কনটেস্ট- আমার জীবনের প্রথম প্রেম কাহিনী, একটি সফল প্রেমের গল্প

in STEEM FOR TRADITIONN11 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


১৯ই- সেপ্টেম্বর- ২০২৩

৫ই- আশ্বিন- ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। Steem For Tradition কমিউনিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত কনটেস্ট হলো "শেয়ার করুন আপনার জীবনের প্রেম কাহিনী। হোক না সেটা ব্যর্থ প্রেমের গল্প / সফলতার প্রেমের গল্প" এই কনটেস্টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে @toufiq777 ভাইয়াকে আমি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। সব মানুষের মধ্যেই অল্প হলেও ভালোবাসার কাহিনী রয়েছে। বলতে গেলে ভালোবাসা ছাড়া মানুষ অচল। তাই আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমার ভালোবাসার গল্পটি শেয়ার করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কভার ফটো


IMG_20230919_075237.jpg

আমার প্রথম প্রেম কাহিনী - যেভাবে শুরু হয়
৫/৫/২০২০ সালের প্রথম কথা হয় আমার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে । মাস টা ছিল রমজান মাস। আমি আমার চাচা তো বোন (রিতু) কে আরবি পড়াতে রিতুদের বাড়িতে ছিলাম। আর রিতুর মোবাইলটি আমার হাতে ছিলো। মোবাইলটিতে একটি মেসেজ আসলো তখন আমি মোবাইলটি রিতুর হাতে দিলাম। কিন্তু রিতুর মোবাইলে মেসেজ না থাকায় রিতু আমার মোবাইল দিয়ে মেসেজ এর রিপ্লে দিতে বললো। তারপর রিতুর হয়ে আমি সেই মেসেজ এর রিপ্লাই দিলাম। এরপর রিতুর সামনে নাম্বার টা ডিলেট করে দিলাম। কিন্তু রিতু কে পড়া শেষ করে বাড়িতে আসার পর সেই নাম্বারে আবার একটা মেসেজ আসলো। তখন আমি আর রিপ্লাই দেইনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার অন্য নাম্বার দিয়ে মেসেজ পাঠালাম। সে রং নাম্বার ভেবে কথা বলা শুরু করলো। এভাবে কথা বলতে বলতে তার প্রতি একটা মায়া জন্ম নিলো। ভেবে ছিলাম কিছুদিন কথা বলবো, কিন্তু কথা বলতে বলতে আমরা প্রেমের দিকে ঝুঁকিয়ে পড়লাম। কিন্তু আমিও তাকে দেখিনি সেও আমাকে দেখেনি তাই ভাবলাম দুজন দুজনের সঙ্গে দেখা করব। মেয়েটার বাড়ি আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামেই এবং কি মেয়েটির বাড়ির পাশে আমাদের একটি চাষাবাদের জমি রয়েছে। আমরা বন্ধুরা মিলে সেখানেই গেলাম মেয়েটিকে দেখতে।


আমাদের প্রথম দেখা করাটা ছিলো সাধারন, আমরা বন্ধুরা মিলে আমাদের জমির কাছে গিয়েছিলাম সে তার বান্ধবীদের সঙ্গে রাস্তায় এসেছিল, এভাবেই আমাদের প্রথম দেখা হয়। যেদিন প্রথম দেখলাম সেদিন থেকেই তার মায়ায় পরে গেলাম। তবে এখনো কিন্তু সে জানতো না আমি তার বান্ধবীর চাচাতো ভাই হই। অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে আমার মনের কথা জানিয়ে দেবো। একদিন হুট করেই বলে ফেললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। সকালে বলছি সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন রিপ্লাই আসেনি। সেকি টেনশন মহা টেনশন। সন্ধ্যার পরে মেয়ে টাও রাজি হয়ে গেলো। আমার তো খুশি রাখার জায়গা নেই। পরে জানতে পারলো আমি তার বান্ধবীর ভাই,, প্রথমে মন খারাপ করলেও পরে সব ঠিক হয়েছিলো। আমি যখন তাকে আমার মনের কথা জানিয়ে দিলাম তখন খুব খুশি ছিলাম। সেও এই কথা জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে ছিলো। যখন দুজনের অনুভূতি প্রকাশ করলাম, তখন অনেক খুশি ছিলাম দুজনেই। এভাবেই শুরু হলো আমাদের প্রেম কাহিনি। সারাদিন মেসেজ করতাম, মধ্যরাত পযর্ন্ত ফোনে কথা বলতাম। রাগ অভিমান মিলে সময় কাটতে লাগলো। করোনা মহামারীর জন্য স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সব বন্ধ ছিলো। তাই ধুমছে প্রেম করলাম।


