প্রতিযোগিতার বিষয়ঃ আমার জীবনের প্রথম প্রেমের কাহিনী ও সার্থক
আসসালামু আলাইকুম,
সকলেই কেমন আছেন?নিশ্চয়ই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। এ সপ্তাহে আমাদের কমিউনিটিতে একটি রোমাঞ্চকর প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগীতাটি হল-"শেয়ার করুন আপনার জীবনের প্রেম কাহিনী।" আমি আমার জীবনের প্রেমের ঘটনা শেয়ার করছি।তবে আমাদের প্রেমটি সফল হতে পেরেছে আলহামদুলিল্লাহ ☺️।এজন্য আমি প্রথমে এডমিন ও মোডারেটরদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য।
প্রতিটি মানুষের জীবনে একবার হলেও প্রেম এসেছিল।তাই লতাজির একটি গান মনে পড়ে গেল। সেই গানটির কথার সাথে আমরা প্রত্যেকেই জড়িত।"প্রেম একবারই এসেছিল নিরবে,আমারই এ দুয়ার প্রান্তে,সে তো হায় মৃদু পায়এসেছিল পারি নি তো জানতে"।ভালবাসা এমন যাকে কখনও ছোঁয়াও যায় না আবার ধরাও যায় না শুধু মন থেকে অনুভব করা যায়। দুটি মানুষের মনের সমন্বয়ে ভালবাসার সৃষ্টি হয়।আর ভালবাসা হলো পবিত্র। ভালবাসায় জয় পরাজয় দুটো বিদ্যামান। হয়তো কেউ একজন আরেকজন মন থেকে ভালবাসে কিন্তু সে ভালবাসায় হাসি কান্না লুকিয়ে থাকবে।তবে কথায় আছে না সুখের পরে দুঃখ চলে আসবে এমনটা। আসলে যারা প্রকৃত ভালবাসায় আবদ্ধ তারা হাজারো কষ্টের মাঝে থাকলে ও কখনও পরাজয় মানতে রাজি না। আর যারা প্রকৃতভাবে ভালবাসায় আবদ্ধ নয় তারা কখনও সেই ভালবাসার মানুষটি হারালে তার মাঝে কখনও দুঃখ দেখা যাবে না। কারন সে হয়তো কখনও মন থেকে ভালবাসে নি তাই।মোট কথা বলা যারা প্রকৃতভাবে দুজন দুজনের ভালবাসাকে মানিয়ে নিতে পারবে আর যাই হোক পরিবারের কথা মাথায় আসবে না এটাই হচ্ছে জয়। আর যাদের ভালবাসার মাঝে কমতি বা পরিবারকে ছাড়তে রাজি না তারা ভালবাসার মানুষ হারালে ও কষ্ট বহন করবে ঠিকই কিন্তু পরাজয় মানতেই হবে। তাই ভালবাসার মাঝে কারো সফলতা আসবে আবার কারো প্রেমের গল্প ব্যর্থতায় রয়ে যাবে।তাই জিৎতের ছবির একটি ডায়লগ আমার হৃদয়কে বিশেষভাবে নাড়া দেয়। "ভালবাস ভালবাসি শুধুই তাকে, ভালবাসায় ভালবেসে বেঁধে যে রাখে"।তবে শক্ত হাতে রাগলে রাখলে হয়তো হাড়ানোর ভয় থাকে না।
সালটা ছিল ২০১৮।তখন ফেব্রুয়ারী মাস চলছিল।তারিখটা ঠিক মনে নেই।তখন আমি অনলাইনের কাজ শিখছিলাম যশাইতে। তখন যশাই হাই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা চলছিল।এটি মূলত একটি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল।আশেপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষা সেখানে হচ্ছিল।তখন আমার এক ফুপাতো ভাই পরীক্ষা দিচ্ছিল।সে মূলত আল-হেরা স্কুলে পড়ত।ওদের পাশে ছিল মন্মথপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা।আমার ফুপাতো ভাইয়ের সাথে মন্মথপুর স্কুলের মেয়দের সিট বসেছিল।ওরা একরুমে পরীক্ষা দেওয়ার কারণে প্রায় সবার সাথেই ভাল একটা পরিচয় হয়ে গিয়েছিল এবং কিছুদিনের মধ্যেই তারা ভাল বন্ধুতে পরিণত হয়েছিল। এজন্য ওরা ফেসবুকেও এড হয়েছিল।ওদের থিওরি পরীক্ষা মোটামুটি শেষ। তখন প্রাক্টিকেল পরীক্ষা চলছিল।তখন ওদের ১ম শিফটের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল এবং সবাই খাওয়ার জন্য বাজারে যাচ্ছিল।তখন আমিও কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছিলাম।