আহসান মঞ্জিল জাদুঘর পরিদর্শনে একদিন | 10% beneficiary to @beautycreativity

আজকের খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে এসেছি। আজকে আমি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও ছোট একটি ভ্রমণ গল্প শেয়ার করব আপনাদে্র সাথে। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এজন্য আজকে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের দেখার জন্য শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলি এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের জমিদারবাড়ি ও প্রাসাদ। এর প্রতিষ্ঠাতা নবাব আবদুল গণি। তাঁর পুত্র খাজা আহসানওল্লাহ এর নামে এই বাড়ির নামকরণ করা হয়। এই আহসান মঞ্জিল এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এবং শেষ হয় ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দতে। ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকেই এইখানে আসা যায়।

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সুবাদে গিয়েছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষা শেষে বের হয়ে পরি এতো দিনের স্বপ্নের গোলাপি পেলেস দেখতে। আগে সবসময় আহসান মঞ্জিল এর ছবি দেখেছি বড় বড় ক্যালেন্ডার গুলোতে। আজ সামনে থেকে দেখার পালা। রাস্তায় পরীক্ষার্থীদের ভীড়ের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সামনে থেকে হাঁটা শুরু করে দেয়। ১০ মিনিটের সরু রাস্তা যা পুরোটাই ইসলামপুর মার্কেট ছিলো। চারদিকে কাপড়ের ছড়াছড়ি। সামনে বেলপুরি দেখে গপাগপ খেয়ে নিলাম। আহসান মঞ্জিল এর গেইটের সামনে আসি আর গেইট থেকে ২০ টাকার টিকেট নিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়। আহ! সেই কি যে মুগ্ধতা আমার চোখে-মুখে। কতক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে শুধু মঞ্জিলের সৌন্দর্য দেখে গেলাম। কোনো বড় ব্যাগপত্র থাকলে তা নিচের লাগেজ কাউন্টার রেখে যেতে হয়। আমাদের কাছে যেহেতু তেমন কিছু ছিল নাহ তাই রাখা লাগে নি।

এরপর মঞ্জিলের ভেতরের সৌন্দর্য দেখার সময় এখন। চট করে হাঁটা দিলাম। এই আহসান মঞ্জিলেই ঢাকার মধ্যে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলেছিলো। আহসান মঞ্জিল দুটি অংশে বিভক্ত। পশ্চিম দিকের অংশটিকে বলা হয় দরবার মহল বা রংমহল। আর পূর্ব দিকের অংশটি ছিল বসবাসের জন্য অন্দরমহল। আহসান মঞ্জিল এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা নদী। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার এই ঐতিহাসিক ভবনটি অধিগ্রহণ করেন যাদুঘরে রূপান্তরিত করেন। দুইতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে ২৩ টি গ্যালারি রয়েছে। এইখানে সব নবাব ও তাদের পরিবারের সকলের বড় বড় তৈলচিত্র টানানো আছে। এছাড়াও দেখেছি নবাব বংশের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।

এক তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় উঠার সিড়িগুলো কাঠের তৈরি। দ্বিতীয় তলার ঘরগুলো আমার বেশ লেগেছে। যদিও একটা অদ্ভুত গন্ধ ছিলো বন্ধ ঘরগুলোতে। সেখানে দেখতে পেয়েছি তাদের ব্যবহার করা আসবাবপত্র, বিশাল বড় ডাইনিং টেবিল সাজানো গুছানো। অবশ্য সবই ছিলো কাচের ভিতর। শুধু বাইরে থেকে মন ভরে দেখা যায়।

দুতলা থেকে নিচে নদীর দিকে একটা সিড়ি নেমে গেছে বিশাল মাপের। সিড়ি দিয়ে নেমেই বড় খোলা মাঠ। সবাই বের হয়ে ঘাসের উপর বসে গল্প করছে। আমরাও তাই করলাম।

স্থান: আহসান মঞ্জিল, পুরান ঢাকা, বাংলাদেশ ।

--🌵-- ধন্যবাদ সবাইকে --🌵--

ছবির বিবরণ

ডিভাইসের নাম	Realme
ডিভাইস মডেল	5i