ছোটখাটো একটি নৌকা ভ্রমন।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোটখোটো একটি নৌকা ভ্রমনের গল্প শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে।
ছয় ঋতুর বাংলাদেশ বর্তমানে দুই ঋতু হয়ে গেছে। গরম আর শীত। শীত কালও তিন মাসের মত থাকে। বাকি নয় মাসই গরম থাকে। ছয় ঋতুর বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এক ঋতু হয়ে যায় কিনা সেই টেনশনেই আছি। এই বছর যে গরম পড়েছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। মানুষ গরমে পশু পাখির মত হাঁহাকার করেছে। বৃষ্টিতেও এই গরম ঠান্ডা হয় না। ভ্যাপসা গরম থেকেই যায়। এমনই একদিন এই ভ্যাবসা গরম থেকে বাঁচতে একদিন বিকাল বেলা তিতাস নদীর পাড়ে হাটতে গিয়েছিলাম। যেহেতো বর্ষাকাল নদীতে ভালোই পানি ছিল। সেই সাথে নদীর পারে অনেক মানুষও ছিল। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ কয় যাবে....। গাছ পালা তো কম,যা কিছু গাছ পালা আছে, কিন্তুু বাতাস নেই। যাদের টাকা আছে তারা তো বাড়িতে এসি লাগিয়ে ফেলে। আর এসির সেই গরম হাওয়া গরীবদের ফ্রী দেয়। বেশি বেশি এসি ব্যবহার করলে সেটা যে পরিবেশের উপর কতটা প্রভাব ফেলে সেটা হয়তো আপনাদেরকে বিস্তারিত বুঝানো লাগবে না।
নদীর পাশ দিয়ে হাটতেছি শরীরে কিন্তুু বাতাস লাগে না। তারপরেও হাটতেছি বিভিন্ন মানুষের সাথে কথাবার্তা বলতেছি। হঠাৎ করে এক গ্রাম্য বাজারের কাছে এসে দেখতে পেলাম নদীর ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। পাশের গ্রাম থেকে নৌকা করে এই বাজারে সদাই কিনতে এসেছে। নদীর কিনারে বা চরে যাদের বাড়ি, তাদের পা ও পাল এই দুইটাই আসল সম্পদ। যে সময় নদীতে পানি থাকে তখন পাল তুলে নৌকা চালায়। আর যখন নদীতে পানি থাকে না। তখন পা-ই তাদের ভরসা। কারন রাস্তাঘাট তেমন নেই, পায়ে হেঁটেই সব জাগায় যেতে হয়।
ছোটখাটো একটি নৌকা ভাড়া করেছিলাম। সন্ধা হয়ে যাচ্ছিলো তাই তেমন সময় পায়নি। আধা ঘন্টার জন্য নৌকাটা ভাড়া করেছিলাম। টাকা তেমন বেশি না। ভাবলাম হয়তো নৌকাতে ঘুরলে কিছুটা ভালো লাগবে। সে জন্যই নৌকা ভ্রমন করা। আপনারা উপরের ছবিটা লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন, নৌকাঘাট থেকে কিছুটা দুরে এসেই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। আকাশের দিকে তাকালেও বুজতে পারবেন,সন্ধা হয়ে আসতেছে।
আমাদেরকে নিয়ে নৌকা নিজ গতিতে চলতে লাগলো। নৌকাটি ছিল ইন্জিন চালিত নৌকা। নৌকাতে উঠার পরে শরীরে ভালোই বাতাস লাগছিলো। ভ্রমনটা আমরা ভালোই উপভোগ করতে লাগলাম। আসলে অনেক দিন যাবৎ নৌকাতে ভ্রমন করা হয় না। সম্ভবত ২০১৪ সালের শেষের দিকে লাষ্ট নৌকা ভ্রমন করেছিলাম। লঞ্চ দিয়ে অবশ্য কয়েকবার চাঁদপুর গিয়েছিলাম। সেটার অনুভূতিও আপাদের নিকট প্রকাশ করেছি।
যদিও আমাদের আধা ঘন্টা হাতে সময় ছিল। কিন্তুু দশ মিনিট নৌকা দিয়ে ঘুরার পরেই দেখলাম দক্ষিণের আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টির আগমন হবে। তখন নৌকার মাঝিকে বললাম তারাতরি নৌকা তীরে নিয়ে যান। যেভাবে বৃষ্টির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,অবস্থা খারাপ। যদিও নৌকাতে হালকা পাতলা ছাদের ব্যবস্থা ছিল। তারপরও আমাদের সাথে কয়েকজন বাচ্ছা ছিল, তারা ভয় পাবে। সেই জন্যই তারাতারি তীরে নিয়ে যেতে বললাম।
আমরা যখন নৌকা থেকে নামলাম তখই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। আমার মনে হয় আমাদের জন্য বৃষ্টি অপেক্ষা করছিলো। নৌকা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে দৌড়ে এক দোকানের সাইটে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। কিন্তুু এমন বৃষ্টি শুরু হলো যে থামার কোন লক্ষন নেই। মাগরিবের আজান দিয়ে সন্ধার পার হয়ে গেলো। প্রায় চল্লিশ মিনিটের মত তুমুল বৃষ্টি হলো। অবশেষে একটি অটো রিকশা করে বাসায় এসেছি। এই তিতাস নদীতে তিনবার নৌকা ভাড়া করতে গিয়ে বৃষ্টির ফাঁদে পড়েছি,হা হা হা।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ছোটখাটো একটি নৌকা ভ্রমন ।। |
স্থান | তিতাস নদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২২/০৬/২০২৪ |
কমিউনিটি | Beauty Of Creativity |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.