তখন রাস্তায় কয়েকটি মেয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।তখন প্রথম দেখাতেই আমার একটি মেয়েকে পছন্দ হয়ে যায়।তখন মেয়েটিও আমার দিকে তাকায়।যাহোক সেদিনের গল্পটি মোটামুটি শেষ। তারপর পরের পরীক্ষার দিন আমি আমার ফুপাতো ভাইয়ের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম।তখন আবার মেয়েটির দেখা পাই।তখন আমি আমার ফুপাতো ভাইকে বলি মেয়েটাকে চেনে নাকি।সে আমাকে বলে যে,মেয়েটাকে সে চেনে এবং তারা একই রুমে পরীক্ষা দিচ্ছে।পরে আমি তার কাছে মেয়েটার ফেসবুক আইডি চাই।ও আমাকে বলে যে দাঁড়া খোঁজ নেই।পরে কিছুদিন মূলত চুপচাপ ছিলাম। এরপর সে আমাকে তার ফেসবুক আইডি দেয়।তখন আমি একটি ফেইক একাউন্ট ক্রিয়েট করি এবং মেয়েটাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাই।কিন্তু বেশ কিছুদিন পার হওয়ার পরেও ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে নি।পরে আমি আমার ফুপাতো ভাইকে জানাই ও সে পরে মেয়েটিকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতে বলে।তখন মেয়েটি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে। ওর নাম সাদিয়া। এরপর আমি কয়েকবার ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলাম।কিন্তু কোনো রিপ্লাই পাই না।পরে বেশ কিছুদিন পর একদিন ম্যাসেজ করে রিপ্লাই পাই। তখন থেকে আমাদের টুকিটাকি কথাবার্তা হত।এক পর্যায়ে আমাদের কথাবার্তা বলার পরিমাণ বেড়ে যায়। ও তখন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কম্পিউটার শিখছিল।তখন ওখানে গেলে ওর ইমরান নামের এক বন্ধুর ফোন দিয়ে ফেসবুকে কথা বলত।তারপর বাসায় এসে আবার ওর আম্মুর ফোন দিয়ে ফেসবুকে কথা হত।এরপর আমরা একে অপরের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছিলাম। তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলতাম।একজন আরেকজনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতাম।এভাবে আমরা কথা বলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছিলাম।পরে একদিন আমি আমার সিয়াম নামের এক ভাগিনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলি।সে তখন আমার ফোনটা নিয়ে ওর সাথে চ্যাটিং করা শুরু করে দেয় ☺️।আর কাকতালীয়ভাবে তখন ওর বান্ধবীও ওর হয়ে কথা বলছিল🙃।তখন কথা বলতে বলতে ওর বান্ধবী লিখে পাঠায়,"Do you love me".তখন আমার ভাগিনাও লিখে দেয়,"something something".তখন থেকেই আমাদের প্রেম শুরু হয়। ৯ জুন, ২০১৮ সাল থেকে আমাদের প্রেম শুরু হয়।
তাকে ইমপ্রেস করতে আমাকে বেশি কিছু করতে হয়নি।মেয়েরা মূলত যেই ছেলে সময় বেশি দেয় তাকে বেশি পছন্দ করে।এজন্য আমি তাকে যথেষ্ট সময় দিচ্ছিলাম।মাঝে মাঝে ওর বন্ধুর ফোন দিয়ে অডিও কলে কথা বলতাম।তাছাড়া মেয়েরা ফুল খুবই পছন্দ করে।আমি মাঝে মাঝেই ফুল পাঠিয়ে দিতাম।আমি তাকে আমার কথা দিয়ে বারবার বোঝাতে চেয়েছিলাম যে আমি ওকে কতটা ভালোবাসি।তাছাড়া আমি তখন নিয়মিত নামাজ পড়তাম।এ বিষয়টি তাকে বেশি আকর্ষীত করেছে।পরে ও আমাকে জানায় যে দাঁড়ি ওয়ালা ছেলে ওর পছন্দ। আর এ কারণে সে বেশি ইমপ্রেস হয়েছিল।আর স্মার্ট ফোন না থাকায় তার বান্ধবীর ফোনে আমার ছবি দেই।এরপর সেও আমাকে তার ছবি দিয়ে দেয়। ছবিটি ছিল শাড়ি পড়া আর আমি সাধারণ ছবি দেই তাকে।
রমজান মাসে আমরা দুই মামা ভাগিনা সেলুনে চুল কাটার জন্য যাই। আমি প্রথমে চুল কাটাতে বসি। চুল কাটার সময় আমাকে সে নক করে এসএমএসের মাধ্যমে। এরপরে যা হলো আমার ভাগিনা আমার হয়ে কথা বললেও তখন আমার ভিতর খুবই ভয় কাজ করছিল।ভয়ে আমার হার্টবিট বেড়ে গিয়েছিল।তবে আমার ভাগিনা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।আমি ভয় পাচ্ছিলাম এজন্য যে সে আমাকে যদি ফিরিয়ে দেয়।তবে ও আমাকে ফিরিয়ে দেয় নি।তখনকার আনন্দ টা ছিল অন্যরকম যা কখনো মুখেও প্রকাশ করার মতো না। তবে আমি নিরবে এই আনন্দে উপভোগ করছি।সত্যি ভালবাসা মনে হয় এমনি হয়।
আমার তখন অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করছিল।আমার কোনো কাজে মন বসতো না।শুধু ওর সাথে কথা বলতে মন চাইতো।তবে সবসময় তা সম্ভব হতো না। প্রথম একমাস আমাদের তেমন কথা হয়নি।এটা আমার ভালোবাসাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।ওর সাথে সম্পর্ক শুরু হওয়ার ১০/১৫ দিন পরেই গ্রামীণফোনে আমি চাকরি হয়।তখন আমি একটু ব্যস্ত থাকতাম।এরপর ওদের এসএসসি রেজাল্ট বের হয়।তার আগে থেকেই বাইরে থেকে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল।ও রংপুরে ভর্তি হতে চেয়েছিল।কিন্তু প্রথমে ওর সৈয়দপুর লায়ন্সে চান্স হয়।এরপর ও মাইগ্রেশন করে সাইন্স নিয়ে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হয়।তখন আমাদের নতুন প্রেম ছিল।জুলাই মাসের ৩০ তারিখে ও মেসে চলে যায়। কারণ আগস্টের ১ তারিখে ওদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস ছিল।এরপর ও মূলত তখন মোটামুটি ফ্রি ছিল।কারণ মেসে কোনো বাঁধা থাকে না।তবে একটা সমস্যা ছিল ওদের বাড়ি থেকে ওকে ফোন কিনে দেওয়া হয়নি।তখন প্রথমদিন আমরা ওর বান্ধবীর ফোন দিয়ে কথা বলেছিলাম। ও তখন এন্ড্রোয়েড ফোন চালাতে পারত না।তাই আমি ওকে পরদিনই লুকিয়ে একটি সিম্ফ্নি বাটন মোবাইল কিনে আমার সেই ফুপাতো ভাইয়ের হাতে পাঠিয়ে দেই।তখন থেকে আমাদের ফোনে কথা বলা শুরু হয়।তারপরের দিন রাতে আমি অফিস থেকে বাড়ি আসার পর আমরা কথা বলতে শুরু করলাম।কথা বলতে বলতে প্রায় ৪০ মিনিট একটানা কথা বলার পর আমরা দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ি। এই স্মৃতিটি আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
এভাবেই আমাদের কথা বলা শুরু হয়। তবে পরের সপ্তাহে এসে ওর বাবাও একটি ফোন কিনে দিয়ে যায়। তখন ওর কাছে দুটি ফোন থাকত।একটা দিয়ে ফেমিলির লোকের সাথে কথা বলত।আর একটা দিয়ে আমার সাথে কথা হত।এভাবে আমাদের ভালবাসা বেড়েই যাচ্ছিল।আমরা রাতের পর রাত এভাবে কথা বলতাম।ধীরে ধীরে আমাদের রাতজাগাও বেড়ে গেল।আমরা কেমন জানি একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিলাম। তবে ধীরে ধীরে আমার চাকরির চাপও বেড়ে গেল।দিনে বেশি কথা বলতে পারতাম না।সময়মতো কথা না বলতে পারার কারণে ও মাঝেমধ্যে অভিমান করে থাকত।মাঝেমধ্যে কান্নাকাটিও শুরু করত।তবে এটা আমাদের দূরত্বকে কখনও বাড়ায় নি।বরং এটা আমাদের ভালবাসা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কখনও ঝগড়া হত না,ও রাগ করে কিছু বললে আমি চুপ করে থাকতাম।কারণ আমি ওকে হারানোর ভয়ে থাকতাম।ভাবতাম ঝগড়া করলে যদি সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্যই চুপ থাকতাম আরকি।দিনে আমি ব্যস্ত থাকলেও ওর কলেজ ও প্রাইভেটের টাইম বাদ দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট পর পর ৫ মিনিটের জন্য হলেও ফোন করতাম।আর এতে সেও অনেক খুশি থাকত।এভাবেই আমাদের দিনগুলো খুবই সুন্দর কাটছিল।তবে একদিন হঠাৎ করে ওর বাবা ও বড়আব্বু এসে ওকে নিয়ে দিনাজপুর মাসুম হোটেলে নিয়ে যায় একটি সরকারি চাকরিজীবী ছেলেকে দেখানোর জন্য। দিনাজপুর শহরে ওর বড়আব্বুর বাড়ি হওয়ার কারণে সে ওখানে গিয়ে দেখে ওর বড়আম্মুও ওখানে এসেছে। পরে সে ব্যাপারটা বুঝতে পারে এবং রাতে মেসে ফিরে এসে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তখনই আমি বুঝেছিলাম যে,ও আমাকে কতটা ভালোবাসে।
রিলেশন শুরু হওয়ার আগে ওই যে প্রথমদিন ওকে দেখেছি তারপর থেকে আমাদের অনেকদিন দেখা হয়নি।মেসে যাওয়ার ১০-১৫ দিন পর আমি ওকে বলি যে চলো আমরা দেখা করি।কিন্তু ও প্রথমে যেতে রাজী হচ্ছিল না। ওর নাকি লজ্জা লাগে।তাছাড়া তখন ও দিনাজপুর শহরের কিছুই চিনত না আর ওর বড়আব্বুর বাসা হওয়ার কারণে বের হতে আরও ভয় পেত।পরে ও ওর বান্ধবীকে সাথে নিয়ে যেতে রাজী হয়।আমি যেহেতু তখন চাকরি করতাম তাই শুক্রবার ছাড়া আর কোনো ফাঁকা দিন ছিল না। তাই শুক্রবার ডেট ফিক্সড করলাম।এরপর শুক্রবার চলে এল।আমি সকালে খুব তাড়াতাড়ি উঠে পড়ি আর দিনাজপুর যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যাই।তারপর ১০ টার দিকে আমি দিনাজপুর টেকনিক্যাল মোড়ে পৌঁছাই।এরপর টি জামানের গলিতে এসে ওর মেসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।ওকে ফোন করলে কিছুক্ষণ পর ও আর ওর বান্ধবী নিচে নেমে আসে।আমার তখন খুবই ভয় লাগছিল।তখন ওর ইমরান নামের বন্ধুটিও আসে।তখন আমি একটু সাহস পাই।আর ওকেও দেখে অপ্রস্তুত মনে হচ্ছিল। ও আমার দিকে তাকাতে পারছিল না কথা বলা তো দূরের কথা। এরপর আমরা চারজন একটি অটো নিয়ে প্রথমে প্রমদ তরীতে যাই।তখনও ও আমার সাথে কথা বলছিল না।এরপর সেখানে কিছুক্ষণ গল্পগুজব করার পর আমরা সেখান থেকে বের হই।
এরপর আমরা কিছু রাস্তা একসাথে হাঁটি এবং তখন সে প্রথম আমার সাথে সরাসরি কথা বলে।এরপর আমরা চারজন সিটি পার্কে যাই।তখন আমরা কিছুক্ষণ একসাথে গল্প করি।এভাবে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর আমরা সেদিন চলে আসি।এরপর পরের শুক্রবার আমরা আবার দেখা করি।তখনও আমরা খুব অল্প সময় কাটিয়ে আবার বাড়ি চলে আসি।এভাবে আমি মাঝে মাঝেই ৭ দিন পর বা ১৫ দিন পর দেখা করতাম।এরপর আমি একদিন হঠাৎ ওর জন্য একটা ওয়ানপিছ কিনি।আর ওকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য পরদিন ভোর ৫ টায় আমার ভাগিনার সাথে দিনাজপুরে যাই।তখন ও ঘুম থেকেই উঠে নি।তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমি ওকে নিচে নামার জন্য ফোন করি।তখন ও উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসে আর আমি তখন ওকে জামাটি দিয়ে দেই।তখন ও জামাটি নিয়ে ভালমন্দ জিজ্ঞেস করার পর উপরে চলে যায়।আর আমার সিয়াম ভাগিনার গার্লফ্রেন্ড এর ডে নাইট ক্লিনিক এর ওখানে বাসা ছিল।তখন ও তার গার্লপলফ্রেন্ডের সাথে দেখা করে এবং আমরা কিছুক্ষন পরে চলে আসি।কারণ আমাকে সাড়ে আট টার আগে অফিসে যেতে হতো।সে ওই জামাটি ওদের মেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পিকনিকে পরেছিল।এভাবে আমাদের প্রেম খুবই জমে উঠেছিল।
