কেমন আছেন সবাই ? আশা করি বেশ ভালো ভাবেই দিন কাটাচেছন সবাই । আমিও কিন্তু বেশ ভালো আছি। আমাদের ভালো থাকাটা আমাদের নিজের জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি করে আমাদের চারপাশের মানুষ গুলোর জন্য একটি সুখকর বিষয়। কারন আমরা যখন ভালো থাকবো তখন আমাদের দেহ আর মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায় । আর আমাদের জীবন তখনই হয়ে উঠে সুখের।

আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি ক্ষুদ্র একজন ব্লগার। কারন চারদিকে আমার চেয়ে অনেক ক্রেয়েটিভ মানুষ আছে। যারা কিনা নিজের দক্ষতা আর যোগ্যতা দিয়ে সব সময় ভালো ভালো পোস্ট শেয়ার করে যাচেছ। এছাড়া অনেক ক্রেয়েটিভ মানুষ আছে, যারা এমন একটি প্লাটফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে নিজেদের যোগ্যতাকে মেলে ধরার জন্য। অথচ আমি কত ক্ষুদ্র একজন ইউজার, যার নেই তেমন ক্রেয়েটিভিটি। তবুও আমি এমন সুন্দর একটি প্লাটফর্মের একজন ভেরিফাইড ইউজার। তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তাই তো আজ আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।

এক সময় ফটোগ্রাফি করা আমার কাছে বেশ কঠিন মনে হতো। এখন কিন্তু তেমন কঠিন মনে হয় না। তবে এটাও সত্য যে আমি কিন্তু তেমন ভালো কোন ফটোগ্রাফার নয়। যার জন্য অন্য সবার মত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও লোভ বলে একটি কথা আছে। কোথাও কোন সুন্দর জিনিস দেখলে তার একটা ফটোগ্রাফি করা চাই চাই। তাই তো ভাবলাম আমার সেই সব ফটোগ্রাফি হতে কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

মাঝে মাঝে চেষ্টা করি কিছুটা সময় বাহিরে ঘুরে বেড়াতে। এতে করে দেহ আর মন দুটিই থাকে বেশ সতেজ। এই তো কিছুদিন আগের কথা। রাতের ঢাকা দেখার জন্য দৌড়ে গিয়েছিলাম শাহবাগে। ভাবনা ছিল কিছু ফুল কেনার। রাতের ঢাকা বলে কথা। তার উপর আবার ছুটির দিন। তবে অবাক করা বিষয় হলো শাহবাগে ফুলের যে দোকান গুলো সেগুলো কিন্তু বিশাল। হেটেই শেষ করা যায় না। যার কারনে আমরা একপাশ হতে শুরু করলাম ফুলের দোকানগুলো ঘুরে দেখতে। তবে পুরো দোকান গুলো ঘুরে দেখতে আমাদের বেশ সময়ও লেগেছে।

যাই হোক। দেখলাম এখানে সব পাইকারি ফুল বিক্রি করা হয়। প্রায় প্রতিটি দোকনেই ফুলের তোড়া বানানো রয়েছে। যাতে করে কাষ্টমার আসলে বেশ সহজেই তোড়াগুলো বিক্রি করতে পারে। এক একটি ফুলের তোড়ায় নানা রকমের ফুল দেওয়া হয়। গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা আর রজনী গন্ধা সহ নানা রকমের সুন্দর সুন্দর ফুল দিয়ে তোড়া বানানো হয়। যেহেতু ফুলের তোড়াগুলোতে নানা রকমের ফুল দেওয়া হয় তাই প্রতিটি ফুলের তোড়াই কিন্তু দেখতে বেশ দারুন লাগে। আমার তো মন চেয়েছিল যে ফুলের তোড়াগুলো এনে ঘরে সাজিয়ে রাখি।

গন্ধরাজ, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা , রজনীগন্ধা সহ নাম না জানা আরও অনেক ফুল বিক্রি করা হয় এখানে। যারা ফুল ভালোবাসে তারা কিন্তু এমন জায়গায় গেলে ফুল দেখেই দিশেহারা হয়ে যায় কোনটা রেখে কোনটা নিবে। কারন এমন সুন্দর সুন্দর ফুল কি আর রেখে আসা যায়? আরে না রেখে আসা যায় না। আর আমার তো গোলাপ আর রজনীগন্ধা সেই ছেলেবেলা হতেই প্রিয় তাই আমি নিজেও পারিনি এই ফুলগুলো রেখে চলে আসতে। তাই যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি কিছু গোলাপ আর রজনী গন্ধা এনে ছেলেবেলার মত করে বইয়ের পাতায় পাতায় রাখতে।

শেষ কথা