যেভাবে প্রিয় মানুষটিকে ইম্প্রেস করেছি


প্রিয় মানুষটিকে ইম্প্রেস করার জন্য বেশি কিছু করতে হয়নি। তবে শুরুর দিকে অনেক মেহনত করতে হয়েছে। বলতে গেলে অনেক ওয়াজ-নসিহত করতে হয়েছে। আমি সবসময় তাকে ভালো ভালো কথা বলতাম। এছাড়াও শুরুর দিকে ভালোবাসা নিয়ে অনেক কিছু বাড়িয়ে বলতাম। অনেক দিন পর তার কাছে শুনতে পারলাম, আমি নামাজ পড়তাম, দ্বীনের রাস্তায় ছিলাম, এবং আমার ভালো ভালো কথা বলতাম এসব দেখে নাকি আমার প্রতি ইম্প্রেস হয়ে পড়েছিল। তাই আমায় বেশি কিছু করতে হয়নি।


প্রথম ভালবাসার কথা বলার পর আমার এবং আমার প্রিয় মানুষটির অনুভূতি যেমন ছিল


ভালোবাসার কথাটি বলার জন্য আমি বেশি সময় নেইনি। কথা বলার কয়েকদিন পরেই হুট করেই বলে ফেললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। এটা বলার পর যখন কোন রিপ্লাই আসেনি তখন নিজেকে খুব অস্থির অস্থির লাগছিল। মনে মনে ভাবছিলাম প্রিয় মানুষটা যেন আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাইতেছে। আমি সকালবেলা তাকে ভালোবাসার কথাটি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই রিপ্লাই দিয়েছিলো সন্ধার পর। যখন সে আমার ভালোবাসার প্রস্তাবটি কবুল করেছে, ভাই সত্যি বলতেছি ওই সময়টা মনে হয়েছিল আমি আকাশে উড়তেছি। সেই একটা অনুভূতি কাজ করছিল ভাইয়ারা। আসলে সেও আমার মুখে ভালোবাসার কথা জানার জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলো। পরে যখন জানতে পারলো আমি তার বান্ধবীর ভাই, প্রথমে মন খারাপ করলেও পরে সব ঠিক ঠাক হয়ে যায়। আর এভাবেই শুরু হলো আমাদের প্রেম কাহিনির পরের ধাপ গুলো।


প্রথমবার চুপ করে দেখা করার অনুমতি


১০-১২ দিন কথা বলার পর তার হাতের বাটন ফোনটি নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় আমার হাতেও বেশি টাকা ছিল না। তাই তার জন্য symphony D54i মডেলের বাটন ফোন কিনে আনলাম। এবং সেহেরির ভাত খাওয়ার পর বন্ধু মিলে আমাদের জমির কাছে গিয়ে মোবাইলটি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম। যে কথা সেই কাজ আমরা সেখানে চলে গেলাম। একটু পরে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলো। সেই সময় জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছিল। আমরা জমির এদিকে রয়েছি সে জমির ওদিকে আমাকে ডাক দিল। আমার তো ভাই হাত-পা কাঁপতেছে। যদি কেউ দেখে তাহলে তো আমাদের হুজুরদের বদনাম হয়ে যাবে। ভয় ভয় করে তার কাছে গেলাম এবং মোবাইলটি তার হাতে দিলাম। একটু খানি কথা বলে লক্ষ্য করলাম আমাদের সামনে দুটি মানুষ নদীতে মাছ ধরতেছে। সত্যি কথা ভাই আমার হাঁটুর কাঁপোনি আরো বেড়ে গেল। আমি তাকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। আল্লাহর কি মহিমা আমরা তাদের স্পষ্ট দেখতে পারলাম কিন্তু সেই মানুষ গুলো আমাদেরকে একটু দেখে নেই। হয়তো নামাজ পড়ে যাওয়ার কারণেই আল্লাহতালা রক্ষা করেছেন। প্রথম দেখায় কান ধরে তোওবা করেছি যে এভাবে আর কখনো দেখা করব না।


