আসসালামু আলাইকুম। কি অবস্থা সবার? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালোবাসি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে গ্রাম বাংলার ব্যবহৃত একটি ঘর ভাড়ার ঘর নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
| |
গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি ঘর হল এই ভাড়ার ঘর । এটি গ্রাম বাংলার মানুষেরা বাড়ির ভেতরে আবার কেউ কেউ বাড়ির বাইরে ও তৈরি করে থাকে নিজেদের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র রাখার জন্য। সাধারণত এই ঘরগুলো বানানো হয় টিন দিয়ে অথবা কেউ কেউ আবার কাশিয়া দিয়ে বেড়া গেঁথে তারপর তৈরি করে থাকে। আবার ঘরের ভেতরে বাঁশ দিয়ে নিচের দিকে বিছিয়ে দেওয়া হয় যাতে করে মাটি থেকে কিছুটা উপরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো রাখা যায় এবং সেই জিনিসগুলো যাতে মাটির শীতলতা থেকে রক্ষা পায় তাই এভাবে কিছুটা উপরে বাশ বিছিয়ে বাধা হয়। আর ঠিক উপরেও এমন ভাবে বাশ দিয়ে কাঠামো করে রেখে দেয় যাতে করে উপরে ও কিছু জিনিসপত্র রাখা যায়।
এই বাড়ার ঘরটি আসলে আমাদের আগের কমিউনিটির এডমিন সবুজ ভাইদের। মূলত তারা এই ঘরটি তৈরি করেছে কিছু জিনিসপত্র রাখার জন্য। তাদের বাড়িতে জায়গা না থাকার কারণে তারা এই ঘরটি বাইরে তৈরি করেছে। এই ঘরে তারা মূলত গরুর জন্য খড় ও মাঝে মাঝে খরের বোজা লাইন লাইন করে সেখানে রেখে দেয়। আবার কখনো কখনো সেখানে তারা গরুর গোবর শুকিয়ে ঘসি বানিয়ে বস্তায় ভরে সেখানে রেখে দেয়। তাছাড়া চোপুরের বস্তা, ফিডের বস্তা, সানির বস্তা এ সকল জিনিস তারা মূলত এই ঘরের মধ্যে রাখে ।
তাদের এই ঘরটি একেবারে বাড়ির পিছনে হওয়ায় সবাই এই ঘরে গিয়ে আড্ডা দিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হইতেছে তাতে করে সবাই এই ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। আর বাইরে যদি বৃষ্টি পড়ে তাহলে সবাই এই ঘরের মাঝে বসে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার খেলে। যাই হোক এ ধরনের ভাড়ার ঘর ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ এখন আধুনিক প্রযুক্তির সিমেন্ট ও রড দিয়ে ঘর তৈরি করতেছে এসব। বাশ বা টিন বা ধারা তৈরি এই ঘরগুলো এখন খুব কমই দেখা যাইতেছে আশপাশ। আমি আমাদের গ্রাম পর্যবেক্ষণ করে মাত্র কয়েক জায়গায় এরকম ঘর দেখেছি। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ও আমি এরকম অনেক হয় দেখেছি। কিন্তু এই কয়েক বছরের পরিবর্তনে এতটাই পরিবর্তন হয়েছে এগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। আর এগুলো যুক্ত হয়েছে আমাদের ঐতিহ্যের তালিকায়।
ধন্যবাদ সবাইকে আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি❤️
https://twitter.com/Smn97541366047/status/1705180530105598160?t=FqhV197YbeHiUjBub60yfg&s=19
গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি ঘর হল ভাড়ার ঘর।এমন গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।আপনি সুন্দর করে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন এ ঘরে যা যা রাখা হয়।আপনাদের গ্রামে কয়েক জায়গায় এমন ঘর দেখেছেন তা উল্লেখ করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
এই ঘরগুলোকে বলা চলে গোলা ঘরের রূপান্তরিত ডিজিটাল রূপ। আগে গোলা ঘরে যেমন ধান চাল ইত্যাদি অন্যান্য জিনিসপত্র রাখা হতো তেমনি এসব ঘর এখন টিনেরতৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন রকম জিনিসপাতি রাখা হয়। এছাড়াও অনেকে এখন সিমেন্টের তৈরি অথবা ইটের তৈরি এরকম ঘর বানাচ্ছে।গ্রামগঞ্জে এরকম ঘর এখন সব থেকে বেশি দেখা যায়।দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
ভাড়ার ঘর বা মালঘর নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ভাড়ার ঘর গ্রামের কমবেশী প্রতিটি বাড়িতেই আছে। কেননা গ্রামের মানুষদের অনেক কিছু জিনিস থাকে যেগুলো শোবার ঘরে রাখার জায়গা হয় না। সেগুলো তারা আলাদা করে একটা ঘর বানিয়ে রেখে দেয় যেটা ভাড়ার ঘর বা মালঘর নামে পরিচিত। আমাদের বাড়িতেও একটা মালঘর আছে।
ধন্যবাদ
চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস রাখার জন্য ব্যবহৃত এই ঘরটিকে খড়িঘর বলা হয়। খড়ি-ঘরে বিভিন্ন ধরনের মালপত্র রাখা হয় যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন কাজে লাগে না। আপনারা এই ঘরে বসে ফ্রি ফায়ার খেলেন যা শুনে একটু হাসি পেল। যাই হোক, গ্রামীন ঐতিহ্যের একটি চমৎকার বিষয় নিয়ে সুন্দর লিখেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই ঘরকে কাছারি ঘর বলা হয়, এই ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা হয়। এই ঘর টিনের তৈরি এবং খড়ের তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামের গৃহস্থালির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ধান গম ইত্যাদি রাখা হয়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ
এই ঘরগুলো বেশ কাজে আসে গ্রামের মানুষের। এইগুলো ঘর আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। আমাদের এলাকায় তেমন দেখা যায় না এই ঘর।এই ঘরগুলো খড়ি রাখার জন্য বেশ কাজে আসে।আমাদের এমন ঘর ছিল অনেক আগে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
❤️
হ্যাঁ এই ঘরগুলো গ্রামে গেলে দেখা যায়। এই ঘরগুলোকে যে ভাড়ার ঘর বলা হয় সেটা কিন্তু জানা ছিল না। তবে গ্রামের মানুষ গুলো তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য বাড়ির বাইরে এমন অনেক ঘর তৈরি করে। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন আজ আমাদের মাঝে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জের এ বিষয়টি নিয়ে বেশ ভালোভাবেই জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ
ভাড়ার ঘর সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। আসলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এগুলো যেখানে সেখানেই দেখতে পাওয়া যায় কারণ এগুলোতে গ্রামাঞ্চলে মানুষা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং বিশেষ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করা খর ও খরি এগুলোতে বেশি রাখে। কারণ এগুলোর ভিতরে রাখলে বৃষ্টি বাদলের সময় ভিজবে না এবং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে। অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