এভাবে আমরা খুবই ভাল একটি সময় কাটাচ্ছিলাম।দিনে রাতে অনেক কথা হত।আর প্রায়ই দেখা করতাম।দিনাজপুরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমরা যাইনি। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিলাম। এভাবে ২০১৯ সালটা আমাদের খুব ভালই কাটছিল।মাঝে মাঝে ও একটু রাগ অভিমান করে থাকত।কারণ আমি সময় দিতে পারতাম না। কারণ মার্কেটিং চাকরির অনেক চাপ।তবে আমরা কখনই কথা না বলে থাকতে পারতাম না।সকালে অফিস যাওয়ার পথে কথা হত না।কারণ তখন সকালে ওর প্রাইভেট থাকত।তবে রাতে বেশি কথা হত।তখন রাতে পার্বতীপুর থেকে বাড়ি ফেরার সময় পুরোটা রাস্তা কথা বলতে বলতে আসতাম।রাত ৯ টার পর থেকে বেশি কথা হত। তবে সারাদিন ক্লান্ত থাকার কারণে আমি প্রায়ই রাতে ঘুমিয়ে পড়ি।মাঝে মাঝে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়তাম।ফোনের ওপাশ থেকে ও অনেকক্ষণ নিঃশ্বাসের শব্দ শুনত।মাঝে মাঝে অনেকক্ষণ পর কল কেটে দিয়ে আবার কল দিত।তবে একটা মজার বিষয় হলো যে আমরা কখনই নিজের টাকা দিয়ে কথা বলি না।যেহেতু আমি সিম কোম্পানিতে চাকরি করতাম তাই আমার কাছে বেশ কয়েকটি লোড দেওয়ার সিম ছিল।এগুলোতে আবার ফ্রি কথা বলা যায়। তবে দুটি সিমই লোডের হতে হবে।এজন্য ওকেও দুটি লোডের সিম দিয়েছিলাম।তবে ওগুলোতে কথা বলার একটা লিমিটেড সময় থাকে। তাই বেশ কয়েকটি লোডের সিম দিয়ে কথা বলেছিলাম। তাই আমাদের কথা বলতে কোনো টাকা খরচ হয়নি।এভাবে আমাদের খুব ভাল একটা সময় কাটছিল।এরপর আমরা একদিন দেখা করে ফিরে আসার সময় মহিলা কলেজ এলাকার কিছু ছেলে আমাকে ডেকে এক সাইডে নিয়ে যায় এবং আমার কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করে।তখন আমি আমার ভাগিনাকে ফোন করি এবং তাদের সাথে কথা বলাই তারপর সে আমাকে ওদের ২০০০ টাকা দিতে বলে।তখন আমার কাছে অত টাকা ছিল না। তারপর ওকে ফোন করলে ও আমাকে টাকাগুলো ওর বান্ধবীর কাছ থেকে ধার নিয়ে আমাকে দেয়।তারপর আমি ওদের ২০০০ টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।এটাই আমার জীবনের প্রথম ও শেষ কট খাওয়ার অভিজ্ঞতা😁।এভাবে আমরা খুব ভাল একটা সময় পার করছিলাম।তখন আমার কলিগ ও বন্ধুবান্ধব ও ভাইবোনদের সাথেও ওর একটা ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।আমরা মাঝে মাঝেই দেখা করতাম আমি ওকে কাচের চুড়ি ও অনেক কিছু গিফট করি।সেও আমাকে একটি ঘড়ি,শার্ট,টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি গিফট করে।মোটামুটি আমরা খুব ভালো সময় পার করছি। আমার হাতের লেখায় শেষ চিঠি ছিল কিন্তু লেখার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম।
কথায় আছে না কষ্টের পরে সুখ মিলবে। সেটা হতো খনিকেরও হতে পারে সারাজীবনের জন্যেও হতে। সুখ,দুঃখ মিলেই ভালবাসার জন্ম হয়।তখন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাস চলছিল। তখন হঠ্যাৎ করেও একদিন ওর মা ফোন করে বলে যে ওনার খুব খারাপ অবস্থা। ওর মা একজন হার্টের রোগী।তাই কোনো কিছু না ভেবে ও এসব শুনে কান্নাকাটি করে বাড়িতে চলে আসে।কিন্তু বাড়িতে এসে ও দেখে যে ঘটনা আলাদা।আসলে ওর বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে আসবে।তাই ওকে মিথ্যা কথা বলে বাড়িতে আনা হয়েছিল।তখন ভবের বাজারে ওর এক খালার বাসায় ওকে নিয়ে যাওয়া হয়।কিছুক্ষণ পর পাত্রপক্ষ এসে ওকে দেখলে পছন্দ করে ফেলে।ছেলেটি ছিল সরকারি ইন্জিনিয়ার।তাই বাড়ির সবাই রাজি।তারপর ও সেদিন মেসে ফিরে এসে আমাকে জানায় এবং প্রচুর কান্নাকাটি করে। এরপর ৩/৪ দিন পর ওই ছেলের বাবা ও বেশ কয়েকজন আবার দেখতে আসে।দেখে সবাই পছন্দ করে ফেলে এবং পাকা কথা বলার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। তখন তো আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ।দুজনেই আমরা ফোনে কান্নাকাটি করি।তখন আমরা কোর্ট ম্যারেজ করে রাখা কথা ভাবছিলাম।