IMG_20230910_174742-01.jpeg

আমি আবারও গল্পে ফিরলাম
এভাবেই ১টা বছর কেটে গেলো। হঠাৎ একদিন তার বাসা থেকে বিয়ের কথা চলতে লাগলো। তারিখ টা ছিল ২৮/৯/২০২১। আমি রংপুরে মাদরাসায় ছিলাম। সে আমাকে বললো আমার বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করতেছে। তার পরের দিন আমরা দেখা করলাম। ২ জনে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলাম বাসায় জানাবো। আমি সেদিন বাড়িতে আমার আম্মুকে এবং ভাইয়াকে জানালাম। কিন্তু কেউ রাজি হলো না। তখন আমি অনেক দিশেহারা হয়ে পড়লাম। কারন ওকে আমি ভুলতেও পারবো না, ছাড়তেও পারবো না। বাড়িতে সবাইকে জানানোর পর কেউ রাজি হলো না। আমি তখন বাড়িতে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেই তারপরেও কেউ রাজি হলো না। পরিবারের মানুষ আমায় অনেকবার বুঝিয়েছে তাকে ভুলে যেতে, কিন্তু আমার পক্ষে তাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব ছিলো না। সে আমার শরীরের একটি অংশ হয়ে গেছিলো। পরে রাগ করে ৭/১০/২০২১ তারিখে আমি বাসা থেকে চলে যাই। এরপর আমি আমার এক বন্ধুর কাছে গিয়ে থাকা শুরু করলাম। আমার বন্ধুর নিজের মাদ্রাসা হওয়ার কারণে ওখানে থাকার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও করতাম। কিন্তু বাড়ি থেকে তবুও কেউ মানতে চায়নি। বন্ধুর কাছে প্রায় ৫-৬ মাসের মতো ছিলাম। পরে আব্বু আম্মুর কল দিয়ে কান্না কাটি এবং ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে আমায় বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। ২-৩ মাস এভাবেই বাড়িতে কাটালাম।


এই দুই তিন মাসে অনেক কষ্টে আম্মুকে রাজি করালাম। ধীরে ধীরে বাড়ির সকল মহিলা সদস্যদের রাজি করালাম। ওইদিকে ওর পরিবার ও রাজি ছিলো না। ওর পরিবার ছিলো গরিব। আমাদের পরিবার তাকে মেনে নিবে না সেই কারনে তারাও রাজি ছিল না। কিন্তু আমাদের ভালোবাসা দেখে তাদের ও মন গলতে শুরু হলো। সবাই যখন বুঝতে পারছে আমরা দুজন দুজনকে কখনোই ছাড়তে পারবো না, সে জন্যই সবাই রাজি হয়ে গেলো। এভাবেই চলে গেলো আরো একটি বছর। কিন্তু এসব ঝামেলার মধ্যে আমাদের ভালেবাসার কোনো কমতি ছিলো না। সে কলেজ ফাঁকি দিয়ে আমার সাথে দেখা করতো। সব মিলে অনেক ভালো ছিলাম।


