেশি।আমার অনেক পছন্দের খাবার এসব খাবার।চিংড়ির তরকারি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।কিন্তু আমার তেমন পছন্দ না চিংড়ির বড়া।কিনে বা বাসায় বানানো হয় না তবে আপনার পোস্ট দেখে ভালোই লাগলো।আপনি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।যারা চিংড়ি বড়া বানাতে পারেনা তাদের জন্য অনেক উপকারী একটি পোস্ট।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ চমৎকার রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করতেছে, চিংড়ি মাছটাই আমার অনেক পছন্দের, চিংড়ি মাছের যে কোন কিছু আমার অনেক ভালো লাগে। আর চিংড়ি মাছের বড়া হলে তো কথাই নেই। আপনার রেসিপি টা অনেক লোভনীয়। দেশি চিংড়ি তো পাওয়াই যায় না, আপনি আবার এত দামি দেশি চিংড়ি দিয়ে বড়া তৈরি করেছেন, আহ অনেক মুখরোচক খাবার এটি। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, একদিন বাসায় ট্রাই করবো আপনার রেসিপি ফলো করে চিংড়ি মাছের বড়া তৈরি করার।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। গ্রামের পুকুর গুলোতে দেশি চিংড়ি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Tnx..
https://twitter.com/rumana4102/status/1705210374717599792?t=RjN5RjVZv5HAAp_N5wJgPw&s=19
আপনি দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চিংড়ি মাছের বড়া বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি সাধারণত বাইরে থেকে চিংড়ি মাছের চপ কিনে খাই। বাড়িতে এভাবে একদিনও বড়া তৈরি করা হয়নি। আশা করি রেসিপিটি দারুণ হয়েছে এবং খেতেও চমৎকার হবে। আপনি রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। এটা ফলো করে যে কেউ বাসায় রান্না করতে পারবে। ধন্যবাদ আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাসায় কখনো চিংড়ি মাছের বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বাসায় বানালে অনেক বেশি মজার হবে। আপনি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর করে চিংড়ি মাছের বড়া বানানোর নিয়ম গুলো দেখিয়েছেন যা আমার কাছে অনেক সহজ মনে হয়েছে। আশা করি খাবারটি অনেক মজার ছিলো।
নিঃসন্দেহে অনেক মজার হয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
😊
এইতো কয়েকদিন আগে চিংড়ি মাছের বড়া খেয়েছিলাম। আমাদের এদিকটায় ও এভাবেই ডাল দিয়ে চিংড়ি মাছের বড়া বানানো হয়। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি। আশা করি আগামীতে আরও সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
ইনশাআল্লাহ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে।