মাটির জগ কেনার অনুভূতি

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করি যে যেখানে আছেন ভালোই আছেন। আমি সৃষ্টি কর্তার অশেষকৃপায় ও আপনাদের সবার অনেক অনেক ভালোবাসা নিয়ে আজ আবারও চলে এলাম আপনাদের মাঝে আমার একটি হৃদয় ভরা আনন্দ পোস্ট নিয়ে। আসলে কিভাবে শুরু করবো আমি ভাবতে পারছি না। কারন আমি যেন এখনও মনে হচ্ছে স্তব্দ হয়ে আছি। কোনকিছু লেখার ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। কিভাবে শুরু করবো কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। তারপরও আস্তে আস্তে এগুতে থাকি আমার আজ এই ব্লগটিতে। আমি মাহফজা নীলা এই কমিউনিটিতে আমার ইউজার আইডি @mahfuzanila ।আমি এই কমিউনিতে আপনাদের মাঝে কাজ করছি প্রায় ৬-৭ মাস যবাৎ। এই এতদিনের জার্নিতে আমি এখান থেকে অনেককিছু অর্জন করেছি। আর এখানের সবার অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি। আর সেই ভালোবাসা নিয়েই আজ আবার চলে এলাম আপনাদের আরও ভালোবাসা অর্জন করতে।।

এ্যালোবেরা কে কে পছন্দ করেন। আমার কিন্তু এ্যালোবেরা খুব ভালো লাগে।আমি এ্যালোবেরা গাছটি অনেক আগে লাগিয়েছি। আপনারা জানেন এলোবেরা আমাদের স্কিন ও শরীরের এর জন্য অনেক ভালো আমার এই এলোবেরা গাছটি অনেক সুন্দর হয়েছিল প্রথমে অনেক ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন যন্ত্র না নেয়ার কারনে গাছটি কেমন যেন হয়েগিয়েছে। এই এলোবেরা দিয়ে আমি শরবত খেতে অনেক পছন্দ করি।

মাটির যে কোন জিনিস দেখতে কিন্তু দারুন লাগে। আবার মাটির জিনিসে খাওয়াও নাকি ভালো। সেদিন গিয়েছিলাম আপুর সাথে। উদ্দেশ্য কিছু মাটির জিনিস কেনা। অনেক ঘুরলাম। কোন জিনিসই পছন্দ হচ্ছিলো না। তার মধ্যে আবার দাম বেশী। ভাবলাম যে চলে যাই। কিন্তু আপু হলো নাছোড় বান্দা। সে তো কোন কিছু না কিনে আসবে না। তাই আমরা আরও একটু বেশী ঘুরলাম।এটা সেটা দেখতে লাগলাম। আমার তো পায়ে ব্যাথা শুরু হয়েগিয়েছিল। সেই সাথে মেজাজও গরম হয়েছিল।

তারপর ঘুরতে ঘুরতে একটি জগ পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। আর তখনই সেই জগ নেওয়ার জন্য আপু বেশ মরিয়া হয়ে উঠে। সে যেমন করেই হোক না কেন জগটি নিবে। বেশ দামাদামি করতে লাগলো। মামা তো ৩০০ টাকার নিচে জগটি দিবে না। তাও বলে আমরা দেখে নাকি সে ৩০০ টাকায় দিতে রাজি হয়েছে। আপু বলল মামা আমাদের কে দেখে কি আপনার মায়া হয় না আর একটু কমে দেন না মামা। তখন মামা আমাদের কে ২৫০ টাকায় জগটি দিয়ে দিলো আর আমরাও জগ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।