অনশন টাইম


এখন শুধু চিন্তা হলো আব্বু এবং বড় ভাইয়াকে কিভাবে রাজি করাবো। এসব চিন্তা করতে করতে নিজের শরীর অনেক দূর্বল হয়ে গেলো। আমি আবারো বড় ভাইয়াকে বললাম আমাদের প্রেমের কথা। সবকিছু শোনার পর তবুও কিছুতেই রাজি হল না। শুরু করে দিলাম অনশন। ১০ দিন না খেয়ে ছিলাম তবুও আব্বু এবং ভাইয়া রাজি হলো না। এদিকে আমারও কথা রাজি না হলে খাওয়া করব না। মূলত এখানে আমার বিয়ে করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমার আবদার ছিল শুধু মেনে নিতে হবে বিয়ে কত বছর পরে দিবেন সেটা দেখার বিষয় নয়। কিন্তু তারা কিছুতেই রাজি নয়। এদিকে আমাকে খাওয়ানোর জন্য সবাই উঠে পরে লেগে গিয়েছে। আমি শুধু দিনে একটি বিস্কুট এবং পানি খেয়ে ছিলাম মাঝে মাঝে বিস্কুটাও খেতাম না। ১১ দিনের মাথায় আমার বড় আপু আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে নিয়ে গেল। আমি কোনো ভাবেই যেতে রাজি ছিলাম না, যখন আপু বললো আমার সঙ্গে চল বাড়ির সকলকে আমি নিজেই রাজি করাবো। আপুর কথা বিশ্বাস করে আপুর সাথে চলে গেলাম। এদিকে যে আমি এসব কাহিনী করেছি এর কোনোটাই প্রিয় মানুষ ( হাবিবা) কে জানাইনি। কারণ আমি জানতাম আমার এসব শুনলে সেও উল্টাপাল্টা কিছু করে বসবে।


তখন আমার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বেশিদিন আগের ঘটনা নয় গত কোরবানি ঈদের আগে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপর ডাক্তার দেখিয়ে আমায় সুস্থ করা হয়। পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হওয়ার পর আমি বাড়িতে চলে আসি। ঈদের পর আবারো এসব নিয়ে কথাবার্তা উঠেছে এখনো আমার আব্বু এবং বড় ভাইয়া কিছুতেই রাজি হইতেছে না। কোন কথাবার্তা বাদ দিয়ে আবার অনশন শুরু করে দিলাম। ১৩ দিন না খেয়েছিলাম আবারও এদিকে ছোট আপু বলছিল যে মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে চলে আয় কিন্তু আমার কথা হল আমি পালিয়ে যাব না। তাই হাজার কষ্টের মাঝেও না খেয়ে বিছানায় পড়েছিলাম। এবারে নিয়ত করেছি যতক্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না ততক্ষণ না খেয়েই খাকবো মরে গেলে যাব। এই ১৩ দিনে মাঝে মধ্যে বড় আম্মুরা এবং চাচীরা তাদের বাসা থেকে ভাত নিয়ে এসে জোর করে আমায় খাওয়াই ছিল। তবে প্রতিটি দিন আমার খুবই কষ্টে কেটেছে। এর ফাঁকে আমার আব্বু বড় আপুর বাসায় গিয়েছিল। আপুর বাসায় গিয়ে কি হয়েছে সেটা জানিনা তবে আব্বু নিজেই আমাকে ফোন দিয়ে বলল খাওয়া দাওয়া কর। যখন সময় হবে ওকেই বিয়ে করিশ। আমি মত দিলাম। সত্যি বলতেছি ভাইয়ারা এই কথা শোনার পর মনে হলো নতুন জীবন ফিরে পেলাম। সেই সময়টা আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে হাবিবা কে ফোন দিয়ে আমি সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। সেও আমার ঘটনা শুনে হাসবে কি কাঁদবে কিছুই খুঁজে পাইতেছিল না। সেই মুহূর্তটা কখনোই ভুলার মতো না।


IMG_20230910_174742-01.jpegIMG_20230910_174722-01.jpeg

IMG_20230919_074819-01.jpeg

তারপর শুরু হলো আমাদের প্রেম লীলা। সত্যি বলতে চুপি চুপি প্রেম করা এবং সবাই রাজি হওয়ার পর প্রেম করা দুটিতে দুই রকম অনুভূতি কাজ করে। বাড়িতে সবাই রাজি হওয়ার একসপ্তাহ পর আমি তাকে আম্মুর মাধ্যমে ডায়মন্ডের নোছপিন উপহার দিয়েছিলাম। আর এখন রাগ, অভিমান, ভালোবাসা, সব মিলে অনেক ভালো আছি। পরিবারের সবাই তাকে মেনে নিয়েছে। শুরু হলো ঘুরাঘুরি খাওয়া দাওয়া সব মিলে তিনটি বছর পার হয়ে গেলো। আমাদের সম্পর্কে অনেকবার ঝগড়া লেগেছে। সকালে ঝগড়া লাগলে বিকেলে শেষ। কতোবার ব্রেকআপ হয়েছে বলে শেষ করা যাবেনা। কিন্তু দিন শেষে আমরা একে ওপরের সাথে কথা না বলে থাকতে পারিনা। সব ঝামেলা পেরিয়ে এখন আমরা চিন্তা মুক্ত আছি। দেখতে দেখতে আমাদের সম্পর্কের সাড়ে তিন বছর হয়ে যাচ্ছে। আশা করি বাকি দিন গুলো এক সাথে পারি দেবো। ইনশাআল্লাহ ❤️❤️