কিন্তু তখন ওর ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি।তাই আমাদের একটু ভয় ছিল।আর ও তখন পাশাপাশি ওই ছেলেটার সাথে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করছিল।ওই এলাকায় বন্ধুদের সাথে কথা বলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিল।তখন ও ছেলেটির ফেসবুক একাউন্ট খুঁজে পায়।কিন্তু কথা বলার সাহস পায় না কারণ ও ভয় পেত যদি ছেলেটি ওর পরিবারের কাছে সব জানিয়ে দেয়। কিন্তু দু একদিন পরেই ওর আব্বু ফোন করে জানিয়ে দেয় যে,ওই জায়গায় বিয়ে হবে না। তখন আমরা দুজনেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার তখন ঈদের মত খুশি লাগছিল।তখন আমরা পরের শুক্রবার দেখা করি।আর তার ২ দিন পর থেকে আমাদের জীবনের মর্মান্তিক কাহিনী আবার শুরু। মূলত ওর পরিবারে আমাদের কথাটা যেকোনোভাবে জানতে পেরেছিল তাই ওর বিয়ে দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো শুরু করে দেয়। এজন্য আবার একটি সেনাবাহিনীর সাথে সমন্ধ আসে।তখন ওর বাবা সোমবারের দিন ওকে মেসে নিতে আসে।তখন ও প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল।মেসে ফেরার সময় দেখে নিচে ওর বাবা।ওর বাবা ওকে আগেই জানিয়েছেন বাড়ি যাওয়ার কথা।কিন্তু ও যেতে চায়নি বলে ওকে নিতে এসেছে।তখন ও বাড়ি যেতে অস্বীকার করে এবং উপরে ওঠে ফোন বন্ধ করে রেখে দেয়।তখন ও সিঙ্গেল রুমে থাকত।ওর বাবা বেশ কয়েকঘন্টা অপেক্ষা করার পর বাড়ি চলে যায়।মূলত ওদের মেসে পুরুষ মানুষের উপরে ওঠা নিষেধ।তাই ওর বাবা তখন কিছু বলতে পারে না। কিন্তু সারাদিন যাওয়ার পর সন্ধ্যার সময় ওর দরজায় কেউ নক করে।ও দরজা খুলে দেখে যে ওর মা, বড় বড়আম্মা ও দিনাজপুর শহরে যে বড়আম্মা থাকত তারা তাকে নিতে এসেছে। তখন সে যেতে চায়না এবং কান্নাকাটি শুরু করে।তখন ওকে জোর করে বাড়ি নিয়ে যায় আর ওই রাতেই পাত্রপক্ষ দেখতে আসে।দেখেই পছন্দ করে এবং পরদিন পাকা কথা বলতে আসে।বিয়ে প্রায় মোটামুটি ঠিক।ওর কাছ থেকে ফোন নিয়ে রেখে দেয়।আমাদের আর কোনো যোগাযোগ হচ্ছিল না।এদিকে আমার অবস্থা খুবই খারাপ। পরেরদিন চাপে পড়ে ও আমাদের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানিয়ে দেয়। তখন তারা সবকিছু শুনে নেয় যে আমি কি করি,কেমন আয় অবস্থা ইত্যাদি। তখন ওর বড়আম্মা আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলে।আমি তখন বিয়ে করতে রাজি ছিলাম।তখন আমি আমার বাড়িতে এসব কথা জানাই এবং আমার বাড়িতে সবাই রাজি।কিন্তু সমস্যা হল ওর পরিবারে কেউ রাজি ছিল না।তাই একপ্রকার জোর করেই ওকে অন্য জায়গায় বিয়ে প্রায় ঠিক করে ফেলে।তখন ও কোনোমতে রাজি হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে ওর মা ওর পা ধরে কান্নাকাটি করে। তখন ও বাধ্য হয়ে মত দেয়।