প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কাটানো দিন গুলোর অনুভূতি যেমন ছিলো বা এখনো যেমন আছে।


IMG_20200824_161434-01.jpeg

ভালোবাসার মানুষের সাথে কাটানো দিন গুলো অনেক সুন্দর ছিলো এবং এখনো অনেক সুন্দর কাটতেছে। তার বাচ্চামি সভাব গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কলেজ ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যেতো আমার সাথে। অনেক কিছুর বায়না ধরতো। আমি যতোটুকু পেরেছি তার মনের চাওয়া পাওয়া পূরণ করেছি। সে অল্পতেই অনেক খুশি ছিল। প্রিয় মানুষের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত গুলোর কোনো তুলনা হয় না। চোখ বন্ধ করলে এখনো সেই আগের সুন্দর মুহূর্তগুলো চোখে ভেসে ওঠে। তবে শুরুর দিকে প্রিয় মানুষের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। সত্যিই আমি সেই মুহূর্তগুলো বলে প্রকাশ করতে পারতেছি না


প্রথম ভালবাসার অনুভূতি যেমন ছিল


আমার কাছে প্রথম বা শেষ ভালোবাসার অনুভূতি হলো এটাই। তাই আমি প্রথম বা শেষ ভালোবাসার অনুভূতি পার্থক্য করতে পারতেছি না। তবে আমার জীবনে প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি আমি কখনোই বলে প্রকাশ করতে পারবো না। এই ভালোবাসার সুন্দর মুহূর্ত গুলো শুধুমাত্র তারাই অনুভব করতে পারবে যারা কখনো প্রেমে পড়েছিল। তবে আমার জানামতে প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি কেউ কখনো বলে প্রকাশ করতে পারবে না। তবে এটা বলতে পারি আমার জীবনের সব থেকে ভাল মুহূর্তগুলো হলো প্রথম ভালবাসার অনুভূতি গুলো। যেগুলো এখনো মনে পড়লে যেন আমি আকাশে উড়তেছি।


কিছু কথা


IMG20230917101606-01.jpeg

একটা মেয়ের জন্য এত কিছু করার পিছনে কারণ গুলো হল। মূলত আমি তাকে নিজের থেকে অনেক বেশি ভালোবাসি। হয়তো তাকে ছাড়াও আমার জীবন চলতো কিন্তু কখনো তাকে পাওয়ার সেই সুখটা পাইতাম না। এক ব্যর্থ প্রেম আমাকে সব সময় কষ্ট দিয়ে যেত। এর পরের কারণ হলো আমি যাকে ভালোবাসি তার বাবা নেই। এখন আপনারাই বলেন আমি একটি ইতিম মেয়ে কে কিভাবে ছেড়ে চলে যাবো। আর বাসায় এত জেত করার কারণ হলো আমার প্রিয় মানুষটাকে কথা দিয়েছিলাম তাকে বাবার আদর এবং সুন্দর একটি পরিবার উপহার দিব। সেই জায়গায় আমার বাবাকে যাদি রাজি করতে না পারি তাহলে তো কথা রাখতে পারতাম না। আসল কথা হল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলে তাকে আমি সুন্দর একটি পরিবার উপহার দিতে পারতাম না। তাই এত সব পাগলামি করে বাড়িতে রাজি করিয়েছি। আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চাই আমরা যেন সারা জীবন এভাবেই একে অপরের সঙ্গে থাকতে পারি। আর কারো প্রতি যেন কারো ভালোবাসার কমতি না হয়। আশা করি সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।


এমন সুন্দর একটি কনটেস্টে আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। @iyanpol12 @ponpase @kittima আমি আশা করি আপনাদের জীবনের প্রেম কাহিনী এখানে শেয়ার করবেন।


আমার ফোনের বিবরণ
বিষয়আমার প্রেম কাহিনি
ক্যামেরা মডেলrealme 9i
ফটোগ্রাফার@rubayat02
লোকেশনরংপুর বাংলাদেশ


❤️‍-খোদা হাফেজ-❤️‍


UF7UDccXmKiRkXceCavGEKH3TNDM65wJtxFfBvK53mUcMEN1RtxDtd2qctmxbj85zamfAyPuQoVu5pH2hC82VLsES2d3cmZ8aKnsxxU...ZRqX57aCNfBEVr8xP4ZVQvXtGnN9RTYY3tTRTP3iJsec9qp2U7UVz8sdPRmeySEvfJ4wcrT5G4DKYMC3jwNKSbfqbxJiCzMFawmJqraZZFqesWqtUQ4fXishWN.png

IMG_20230513_190258.jpg

আমি রুবাইয়াত হাসান হৃদয়, সোনালী বাংলাদেশে আমার বসবাস, বাংলা আমার মাতৃভাষা, পেশায় আমি একজন ছাত্র এবং এর পাশাপাশি আমি Steem For Tradition কমিউনিটির নিয়মিত একজন সদস্য, Steem For Tradition কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি অনেক গর্বিত, কারণ আমি এখনে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি, আমার আগ্রহ, আমি বাংলার ইতিয্য এখানে নতুন করে ফুটিয়ে তুলবো, এছাড়াও আমি ফটোগ্রাফি, অঙ্কণ, রেসিপি এবং DIY পোস্ট করতে অনেক ভালোবাসি, এবং এটা মন দিয়ে মানি যে মানুষ মানুষের জন্য।

UF7UDccXmKiRkXceCavGEKH3TNDM65wJtxFfBvK53mUcMEN1RtxDtd2qctmxbj85zamfAyPuQoVu5pH2hQSYC82VLsES2d3cmZ8aKnsxxU...ZRqX57aCNfBEVr8xP4ZVQvXtGnN9RTYY3tTRTP3iJsec9qp2U7UVz8sdPRmeySEvfJ4wcrT5G4DKYMC3jwNKSbfqbxJiCzMFawmJqraZZFqesWqtUQ4fXishWN.png

you can also vote for @bangla.witness witnesses

IMG-20230513-WA0000.jpg

VOTE for @bangla.witness

Sort:  
 11 months ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

৭৫% পোস্ট পড়ে যা বুঝছি৷ আপনাদের বিয়ে কনফার্ম হবে৷ শুধু একটা চাকরি বা ব্যবসা করার চেষ্টা করেন৷ দুইজনকে খুব ভালো মানিয়েছে৷ হুজুরের বউদের যেমন হওয়া দরকার৷ উনিও তেমনই৷ ইনশাআল্লাহ খুব শ্রীঘ্রই বিয়ের দাওয়াত পাবো ।

 11 months ago 

জ্বি ভাইয়া, তবে এখনো আমার মেজো ভাইয়া বিয়ে করেনি। তাই বিয়ে এখনো লেট আছে। তবে বিয়ের দাওয়াত সবাই পাবেন। ইনশাআল্লাহ.. ❤️❤️

 11 months ago 

❤️❤️

 11 months ago (edited)

আপনার প্রেম কাহিনী অত্যন্ত সুমধুর। আপনি বেশ সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসেন। আপনাদের প্রেম কাহিনী শুনে আমার বেশ ভালো লাগছে। আশা করি আপনি আপনার মনের মানুষকে বিয়ে করতে পারবেন। আপনার প্রেমের মাঝে মাঝে যে খারাপ সময় গুলো আসে সেগুলো আসলে কোন ব্যাপার না। এগুলো সবার মাঝে চলে আসে আবার ঠিক হয়ে যায়। তবে আপনি চেষ্টা রাখবেন সম্পর্ক যেন ঠিক থাকে। যাতে আপনারা সারা জীবন একসাথে থাকতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি গল্প আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