কিন্তু তখনও ও রাজি ছিল না। আর সেদিন বিকেলে আবার যখন সবাই ওর কাছে শুনতে আসে তখন ও আত্মহত্যা করার কথা বলে এবং খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়।এদিকে আমার নাজেহাল অবস্থা। আমার অবস্থা দেখে আমার কলিগরা বুঝতে পারে। ওরা জিজ্ঞেস করলে আমি ওদেরকে জানাই।তখন আমার বসও আমাকে ডেকে সব কথা শুনে।তখন তিনি আমাকে আশ্বাস দেন যে উনি এ বিষয়ে আমাকে সাহায্য করবেন। উনি আমাকে বলেন যে প্রয়োজনে আমি ওর পরিবারের সাথে কথা বলব।আমার অবস্থা খারাপ দেখে উনি আমাকে বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে যান।তখন আমি আমার বন্ধুদের সাথে ওকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করছিলাম।এদিকে ওরও নাজেহাল অবস্থা। সে মাসের মেসের কারেন্ট বিল ওর কাছে ছিল তাই বৃহস্পতিবার ওকে মেসে যেতে হয়।তবে ওর সাথে ওর বড়আব্বু ও ওর ফুপু গিয়েছিল যাতে আমার সাথে যোগাযোগ করতে না পারে।তবে ওর বান্ধবী ওকে বাথরুমে গিয়ে আমার সাথে কথা বলাতে চায় কিন্তু সেখানেও ওর বড়আব্বু হাজির।তাই আমাদের আর কথা হয় না,আমি শুধু ওর কান্নার শব্দ শুনতে পাই।ওর সাথে পেরে না উঠতে পারায় সেদিন বিকেলে ওর ফুপা আমার বাবার সাথে কথা বলে।সেদিন রাতে ওদের বাড়ি থেকে দেখতে আসে এবং আমাদের বিয়ে ঠিক হয়।সেরাতে আমার আর ঘুম হয়নি।খুশিতে আমি কান্না করছিলাম।মূলত ওর জোরের কারণে আজকে আমাদের বিয়েটা হচ্ছে। ওকে ফোন দিয়ে জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন ওর কাছে ফোন ছিল না।পরে অবশ্য ওকে ফোন দিয়ে যায়। রাত ১২ টার পর আমরা কথা বলি।দুজনই শুধু কান্না করছিলাম। পরেরদিন হল এক সমস্যা। ওর ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি।তাই বিয়ের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার,১৭ অক্টোবর, ২০১৯ সালে আমাদের রেজিষ্ট্রি করে বিয়ে দেওয়া হয়। এবং পরেরদিন আমাদের মোহরসহ বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এভাবেই আমাদের সংসার শুরু হয়। পরে শুরু হয়ে যায় করোনা মহামারী।ওদের তখন এইচ এস সি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। ও তখন বাড়ি ফিরে আসে।বিয়ের ৫ মাস পর আমার চাকরি চলে যায়।তখন কিছুদিন পর জানতে পারি আমাদের পরিবারে নতুন সদস্য আসতে চলেছে।তখন ওর খুব শরীর খারাপ ছিল।ও বারবার বমি করত সেসময় আমি ওর পাশে ছিলাম।পরবর্তীতে বাচ্চা হওয়ার ২ মাস আগে ও বিশ্রামের জন্য বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমিও মাঝে মাঝে যেতাম।ওর বাচ্চা হওয়ার সম্ভাব্য ডেট ছিল মার্চ মাসের ২৬ তারিখে। কিন্তু তার ১৩ দিন আগেই ওর লেবার পেইন শুরু হয়। ও অনেক শক্ত মানুষ। সারারাত কাউকে জানায় নি।পরের দিন সকালে সবাই বুঝতে পারে তখন আমিও জানতে পারি।কিন্তু তখন আর আমাদের দেখা হয়নি।কারণ ইতিমধ্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে গেছে।দিনটি ছিল ১৩ মার্চ,২০২১ সাল।বেশ কয়েকঘন্টা পর ১১ টা ৫৫ মিনিটে আমাদের প্রথম ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।তখন আমরা সবাই খুবই খুশি হয়ে যাই।প্রায় ১ ঘন্টা ওর আমি ওকে দেখতে পাই।পরেরদিন হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয় এবং আমরা বাড়ি ফিরে আসি।এখন আমার ছেলের আড়াই বছর বয়স।আমরা এখন আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। সংসারে চাপে আমরা দুজনই কিছুটা বদলে গেলেও আমাদের ভালবাসা কিন্তু একটুও কমেনি বরং বেড়েই চলছে।