আমি জান প্রাণ দিয়ে আমার ভালোবাসাকে ঠিক রাখার চেষ্টা করবো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

ভালোবাসা মধুর একটি অনুভূতি।যে ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবনের জন্য নিজের করে পেয়েছে তাদের মতো ভাগ্যবান আর কেউ নেই আলহামদুলিল্লাহ তাদের মধ্যে আমিও একজন।অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।আপনার অনুভূতিটা বুঝতে পারছি আমি কারণ আমিও এ অনুভূতি পেয়েছি।প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত অনুভূতি কেমন হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।মনে হয় স্বপ্নে বাস করছি।আলহামদুলিল্লাহ আমিও এ অনুভূতি পেয়েছি।আল্লাহ আপনাদের বিয়ের ব্যবস্থা তাড়াতাড়ি করুক এ আশা করি।দাওয়াত দেন বা না দেন,সারাজীবন ভালো থাকেন এক সাথে এ দোয়া রইলো।শুভ কামনা আপনাদের জন্য।

 11 months ago 

দাওয়াত অবশ্যই দিবো আপু। শুধু আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই। আপনি আপনার জীবনের এই গল্পে অনেক ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়ে সম্পর্কটাকে ঠিক রেখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য দোয়া রইল ভাই ।আশা করি আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে সারা জীবন এভাবে ধরে রাখতে পারবেন। এখনকার প্রেমের গল্পে ব্যর্থতার গল্প সবচেয়ে বেশি। আপনার প্রেমের গল্পটি সফল প্রেমে গল্প হোক এই কামনা করি। তবে আমি মনে করি ,যে কাউকে ইমপ্রেস করার জন্য হোক কিংবা অন্য কোন কারণে সব সময় সত্যিটা অনেক সাধারণভাবে বলেই সে সম্পর্ক শুরু করা উচিত। আপনার জীবনের এই গল্পটা আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু তাই আমি অন্য কিছু দিয়ে ইমপ্রেস করেনি যা সত্যি তাই বলেছি। সব সময় দোয়া করবেন আপু আমাদের সম্পর্কটা যেন আজীবন টিকে থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

তোমাদের প্রেম কাহিনির গল্পটি পড়ে একটায় দোয়া করি যেন তোমরা খুব তাড়াতাড়ি এক হতে পারো। এখন শুধু তুমি তোমার যেকোনা একটা পথ করো তাহলে আর কোনো রকম সমস্যা হবে না। তবে তোমাদের জন্য দোয়া করি। যেন তোমরা এক হতে পারো এবং সুখে থাকতে পারো।

 11 months ago 

আপনাদের কাছে এটাই আমাদের চাওয়া ভাইয়া। শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন সব সময় একে অপরকে ভালোবাসায় আবদ্ধ করে রাখতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

বাহ ভাইয়া। আপনাদের ভালোবাসার গল্পটি অনেক সুন্দর। তারমানে আপনাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আপনার হবু বউ মাশাল্লাহ অনেক পর্দাশীল। হুজুরের বউ কে অবশ্যই এমনই হতে হবে। আপনার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে আপনাদের কাহিনীটি অনেকটা ভিন্ন ধর্মী। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

ভাই সম্পূর্ণ পড়লাম, আপনি আপনার ভালোবাসা টিকিয়ে রেখছেন, পারিবারিকভাবে রাজি করিয়েন, এখন শুধু পূর্নতা পাওয়ার অপেক্ষা। দোয়া করি তাকে আপন করে পান, সাড়াটি জীবন আগলে রাখেন তাকে। কষ্ট করে হলেও তাকে নিয়ে শেষ সূর্য দেখাটাই ভালোবাসা, যা সবাই টিকিয়ে রাখতে পারে না। অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।

 11 months ago (edited)

দোয়া করবেন ভাইয়। আপনার মত যেন নিজের ভালোবাসার মানুষকে পূর্ণতা দিতে পারি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.025
BTC 54640.80
ETH 2444.53
USDT 1.00
SBD 2.16