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ রাহুল । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @rahul989। আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়াশোনা শেষ করছি। এখন ব্যবসার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতেছি। আমি ফটোগ্রাফি অনেক ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। অংকন করতে ভালবাসি এবং তাছাড়া আমি ও নিজেই ভাল ভাল রান্না রেসিপি করি।সকলেই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
https://twitter.com/Rahul989132/status/1704371973424566512?t=DS4NsRidyjUGSyhLnjqX8Q&s=19
প্রেম ভালবাসা করে বিয়ে করলে ও যে জীবনে সুখী হওয়া যায় তার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ হল আপনাদের জীবন।জীবনে অনেক কষ্ট হবে ভাই ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করবে কিন্তু মন চায় না সেই জিনিসটা। মাশাআল্লাহ আপনাদের প্রেমের পূর্ণতা পেয়েছে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।সারা জীবন যেন দুজনে ভালোভাবে চলতে পারেন এই দোয়া করি আল্লাহর কাছে। আপনার পোস্ট বেশ ভালোভাবে পড়লাম আমি শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনার জীবনের এটি প্রথম প্রেম ছিল কিনা আমি সেটা জানি না, তবে আপনি সার্থক হয়েছেন। এ প্রেমের মাঝে আপনি যে মেয়েকে এত মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছেন তাকে পেয়েছেন। এটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আপনি অনেক কষ্ট করে তার মন জয় করেছেন এবং আপনি তাকে শেষ পর্যন্ত জীবনে পাশে পেয়েছেন। এটি বেশ ভালো লাগলো কারণ বেশিরভাগ ছেলেরাই প্রেমের কাছে হেরে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনার জীবন আরো সুন্দর হোক আরো সুখে থাকেন শান্তিতে থাকেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। 💞
আসলেই কি এটা প্রথম প্রেম ছিলো দাদু, মোর কেমন জানি সন্দেহ হয়। আপনি তো লাভ গুরু, তবে আপনার প্রেম কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই, যতোই কষ্ট হোক পাশাপাশি থাকাটাই জীবনের পূর্নতা। অনেক ভালো লাগলে আপনি সফল। হাল ছেড়ে দেন নাই, শেষ মুহুর্তে তাকে জয় করে নিয়েছেন এটাই জীবনের বড় পূর্নতা। ভাবী কিন্তুু মাশাআল্লাহ। আপনার ছেলের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। একে অপরের উপর বিশ্বাস ও ভালোবাসা দিয়ে সারাজীবন পাশে থাকেন এটাই চাওয়া।অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো দাদু।
ধন্যবাদ।
বা মোর একটা প্রশ্ন। তোরা যে মাপের আলসে দেখার করার দিন কত ঘন্টা অপেক্ষা করার পর দেখা হয়েছিলো সেটা বলেন নাই কেনে। কান ধরে উঠাবসা করালে অবশ্য সেটা বেস্ট হইতো 😀। মোর মামিকে তো সুন্দর লাগোছে বা। যাইহোক সফলতার গল্প পড়তে ভালই লাগে।
ধন্যবাদ।
Oh wow! What a love story!
I am so glad that, in the end, your love for each other was at the winning end. Congratulations!
It is wonderful to read that your love for each other is still growing and that you were blessed with a little boy.
I wish you a long and happy marriage!
Thank you for the invitation.
Thank you dear.💞
Pleasure! ☕